সম্প্রতি পদ্মাসেতু, এক্সপ্রেস হাইওয়ে এবং ঈদের ৭দিন মহাসড়কে বাইক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গত ঈদে যাতায়াতে পরিবহন সেক্টরের নৈরাজ্যে অতিষ্ট হয়ে বাইকাররা নিজের বাইকে করেই বাড়ীর পানে ছুটেছেন। এতে কিছু মহল অসন্তুষ্ট। তাদের স্বার্থ রক্ষার্থে এবার মহাসড়কে বাইক নিষিদ্ধ করা হলো। এ নিয়ে তুমুল প্রতিবাদ/সমালোচনা চলছে বাইকারদের মধ্যে। অনেক বাইকাররাই সরব প্রতিবাদ/মতামত জানিয়েছেন ফেসবুকে। সেখান থেকেই কিছু অংশ তুলে ধরা হলো-
Retired Rider ফেসবুকে পোষ্ট দিয়েছেন-
সরকার যদি ঘোষণা দিতেন ৭ জুলাই থেকে ১৩ জুলাই মহাসড়কে মোটরসাইকেলের পাশাপাশি তিন চাকার যানবাহন যেমন রিক্সা, সিএনজি, নসিমন সাইকেল… সহ ফিটনেস বিহীন, রেজিস্ট্রেশন বিহীন অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স বিহীন চালক চলতে পারবেনা তাহলে কোনও সমস্যা ছিলোনা …… কিন্তু শুধুমাত্র বাসের বিজনেস বাড়ানোর জন্য এই ঘোষণার আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি……
এক্সিডেন্ট যদি মুল বিষয় হয় তাহলে মোটরসাইকেলের পাশাপাশি তিন চাকার যানবাহন যেমন রিক্সা, সিএনজি, নসিমন সাইকেল… সহ ফিটনেস বিহীন, রেজিস্ট্রেশন বিহীন অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স বিহীন চালক মহাসড়কে নিষিদ্ধ করার দাবী জানাচ্ছি অন্যথায় মহাসড়কে নিয়ম মেনে মোটরসাইকেল চলানোর অনুমতির আবেদন করছি
বিনীত নিবেদক
রোড ট্যাক্স, ফিটনেস প্রদানকারী লাইসেন্সধারি অসহায় মোটরসাইকেল চালক
Arif CU মতামত জানিয়েছেন এভাবে-
বাইকারদের পাশে আসলে কেউ নেই। না কোন মন্ত্রী, না কোন এমপি, না কোন বড় রাজনৈতিক নেতা। এই বাইকাররাই প্রায় স্থবির একটা জ্যামের নগরীকে সচল রাখে। এই বাইকের ওপর ভর করে কতো পেশা, কর্মসংস্থান হয়েছে তার হিসেব করা কঠিন। রাইড শেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি, কুরিয়ার..... কতো লক্ষ লক্ষ লোক এই নির্দয় শহরে শুধু বাইকের ওপর ভর করেই বেচে আছে!
মিছিলে বাইক, মিটিংয়ে বাইক, রাজনৈতিক কর্মকান্ডর বিশাল কর্মজজ্ঞে বাইকের ব্যবহার চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। সড়ক নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিসেরও বাইক ছাড়া উপায় নেই।
একজন মেডিক্যাল রিপ্রেজেনটেটিভ জানে বাইক তাকে কিভাবে বাচিয়ে রাখে। একজন সেলসম্যান জানে বাইক কিভাবে তার ব্যাবসা বড় করায়। একজন ছাপোষা চাকুরিজীবী জানে বাইক ছাড়া কোনভাবেই সে এই শহরে খরচের লাগাম টেনে রাখতে পারতোনা।
আমি একজন অতি সাধারন নিম্ন মধ্যবিত্ত বাংলাদেশের নাগরিক। আমার সামর্থ্য নেই অন্য কোন বাহন কেনার। আমার একটা বাইক আছে। ওতে করেই আমি কাজে যাই, বাজারে যাই, পরিবারের সাথে বিকেল বেলা বাতাস খেতে যাই। ছূটিছাটায় বেড়াতে যাওয়ার অবলম্বনও ওই বাইকটাই।
বৈধ লাইসেন্স, বৈধ বাইক, বাইকের রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ট্যাকস টোকেন, সার্টিফায়েড হেলমেট, রাইডিং গিয়ার থাকা সত্বেও আমি এবার ইদের ছুটিতে কোথাও বেড়াতে যেতে পারবোনা।
কেউ কি দাড়াবেনা আমার মতো লাখো বাইকারদের পাশে?
Mrk Mamun বলেছেন-
নিজের দেশে নিজের টাকায় কেনা বাইক আন্তঃজেলা তে চালানো যাবেনা, নিজেদের টাকায় নির্মাণ করা সেতুতে উঠা যাবেনা, এ কেমন স্বাধীন দেশে থেকেও বাইকাররা কতটা পরাধীন!
Shaikh Md Noman ছন্দে ছন্দে মতামত ব্যক্ত করেছেন-
বাসের টিকেট যে ঈদে সোনার হরিণ কে জানে তা
১টাকার টিকেট হয়ে যায় ২টাকা কে মানে তা
শক্তিতে তারাই সেরা কে বুঝে না
সবাই নম নস্যি সেই শক্তিতে আমজনতা বুঝে তা
লাইনে ভিজে কয়জন পায় সোনার হরিণটা
Abu Sufian Raj লিখেছেন-
গতকাল থেকে ৪০% ভাড়া বেড়েছে বাসে, তাও টিকিট নাই। দুইদিন স্টেশনে ঘুমিয়ে টিকিট কাটতে হচ্ছে ট্রেনের।আর সরকার আছে বাইক নিয়ে। হাস্যকর।
HR Hasib লিখেছেন-
একটা বাইক কিনে ৬৪ জেলায় রেজিষ্ট্রেশন করবো। যেদিন যে জেলায় যাব সেদিন সেই জেলার ডিজিটাল প্লেট নিয়ে যাব। জেলা চেঞ্জ প্লেটও চেঞ্জ!!