ভাষা বলতে কেবল মুখে উচ্চারিত ধ্বনিই বোঝায় না, কখনো কখনো ভাষা হয়ে দাঁড়ায় নিয়ম-শৃঙ্খলা ও সঠিকভাবে পথ চলার নির্দেশিকা। একজন আরেকজনের সাথে কথা বলতে যেমন ভাষার প্রয়োজন, রাস্তায় চলার জন্যও ঠিক তেমনই ভাষা আছে একটা। আর এই রাস্তার ভাষা সঠিকভাবে মেনে চললে রাস্তায় চলাচল করা যেমন খুব সহজ, তেমনি নিরাপদেও থাকা সম্ভব।
বাজাজ বাংলাদেশ গত বছর ২০২০ সালে ভাষার মাসে এই "পথের ভাষা" জানানোর চেষ্টা করেছিলো সবাইকে। বাজাজ মোটরসাইকেলের চালক, শুভানুধ্যায়ীসহ সবাই এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানায়, এবং দেখা যায় বাজাজ বাংলাদেশ তাদের এই প্রচেষ্টায় আরও অনেককে সচেতন করে তুলতে পেরেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর ২০২১ সালে ভাষার মাসে বাজাজ বাংলাদেশের প্রচেষ্টা "আমি জানি পথের ভাষা" ক্যাম্পেইন। এই ক্যাম্পেইনে অংশ নিতে হলে, একটি ট্রাফিক সংকেতের সাথে নিজের বাজাজ মোটরসাইকেলসহ ছবি নিজের টাইমলাইন থেকে পাবলিকলি শেয়ার করতে হবে ফেইসবুক-এ অথবা ইনস্টাগ্রাম থেকে।
ক্যাপশনে ট্রাফিক সংকেতটি দেখে আপনি কী বুঝেছেন তা এক লাইনে লিখতে হবে।
#আমিজানিপথেরভাষা
#বাজাজবাংলাদেশ
#মাতৃভাষাদিবস২০২১
এই হ্যাশট্যাগগুলো ব্যবহার করতে হবে, যেন আরও অনেকেই এই ধরণের ছবি দেখে জানতে এবং সচেতন হতে পারে।
ক্যাম্পেইনটি ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিনে শুরু হয়ে ২৭শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। ফেব্রুয়ারির শেষ দিন, ২৮শে ফেব্রুয়ারি বিজয়ী ঘোষণা করা হবে বাজাজ বাংলাদেশের ফেইসবুক পেইজে।
বাজাজ বাংলাদেশ সচেতনতায় উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি এই কন্টেস্টে অংশগ্রহণকারীদের পুরস্কার (১০ জনকে) দিয়ে আরও অনুপ্রাণিত করার ব্যবস্থাও রেখেছে। বিজয়ী হতে হলে অবশ্যই ভালো মানের ছবি, বাজাজ মোটরসাইকেলের উপস্থিতি, ছবির মৌলিকতা, রোড সাইনের যথার্থ ব্যাখ্যা এই বিষয়গুলো উপস্থিত থাকতে হবে। ক্যাম্পেইনে অংশ নিলে আপনার ছবিটির স্বত্ব বাজাজ-এর কাছে চলে যাবে। পরবর্তীতে যে-কোনো সময় ছবিটি বাজাজ ব্যবহার করতে পারবে। বাজাজ বাংলাদেশ যে-কোনো সময় প্রতিযোগিতার নিয়ম বা সময়কাল সংশোধন এবং পরিবর্তনের অধিকার রাখে। যেকোনো সমস্যায়,বা কিছু না বুঝতে পারলে বাজাজ বাংলাদেশ এর ফেইসবুক/ইন্সটাগ্রাম পেইজে যোগাযোগ করতে পারবেন।
বাজাজ মোটরসাইকেল চালকেরা সবসময়ই সচেতন, আর তাই বাজাজ বাংলাদেশ তাদের চালকদের সচেতনতায় গর্বিত। আমাদের এই গর্বিত সচেতনতা আমরা ছড়িয়ে দিতে চাই প্রতিটি বাইক চালক, পথচারী, গাড়ি/ট্রাক/রিক্সা/ভ্যান চালক, সবার মাঝে।