বিদ্যুত শক্তির সাহায্যে চালিত মোটরসাইকেল বা ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল বা সংক্ষিপ্তভাবে ইবাইককে আগামীর বাইক বলা হয়ে থাকে। পৃথিবীতে জ্বালানি তেল শেষ হয়ে আসছে, আর তাই সকলেই বিকল্প জ্বালানীর দিকে ঝুকছে। এছাড়াও জ্বালানি তেলে চালিত গাড়ীর কারনে পরিবেশ অনেক দূষিত হয়ে থাকে বলে ইবাইকের কথা বিকল্প হিসেবে ভাবা হচ্ছে।
ই-বাইক কেন কিনবেন না ?
ইবাইকের কথা ভাবলে প্রথমেই কিছু সমস্যার তালিকা দেখা যায় যা আপনাকে ইবাইক কেনার ক্ষেত্রে সতর্ক রাখবে। চলুন সেই সমস্যার দিকে দৃষ্টি দেই-
আইনি বাধা
ইবাইক চালানোর অনুমতি নাই। বিশেষ করে হাইওয়েতে চালানো নিষেধ। ফলে রাস্তায় চলতে গেলে বিভিন্ন সময় ট্রাফিক পুলিশ চলতি পথে বিরক্ত করে থাকে। ট্রাফিক পুলিশদের কাছেও ইবাইক নিয়ে সঠিক দিক-নির্দেশনা না থাকায় সেখানে কখনও আইনের অপপ্রয়োগ হয়ে থাকে।
বেশি দাম
মান বিবেচনায় ইবাইকের দাম এমনিতেই বেশি। আবার ব্যাটারী পুরাতন হয়ে ব্যাটারী বদলাতে গেলে একবারে অনেক টাকার প্রয়োজন পড়ে, এরচেয়ে নতুন ইবাইক কেনা সহজ মনে হয়।
স্বল্প দূরুত্বের বাহন
ইবাইকের বড় অসুবিধা হলো এক চার্জে বেশিদূর না যাওয়া। সাধারন ইবাইকগুলো এক চার্জে ৪০-৫০কিমি চলে যা শহরে/গ্রামে চলার জন্য কিছুটা উপযোগী হলেও একটু দূরের রাস্তাতে অচল। চার্জ শেষ হয়ে গেলে পুনরায় চার্জ দিতে ৫-৬ঘন্টা লাগে।
তরুনদের উপযোগী নয়
বর্তমানে আসা অধিকাংশ ইবাইকগুলোই স্কুটার ধরনের। ফলে তরুনরা আগ্রহী হয় না। আবার যেগুলো মোটরসাইকেল টাইপ হয় সেগুলোর ডিজাইনও খেলনা টাইপের ডিজাইন হয়ে থাকে যা একজন তরুনকে বন্ধুদের মাঝে হাসির পাত্র করে তুলে।
গতিহীন
যেখানে সাধারন একটি বাইক ৭০-৮০কিমি/ঘন্টা গতি দিতে পারে সেখানে ইবাইকগুলো ৩০-৪০কিমি গতি পেতেই কষ্ট হয়ে যায় যা শহরের জন্য হয়তো কিছুটা চলনসই হলেও হাইওয়েতে কোনোমতেই কাম্য নয়।
ব্যবহারবান্ধব নয়
ইবাইক চালানো সহজ কিন্তু আমাদের দেশের জন্য সুবিধার না। ভাংগাচোরা রাস্তায় ঝাকুনিতে প্লাষ্টিকগুলো খুলে যায়। আমাদের দেশে বর্ষায় হঠাৎ রাস্তায় পানি জমে যাওয়া সাধারন ঘটনা। পানি বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্রের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর। স্পেয়ার পার্টস সহজে পাওয়া যায় না এবং পার্টসের দাম বেশি, দক্ষ টেকনিশিয়ান নেই।
টেকসই নয়
আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত যে ইবাইকগুলো চলতে দেখা যায় তা মানহীন এবং টেকসই নয়। অল্পদামী প্লাষ্টিকের ব্যবহার বেশি যা সহজেই ভেংগে বা নষ্ট হয়ে যায়। একটি সাধারন বাইক যেখানে অনায়াসে ১৫-২০বছর ব্যবহার করা যায় সেখানে একটি ইবাইক ২-৪বছরে নষ্ট হয়ে যায়।
রিসেল ভ্যালু নেই
ইবাইকের প্রচলন না থাকায় এবং বাইকগুলোও তেমন মান সম্মত না হওয়া পুরাতন ইবাইক বিক্রি করতে গেলে আগ্রহী ক্রেতা পাওয়া যায় না, এবং পেলেও তেমন দাম পাওয়া যায় না।
আস্থাহীন আমদানীকারক
চায়না থেকে মানহীন কমদামে ইবাইক এনে নিজেদের নামে ব্র্যান্ডিং করে বিক্রি করার একটি প্রচলন দীর্ঘদিন ধরে দেখা যাচ্ছে। এরফলে একটি ব্র্যান্ডের ইবাইক হঠাৎ দেখা যায়, আবার তারা ব্যবসা গুটিয়ে নিয়ে হাওয়া হয়ে যায়। ফলে ক্রেতা সাধারন বিপাকে পড়ে যায় এই বাইকের পার্টস এবং সার্ভিস নিয়ে।
পরিশেষে
ইবাইক পরিবেশ বান্ধব এবং আগামীর বাইক এটি যেমন ঠিক তেমনি আমাদের দেশে বর্তমান ইবাইকগুলো মোটেও মান সম্মত নয়। তবে ভরসার কথা এই কিছু প্রতিষ্ঠান ইতমধ্যেই ইবাইক নিয়ে কাজ শুরু করেছে। তাদের পারফরমেন্স এবং সেবার মান কেমন হবে তা জানতে আমাদের আরো কিছুদিন সময় দিতে হবে।
ই-বাইক না কেনার ৯টি কারনঃ
বিদ্যুত শক্তির সাহায্যে চালিত মোটরসাইকেল বা ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল বা সংক্ষিপ্তভাবে ইবাইককে আগামীর বাইক বলা হয়ে থাকে। পৃথিবীতে জ্বালানি তেল শেষ হয়ে আসছে, আর তাই সকলেই বিকল্প জ্বালানীর দিকে ঝুকছে। এছাড়াও জ্বালানি তেলে চালিত গাড়ীর কারনে পরিবেশ অনেক দূষিত হয়ে থাকে বলে ইবাইকের কথা বিকল্প হিসেবে ভাবা হচ্ছে।
ই-বাইক কেন কিনবেন না?
ইবাইকের কথা ভাবলে প্রথমেই কিছু সমস্যার তালিকা দেখা যায় যা আপনাকে ইবাইক কেনার ক্ষেত্রে সতর্ক রাখবে। চলুন সেই সমস্যার দিকে দৃষ্টি দেই-
আইনি বাধা
ইবাইক চালানোর অনুমতি নাই। বিশেষ করে হাইওয়েতে চালানো নিষেধ। ফলে রাস্তায় চলতে গেলে বিভিন্ন সময় ট্রাফিক পুলিশ চলতি পথে বিরক্ত করে থাকে। ট্রাফিক পুলিশদের কাছেও ইবাইক নিয়ে সঠিক দিক-নির্দেশনা না থাকায় সেখানে কখনও আইনের অপপ্রয়োগ হয়ে থাকে।
বেশি দাম
মান বিবেচনায় ইবাইকের দাম এমনিতেই বেশি। আবার ব্যাটারী পুরাতন হয়ে ব্যাটারী বদলাতে গেলে একবারে অনেক টাকার প্রয়োজন পড়ে, এরচেয়ে নতুন ইবাইক কেনা সহজ মনে হয়।
স্বল্প দূরুত্বের বাহন
ইবাইকের বড় অসুবিধা হলো এক চার্জে বেশিদূর না যাওয়া। সাধারন ইবাইকগুলো এক চার্জে ৪০-৫০কিমি চলে যা শহরে/গ্রামে চলার জন্য কিছুটা উপযোগী হলেও একটু দূরের রাস্তাতে অচল। চার্জ শেষ হয়ে গেলে পুনরায় চার্জ দিতে ৫-৬ঘন্টা লাগে।
তরুনদের উপযোগী নয়
বর্তমানে আসা অধিকাংশ ইবাইকগুলোই স্কুটার ধরনের। ফলে তরুনরা আগ্রহী হয় না। আবার যেগুলো মোটরসাইকেল টাইপ হয় সেগুলোর ডিজাইনও খেলনা টাইপের ডিজাইন হয়ে থাকে যা একজন তরুনকে বন্ধুদের মাঝে হাসির পাত্র করে তুলে।
গতিহীন
যেখানে সাধারন একটি বাইক ৭০-৮০কিমি/ঘন্টা গতি দিতে পারে সেখানে ইবাইকগুলো ৩০-৪০কিমি গতি পেতেই কষ্ট হয়ে যায় যা শহরের জন্য হয়তো কিছুটা চলনসই হলেও হাইওয়েতে কোনোমতেই কাম্য নয়।
ব্যবহারবান্ধব নয়
ইবাইক চালানো সহজ কিন্তু আমাদের দেশের জন্য সুবিধার না। ভাংগাচোরা রাস্তায় ঝাকুনিতে প্লাষ্টিকগুলো খুলে যায়। আমাদের দেশে বর্ষায় হঠাৎ রাস্তায় পানি জমে যাওয়া সাধারন ঘটনা। পানি বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্রের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর। স্পেয়ার পার্টস সহজে পাওয়া যায় না এবং পার্টসের দাম বেশি, দক্ষ টেকনিশিয়ান নেই।
টেকসই নয়
আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত যে ইবাইকগুলো চলতে দেখা যায় তা মানহীন এবং টেকসই নয়। অল্পদামী প্লাষ্টিকের ব্যবহার বেশি যা সহজেই ভেংগে বা নষ্ট হয়ে যায়। একটি সাধারন বাইক যেখানে অনায়াসে ১৫-২০বছর ব্যবহার করা যায় সেখানে একটি ইবাইক ২-৪বছরে নষ্ট হয়ে যায়।
রিসেল ভ্যালু নেই
ইবাইকের প্রচলন না থাকায় এবং বাইকগুলোও তেমন মান সম্মত না হওয়া পুরাতন ইবাইক বিক্রি করতে গেলে আগ্রহী ক্রেতা পাওয়া যায় না, এবং পেলেও তেমন দাম পাওয়া যায় না।
আস্থাহীন আমদানীকারক
চায়না থেকে মানহীন কমদামে ইবাইক এনে নিজেদের নামে ব্র্যান্ডিং করে বিক্রি করার একটি প্রচলন দীর্ঘদিন ধরে দেখা যাচ্ছে। এরফলে একটি ব্র্যান্ডের ইবাইক হঠাৎ দেখা যায়, আবার তারা ব্যবসা গুটিয়ে নিয়ে হাওয়া হয়ে যায়। ফলে ক্রেতা সাধারন বিপাকে পড়ে যায় এই বাইকের পার্টস এবং সার্ভিস নিয়ে।
পরিশেষে
ইবাইক পরিবেশ বান্ধব এবং আগামীর বাইক এটি যেমন ঠিক তেমনি আমাদের দেশে বর্তমান ইবাইকগুলো মোটেও মান সম্মত নয়। তবে ভরসার কথা এই কিছু প্রতিষ্ঠান ইতমধ্যেই ইবাইক নিয়ে কাজ শুরু করেছে। তাদের পারফরমেন্স এবং সেবার মান কেমন হবে তা জানতে আমাদের আরো কিছুদিন সময় দিতে হবে।