বাংলাদেশের প্রথম বাইকার পর্যটক যুগল আলমগীর আহমেদ চৌধুরী ও চৌধুরানী দিপালী আহমেদ নিজ দেশের ৬৪টি জেলাসহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ভ্রমণ শেষে সার্কভুক্ত ৮ দেশের ভ্রমণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। গত ২৬শে মার্চ তারা তাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং পরবর্তী ভ্রমণের পরিকল্পনা সম্পর্কে টিম মোটরসাইকেল ভ্যালীর সাথে বিস্তারিত আলোচনা করেন-
ট্যুরিজমই একমাত্র সেক্টর যাহা বাংলাদেশের জন্য তৈরি পোশাকখাতের চেয়েও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ট্যুরিজমকে CSR অন্তর্ভুক্ত করেছে। এমন একটি জাতীয় উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ভিজিট বাংলাদেশ ২০১৬ স্লোগানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিগত ৩০ অক্টোবর ২০১৬ হতে ২৫ শে জানুয়ারী ২০১৭ পর্যন্ত প্রায় ৮৭ দিনে পর্যটক যুগল (বাইকার কাপল) আলমগীর আহমেদ চৌধুরী ও চৌধুরানী দিপালী আহমেদ ৬৪ জেলায় ক্রমাগত ভ্রমন করে পর্যটন বিষয়ে প্রচারণা চালানোর জন্য প্রতিটি জেলায় জেলায় প্রশাসনের সাথে মত বিনিময়, একটি করে স্কুল/কলেজে বক্তব্য প্রদান, প্রতিটি জেলায় একটি করে সংবাদ সম্মেলন এবং পর্যটন আকর্ষণীয় স্থান পরিদর্শন করে যুব সমাজকে পর্যটন বিষয়ে উদ্বুদ্ধ/উৎসাহিত করেন। এই ক্যামপেইন টি আয়োজিত হয় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের “বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড” এর স্পনসার ও প্রশাসনিক সহয়তায়। উক্ত ক্যাম্পেইনে লিফান কেপিআর ১৫০ ব্যবহৃত হয়, যাহা স্পনসর করেন রাসেল ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ।
রাসেল ইন্ডাস্ট্রীজ লি: এর সিইও জনাব নুরুল আবসার রাসেল এর সংগে (কো স্পন্সর: ভিজিট বাংলাদেশ ২০১৬)
ভিজিট বাংলাদেশ ২০১৬ এই ক্যাম্পেইনটি জাতীয়ভাবে সমাদৃত হয় এবং আলোচিত হয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম, পত্রিকা, টেলিভিশন, অনলাইন মিডিয়ায়। ক্যাম্পেইন শেষে পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রী জনাব রাশেদ খান মেনন পর্যটক যুগল ( বাইকার কাপলকে) জাতীয় পর্যটন সংস্থা “ বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড” এর পক্ষ হতে সম্মাননা প্রদান করেন এবং আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উক্ত ক্যাম্পেইন এর ভিডিও প্রেজেন্টেশন উপভোগ করেন। উক্ত ক্যাম্পেইনের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে আরেকটি ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয় “ট্যুরিজম ফর অল বাংলাদেশ টু ওয়েস্ট বেঙ্গল”। উক্ত ক্যাম্পেইনে ২৫ শে ২০১৭ থেকে ২৫ জুন ২০১৭ পর্যন্ত ৩০ দিন ব্যাপী বাইকার কাপল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ভ্রমন করেন। উক্ত ভ্রমণে পশ্চিম বঙ্গের (ভারতের) পর্যটন মন্ত্রনালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাইকার কমিউনিটি এবং যুব সমাজের মধ্যে মত বিনিময়, বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের পর্যটন বিষয়ক প্রচারণা চালান। ক্যাম্পেইন শেষে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের পর বাংলাদেশের পর্যটন মন্ত্রী জনাব রাশেদ খান মেনন “বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড” এর পক্ষ থেকে সম্মাননা সার্টিফিকেট এবং “Toursit couple of Bangladesh” ক্রেস্ট প্রদান করেন ও এই ক্যাম্পেইন এর ভিডিও প্রেজেন্টেশন উপভোগ করেন।
Tourism for all Bangladesh to West Bengal- 2017 (Biker Couple with tourism Minister Rashed Khan Menon& Dr. Md. Nasir Uddin CEO Bangladesh Tourism Board)
Visit Bangladesh – 2016 (Biker Couple with tourism Minister Rashed Khan Menon & AKhtaruz Zaman Khan Kabir CEO Bangladesh Tourism Board)
“ট্যুরিজম ফর অল বাংলাদেশ টু ওয়েষ্ট বেঙ্গল” ক্যামপেইন এর কো-স্পন্সর ছিলো ইয়ামাহা
Biker Couple in Motor Bike Handover Ceremony With CBO Subrata Ranjan Das & Other Officeals ACI Motors Yamaha (Tourism for all Bangladesh to West Bengal- 2017)
“ট্যুরিজম ফর অল বাংলাদেশ টু ওয়েষ্ট বেঙ্গল” ক্যামপেইন এর আরও কো-স্পন্সর ছিলো এম.জে.এল বাংলাদেশ মবিল।
