বাংলাদশের বাইকার কমিউনিটি এবং উচ্চমানের মোটরসাইকেল প্রত্যাশী সকলেই জেনে আনন্দিত হবেন যে সবশেষ আমদানি নীতিতে সর্বোচ্চ ৫০০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যা ২০২১-২০২৪ মেয়াদের আমদানি নীতির একটি গেজেটের(২৪/০৪/২০২২) মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশের বাইক এবং বাইকের তৎসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের দীর্ঘ সময়ের দাবির প্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমদানি নীতিতে বেশি ইঞ্জিন ক্ষমতার মোটরসাইকেল উৎপাদনের অনুমতি সংক্রান্ত একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বলা বাহুল্য যে বাংলাদেশে ব্যবহার করা যায় এমন মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ১৬৫ সিসিযেখানে একাধিক কোম্পাণী প্রতিনিয়তই দাবী জানিয়ে আসছিল সিসি লিমিট বাড়ানোর জন্যে পক্ষান্তরে কিছু কিছু কোম্পানী এর বিরোধিতাও করেছে কিন্তু বেশিরভাগ সাধারন বাইকার কমিউনিটিগুলা সর্বদাই উচ্চ সিসির বাইকের পক্ষে নিজেদের মত দিয়েছেন।
আলোচিত আমদানী নীতিতে যা বলা হয়েছে তা হলো, প্রথমত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিজেদের প্রয়োজনে ১৬৫সিসির বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন বাইক নিজেদের প্রয়োজনমত ব্যবহার করতে পারবে পক্ষান্তরে ব্যক্তি এবং সাধারন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এখনই ১৬৫সিসির বেশি অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না তবে কোম্পানি বা ফ্যাক্টরির দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ চাইলে উৎপাদনের জন্যে সর্বোচ্চ ৫০০সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশ আমদানী করতে পারেন।
মন্ত্রনালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমাদানী নীতিমালায় নতুন কয়েকটি বিষয়ের মধ্যে একটি হলো মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনের শক্তি বাড়ানোর বিষয়টি যা এখন পর্যন্ত ১৬৫সিসি এবং পরিকল্পনায় রয়েছে ৫০০সিসি পর্যন্ত।
তবে মোটরসাইকেলের মার্কেটের সাথে সংশ্লিষ্ট একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি বলেনবলেন, নীতিমালায় অনুমোদন দেওয়া হলেও এটি কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে বাস্তবায়ন হবে বলেই মনে হচ্ছে।অধিক সিসির মোটরসাইকেল গুলোর যন্ত্রাংশ এনে দেশে উৎপাদন করার একটি নিশ্চিত ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে নীতি মালায়।এ ক্ষেত্রে বিআরটিএ সহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন লাগবে তৎ সংশ্লিষ্ট সকলের।