দেশে ইয়ামাহা ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল আমদানি ও বাজারজাতের জন্য এসিআই মোটরস লিমিটেডকে বৈধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত পুশ ইন্টারন্যাশনাল, নিউ সোনারগাঁ মোটরস, আরএন এন্টারপ্রাইজ, পোলারিস টেক লিমিটেড ও পাওয়ারপ্যাক ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক ইয়ামাহা মোটরসাইকেল আমদানি ও বিপণনের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। আদালতের এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ও বাংলাদেশ পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ বিষয়ে বিআরটিএর সচিব মুহাম্মদ শওকত আলী বলেন, দেশে ইয়ামাহা মোটরসাইকেল আমদানি ও বিপণনের ক্ষেত্রে বিজ্ঞ আদালত এসিআই মোটরস লিমিটেডকে একমাত্র বৈধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বিআরটিএ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে।
জানা গেছে, এসিআই মোটরস কর্তৃক আমদানি ও বিপণনকৃত প্রচলিত মডেলের বাইরে ইয়ামাহা এফজেডএস এফআই ভি ২.০ ও ফেজার এফআই ভি ২.০ মডেলের মোটরসাইকেল দেশের বাজারে বিপণন করা হচ্ছে। এসব মডেলের মোটরসাইকেল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আমদানি করছে, যারা বৈধ আমদানিকারক নয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এসিআই মোটরস আদালতে একটি আবেদন দাখিল করে।
এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মেসার্স এসিআই মোটরস লিমিটেডকে ইয়ামাহা মোটর প্রাইভেট কোম্পানির তৈরি ইয়ামাহা ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলের বৈধ আমদানিকারক হিসেবে ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে আদালত এসিআই মোটরস ছাড়া অন্য সব অবৈধ আমদানিকারক কর্তৃক আমদানিকৃত ইয়ামাহা মোটরসাইকেল বাজারজাত, রেজিস্ট্রেশন, মেকার্স কোড ও টাইপ অনুমোদন বাতিল ঘোষণা করেছেন। আদালতের এ আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বিআরটিএর করণীয় বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার) মো. নূরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।
অবৈধ মোটরসাইকেল আমদানির বিষয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলে সে বিষয়ে পুলিশ সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (ট্রান্সপোর্ট) একেএম হাফিজ আক্তার।
এসিআই মোটরস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ড. ফা হ আনসারী বলেন, বৈধ ডিলারদের কোনো সার্ভিস পয়েন্টে মোটরসাইকেল এলে গাড়ির চেসিস ও ইঞ্জিন নম্বর মিলিয়ে তারপর সার্ভিস দেয়া হয়। ফলে আমরা সহজেই বৈধ-অবৈধ মোটরসাইকেল চিহ্নিত করতে পারি। বৈধ আমদানিকারকরা সঠিক মূল্য প্রদর্শন করে ১৫০ শতাংশের বেশি শুল্ক প্রদান করে মোটরসাইকেল আমদানি করে। কিন্তু অবৈধ আমদানিকারকরা কম মূল্য দেখিয়ে সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভোক্তাদের প্রতারিত করে। অবৈধভাবে দেশে আসা মোটরসাইকেল অবৈধ কোনো কাজে ব্যবহার করা হলে তা সহজে ধরা যায় না। আবার ক্রেতারাও ক্রয়-পরবর্তী সঠিক সেবাটি পান না। এমনকি প্রচলিত মডেল না হওয়ার কারণে সঠিক যন্ত্রাংশও পাওয়া যায় না। ভোক্তা ও দেশের স্বার্থে মোটরসাইকেল আমদানির শুরুতেই এসব বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
[বনিক বার্তা]