With Syed Ghulam Dastagir, Head of Brands & Market Communications. Effat Ara Kabar Asst. Manager Brand MJL Bangladesh Ltd. (Tourism for all Bangladesh to West Bengal- 2017)
বাংলাদেশের পর্যটনকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য উক্ত বাইকার কাপল এর জন্য এবার আয়োজিত হয়েছে “ Tourism for all: Ride from Bangladesh for SAARC” গত ১লা জানু ২০১৮ তারিখে বাংলাদেশ পর্যটন মন্ত্রণালয় এর জাতীয় পর্যটন সংস্থা “বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড” ক্যাম্পেইন এর আদেশ পত্র প্রদান করেন। উক্ত প্রোগ্রামের সমর্থনে রয়েছে “Tour operators association of Bangladesh (TOAB)”। উক্ত ক্যাম্পেইনটি ১লা সেপ্টেম্বর ২০১৮ হইতে ৩০ অক্টোবর ২০১৮ তে সম্পন্ন হবে। এই ক্যাম্পেইন এ বাইকার কাপল বাংলাদেশ দেশ সহ সার্কভুক্ত ৮টি দেশ নেপাল, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্থান, শ্রীলংকা এবং মালদ্বীপ এর রাজধানী কেন্দ্রিক প্রচারণা চালানোর জন্য প্রত্যেক দেশের ১/২টি করে বিশ্ববিদ্যালয়, পর্যটন মন্ত্রণালয়, সংবাদ সম্মেলন, মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব এবং বিভিন্ন কমিউনিটিতে আলোচনা ও মতবিনিময়ে অংশগ্রহন করবেন। আশা করা যায় উক্ত ক্যাম্পেইনটি বাংলাদেশের পর্যটনকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও বিকশিত করতে সুসফল ভুমিকা রাখবে ।
BRAC UNIVERSITY এর DRFM-B প্রজেক্টের ৬৪ জেলা ব্যাপী অফিশিয়াল কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আলমগীর আহমেদ চৌধুরী রাজশাহী আসলে গত ২৬শে মার্চ ২০১৮ইং তারিখে MOTORCYCLEVALLEY তে তাদেরকে স্বাগতম জানানো হয় এবং সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়।
BRAC UNIVERSITY এর এমন একটি প্রজেক্টে তাকে অংশ গ্রহনের সুযোগ প্রদান করে জাতীয় উন্নয়নে অংশ নেয়ার জন্য তিনি ধন্যবাদ প্রদান করেন। প্রোগ্রাম ম্যানেজার “আফসানা চৌধুরী এবং ডঃ রফিকুল ইসলাম সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে। বাইকার যুগল বরাবরই জাতীয় উন্ন্যনের বিষয়ে আবদান রাখতে সচেষ্ট,তেমনি তিনি সকলকে যার যার অবস্থান থেকে জাতীয় উন্ন্যনের জন্য প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানান। বিশেষ করে তিনি মোটর বাইকার কমিউনিটি এবং বাইকারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
আলমগীর আহমেদ চৌধুরী পেশায় একজন ব্যবসায়ী। পেশাগত কর্মকান্ডের পাশাপাশি মটর বাইক রাইড এবং ট্যুরিজম তার অন্যতম প্যশন। বিগত ২০ বৎসর যাবৎ মোটরবাইক রাইড করে ট্যুরিজম কে প্রমোট করার জন্য অনবরত কাজ করে যাচ্ছেন তিনি, তার সঙ্গে আছেন সহধর্মীনি “চৌধুরানী দীপালি আহমেদ”।
চৌধুরানী দীপালি আহমেদ” পেশায় একজন গৃহিনী। মোটর বাইক রাইড করা এবং ঘুরে বেড়ানোর প্যশন নিয়ে তিনিও মিলিত হয়েছেন “আলমগীর আহমেদ চৌধুরী” এর সাথে। বিবাহের পর থেকেই তিনি মোটর বাইক রাইডিং শিখেছেন জীবনসঙ্গী “আলমগীর আহমেদ চৌধুরী” নিকট থেকে এবং মোটরবাইক রাইড করে যৌথ ভাবে ট্যুরিজম কে প্রমোট করার জন্য অনবরত কাজ করে যাচ্ছেন।
তারা তাদের আপকামিং ক্যাম্পেইন এর জন্য সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন। উল্লেখ্য যে এবার এর ক্যাম্পেইনে তারা দুইজন ২টি মোটর বাইক নিয়ে ভ্রমণ করবেন। শীঘ্রই তারা এই ব্যাপারে স্পন্সরদের সাথে আলোচনা করে মোটরবাইক ব্রান্ড চূড়ান্ত করবেন। এই ক্যাম্পেইনটি কিছুটা ব্যায়বহুল হওয়ায় তিনি স্পন্সরদের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
Visit Banglades 2016 সফল করতে বাইকার কাপল বিশেষ ধন্যবাদ জানান “বাংলাদেশ ট্যুরিজ বোর্ডের তৎকালিন CEO জনাব “আখতারুজ জামান খান (কবির) কে তাদের উপর আস্থা রাখার জন্য। “Tourism for all Bangladesh to West Bengal এবং Tourism for all: Ride from Bangladesh for SAARC” ক্যামপেইন আয়োজন করার জন্য আরো ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এর বর্তমান CEO জনাব ডঃ মোঃ নাসিরুদ্দিন কে।
সর্বদা সকল ক্যামপেইন আয়োজনে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানান “বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড” এর পরিচালক জনাব “নিখিল রঞ্জন রায়” উপ-পরিচালক জনাব “নজরুল ইসলাম” এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এর সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের।