বেনেলির অত্যান্ত আকাঙ্ক্ষিত একটি বাইক হচ্ছে টিএনটি যেটা বাংলাদেশের মার্কেটে আগামী এপ্রিল মাস হতে পাওয়া যাবে এবং বাইকটার সম্ভাব্য দাম হবে ১৮৫০০০ টাকা।
তৃতীয় ঢাকা বাইক শো ২০১৭ তে বেনেলির একমাত্র পরিবেশক “স্পীডোজ লিমিটেড“ টিএনটি বাইকটা গ্রাহকদের সামনে প্রদর্শন করেছেন এবং তারা বলেছেন যে, এটা তাদের আপকামিং একটি বাইক যেটা আসবে কি/না এটা নিয়ে পরিষ্কার কোন বক্তব্য ছিলো না কিন্তু ভালো খবর এই যে বাইকটা এখন বাংলাদেশে আসছে।
বেনেলি হচ্ছে ইতালিয়ান একটি মোটসাইকেল প্রস্তুতকারক কোম্পানী এবং “স্পীডোজ লিমিটেড” হচ্ছে বাংলাদেশে কিওয়ে ও বেনেলির একমাত্র পরিবেশক ।
কোম্পানীটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মিঃ জামান এস খান সৌরভ বলেনঃ বেনেলি টিএনটি বাইকটার ডিজাইন ও গঠন সকল বাইকারদের মন জয় করবে। এটা যেমন স্পীড দিবে ঠিক সেরকমই আরামও দিবে। এই এপ্রিলে বাইকটি লোকাল মার্কেটে পাওয়া যাবে । বাইকটার দাম হবে সম্ভবত ১৮৫০০০ বা এর কাছাকাছি।
এটা স্কেপ ম্যাশিন নামে পরিচিত এবং এর লুক খুবই চমৎকার। এর সামনে থেকে দেখলে মনে হবে একটা চিতা বাঘ অত্যান্ত রাগের সাথে আপনার দিকে তাকিয়ে আছে এবং একটু পরে শিকার ধরার জন্য দৌড় দিবে।
১৫০ সিসির ইঞ্জিনে আছে ইএফআই প্রযুক্তি ও ওয়াটার কুলিং সিস্টেম যেটা সার্বক্ষণিক পারফরমেন্স নিশ্চিত করবে।
তেল ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ১৩.৫ লিটার, রেসিং রেয়ার সাসপেনশন, রেয়ার ইন্সপায়ার এক্সহস্ট, মোটা হুইল ও চাকা, অ্যালুমিনিয়াম বডি, ৪ স্ট্রোক ইঞ্জিন, হাই পারফরমেন্স ডিস্ক ব্রেক এগুলো সব রয়েছে এই বাইকের সাথে।
ইঞ্জিনের সিংগেল সিলিন্ডারের সাথে রয়েছে ২টি ভাল্ভ যা এর টর্ক কে করেছে ১৩.৫ এনএম এবং ম্যাক্স পাওয়ারকে করেছে ১৩.৮২ বিএইচপি ।
ইঞ্জিনের সাথে ৫টি স্মুথ গিয়ার বক্স রয়েছে এবং সামনের দিকে আপ সাইড ডাউন সাসপেনশন ও পেছনের দিকে মনোশক সাসপেনশন রয়েছে।
চমৎকার দেখতে এই বাইকটির ওজন রয়েছে ১৩৬ কেজি। উভয় চাকাতে এলয় হুইল এবং টিউবলেস টায়ার রয়েছে । সামনের দিকের ডিস্ক ব্রেকের পরিমাপ রয়েছে ২৬০ মিমি এবং পেছনের দিকের রয়েছে ২৪০ মিমি। কম্বি ব্রেকিং সিস্টেম এই বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে।
এলিডি ইন্ডিকেটর ও হ্যালোজিন হেডল্যাম্প রাতে নিশ্চিত করে পর্যাপ্ত আলো এবং ঝামেলাবিহিন রাইডিং।
টিএনটি ১৫০ তে ফুল ডিজিটাল মিটার ব্যবহার করা হয়েছে।
এই বাইকটিতে স্ক্রাচলেস কি প্রযুক্তি রয়েছে যা ব্যবহারকারী বাইকের চাবি সুবিধামত ফোল্ডিং করতে পারবে এবং এর ফলে পকেটে থাকা মোবাইল বা অন্য কোন সেন্সিটিভ জিনিসে দাগ ফেলবে না।
সামনে টেলিস্কোপিক ফর্ক ও পেছনে মনোশক সাস্পেনশন থাকার কারনে রাইডার ও পিলিয়ন যে কোন রাস্তায় অনেক আরামদায়ক রাইডিং অনুভব করতে পারবেন।
এটাতে ইন্টারন্যাশনাল ৫ স্পীড গিয়ার সিস্টেম রয়েছে এবং আরও রয়েছে ইলেকট্রিক ও কিক স্টার্ট অপশন। গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স রয়েছে ১৭০ মিমি।