ব্যক্তি মালিকানাধীন যানবাহনের মধ্যে মোটরসাইকেল হলো সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত এবং একজন চালককে চলার পথে সর্বাধিক স্বাধীনতা দিয়ে থাকে মোটরসাইকেল যা মুলত পথের জ্যাম এড়িয়ে অনেক সময় পথের বাইরেও স্বাচ্ছন্দ্যে চলার নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে, একইসাথে কমবেশি সকল শ্রেনী পেশার মানুষের সাধ্যের মধ্যেই মুল্য হউয়ার কারনে প্রায় প্রতিটা পরিবারেই একটি অনেক ক্ষেত্রে একাধিক মোটরসাইকেল দেখা যায়।
সবদিক দিয়ে মোটরসাইকেল ব্যবহারের সুবিধা থাকলেও অসুবিধাও রয়েছে বেশকিছু দিক দিয়ে তারমধ্যে অন্যতম হলো, দুষ্কৃতিকারীরা নিজেদের অপকর্ম সম্পন্ন করে দ্রুততার সাথে সরে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকসময় মোটরসাইকেল ব্যবহার করে থাকে, অন্যদিকে যখন একটি বড়ধরনের অপকর্মকে আড়াল করা বা বাস্তবায়ন করার সময়ও মোটরসাইকেলের ব্যবহার দেখা যায়। এইসব বিচ্ছিন্ন ঘঠনার ফলস্বরুপ দায় এসে [পড়ে সাধারন বাইকারদের ওপর এবং প্রশাসন বাইকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
আর এই সকল বিষয় খেয়ালে রেখে যে কোন দেশে এমার্জেন্সী অবস্থা তৈরি হলে দেখা যায় যে সবার আগে মোটরসাইকেলের ওপর। এই সকল বিষয়ের দিকে খেয়াল রেখে বাইকারদের কিছু পরামর্শ নিম্নে উল্লেখ করা হলো। বিশেষত সেই সকল বাইকারদের জন্য যাদের দিনের অধিকাংশ সময় বাইক নিয়ে পার হয়ঃ
খেয়াল করুন কোন কোন ধরনের বিধি নিষেধের আওতায় আপনি আপনার বাইক থাকার কারনে পড়তে যাচ্ছেনঃ
সাধারণ বিধিনিষেধ:
• কমপ্লিট ব্যান: পাবলিক রাস্তায় মোটরবাইক চালানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হতে পারে।
• কারফিউ: মোটরবাইক শুধুমাত্র দিনের নির্দিষ্ট সময়ে চালানো যেতে পারে।
• রেস্ট্রিকটেড এরিয়া: কিছু কিছু এলাকায় মোটরবাইক চলাচলের সীমাবদ্ধতা হতে পারে, যেমন দুর্যোগপুর্ন অঞ্চল বা অন্যান্য পথ।
• স্পীড লিমিট: মোটরবাইকের জন্য নিম্ন গতির সীমা প্রয়োগ করা হতে পারে।
মোটরবাইক চালকদের যা করা উচিত:
• আপডেট রাখুন: স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জরুরি সতর্কতা, খবর এবং অফিসিয়াল ঘোষণার আপডেট রাখুন।
• বিধিনিষেধ মেনে চলুন: সরকার কর্তৃক আরোপিত সকল মোটরবাইক নিষেধাজ্ঞা মেনে চলুন।
• নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিন: অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন এবং নিজের এবং অন্যদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিন।
• কর্তৃপক্ষের সাথে সহযোগিতা করুন: কর্তৃপক্ষ দ্বারা বন্ধ হলে, সম্পূর্ণ সহযোগিতা করুন এবং তাদের নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।
• প্রস্তুত থাকুন: আপনার মোটরবাইকে জরুরি সরবরাহ যেমন পানি, হালকা খাবার প্রয়োজনে প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জাম সংগে রাখুন।
মনে রাখবেন: জরুরি অবস্থার সময় প্রাথমিক লক্ষ্য হল জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা করা। মোটরবাইক বিধিনিষেধ মেনে চলার মাধ্যমে, আপনি এই প্রচেষ্টাগুলিতে অবদান রাখেন এবং জড়িত প্রত্যেকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করেন।