যানবাহন এবং কলকারখানা থেকে নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইডের কারনে পৃথিবীতে দিনে দিনে তাপ বেড়ে যাচ্ছে। ফলে বরফ গলে পৃথিবীর অনেকাংশ তলিয়ে যাবার সম্ভবনা যেমন বেড়ে যাচ্ছে তেমনি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরিমানও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাংলাদেশ গরম প্রধান দেশ হবার কারনে এবং জ্বালানি তেল চালিত যন্ত্রাদির অতি ব্যবহারে দিনে দিনে গরম বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর তাই পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতোই বাংলাদেশেও ইলেক্ট্রিক মোটরযান অনুমোদনের নীতিগত পর্যায়ে রয়েছে। এবছরের শুরুতে ইলেক্ট্রিক মোটরযান অনুমোদনের নীতিমালা প্রস্তুত বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং সেখানে একটি খসড়া নীতিমালা প্রনয়ন করা হয়। যা পরবর্তী সংশোধন সাপেক্ষে অনুমোদনের পথে রয়েছে।
অনুমোদনের জন্য প্রস্তাবিত মোটরযানসমুহ:
- মোটরসাইকেল
- থ্রি-হুইলার
- হালকা মোটরযান
- মধ্যম মোটরযান
- ভারী মোটরযান
বাহনগুলো যথানিয়মে বিআরটিএ থেকে নিবন্ধন সাপেক্ষে ব্যবহার করা যাবে। রূপান্তরিত ব্যাটারী চালিত রিক্সা/বাইসাইকেল এর আওতাধীন থাকবে না।
দেশে এখন পর্যন্ত বিদ্যুতচালিত কোন মোটরযান অনুমোদিত নয় তবে জেলা শহরগুলোতে সিটি কর্পোরেশনের অধীনে সীমিত আকারে মোটরবাইকের অনুমোদন দেয়া হয়ে থাকে। যা শহর ব্যতিত হাইওয়েতে চলাচলের অনুমতি পায় না।
বাংলাদেশে চায়না থেকে আমদানীকৃত কিছু ইলেক্ট্রিক মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড চোখে পড়ে। এছাড়াও রানার ও আকিজ মোটরস সীমিত আকারে ইলেক্ট্রিক মোটরসাইকেল তৈরী করছে। গ্রীনটাইগার, এক্সপ্লয়েটসহ আরো ইলেক্ট্রিক মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড বাংলাদেশে সীমিত আকারে ইলেক্ট্রিক মোটরসাইকেল বিক্রি করছে। সহজ ব্যবহারের কারনে এর চাহিদা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মানসম্মত ইলেক্ট্রিক মোটরযান একদিকে যেমন পরিবেশ বান্ধব হবে তেমনি সোলার প্যানেলের মাধ্যমে চার্জিং স্টেশনগুলো নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরী করবে।