বঙ্গবন্ধু সেতুসহ দেশের অন্যান্য সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল করলেও পদ্মা সেতুতে নিষিদ্ধ। যোগাযোগ ব্যবস্থায় দেশের দক্ষিন অংশে মাইলফলক স্থাপন করা এই সেতুতে দীর্ঘ আট মাসের বেশি সময় বাইক চলাচল বন্ধ রয়েছে। সেতুটি চালুর পর প্রথম ঈদুল ফিতর হচ্ছে এবার। মোটরসাইকেলের খসড়া নীতিমালা প্রকাশ পাওয়ায় বাইকারদের স্বাভাবিক একটি প্রশ্ন — পদ্মা সেতু দিয়ে প্রথম ঈদযাত্রায় তাদের কী হবে? অন্য সেতু দিয়ে চলাচল করলেও পদ্মা সেতুতে কেন নিষেধাজ্ঞা থাকবে?
সেতু কর্তৃপক্ষ সুত্র থেকে শোনা যাচ্ছে, পদ্মা সেতুতে দুর্ঘটনা এড়াতে এবং সেতুটি নিরাপদ রাখতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গত ৮ মাসে সেতু দিয়ে বাহনটি চলাচল করতে দেওয়া নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। শিগগিরই নতুন কোনও সিদ্ধান্ত আসার সম্ভাবনা তেমন একটা নেই। ফলে এবারের ঈদযাত্রায় বর্তমান আদেশ বহাল থাকার সম্ভাবনাই বেশি — মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেতু কর্তৃপক্ষের এক প্রকৌশলী জানিয়েছেন, পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে তাঁরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ–সংক্রান্ত নথিপত্র প্রস্তুত করে সরকারের উচ্চপর্যায়ে পাঠানো হচ্ছে। অনুমতি পেলে ঈদুল ফিতরের আগেই পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলতে পারে। মোটরসাইকেল সেতুর দুই প্রান্তের আলাদা দুটি লেন দিয়ে চলাচল করবে বলে ওই প্রকৌশলী জানিয়েছেন।
কর্তৃপক্ষের ওই প্রকৌশলী আরও বলেন, গত সপ্তাহে সেতুর নিরাপত্তা নিয়ে জাজিরার শেখ রাসেল সেনানিবাসে একটি সভা হয়েছে। ওই সভায় সেতু কর্তৃপক্ষ, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের বিষয়ে আলোচনা হয়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সবদিক ভেবে সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের ব্যাপারে লিখিতভাবে সরকারের উচ্চপর্যায়ে তুলে ধরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
অর্থাৎ চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানার জন্যে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন। তবে সামগ্রীক অবস্থা বিবেচনায় রেখে বাইকারদের জন্যে সরকার এবং সেতু কর্তৃপক্ষ ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিবেন বলেই আশা করছি।
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের সেন্সিটিভ স্থাপনাগুলোর মধ্যে একটি তাই বাংলাদেশ সরকার এই সেতুর নিরাপত্তার ব্যাপারে যেমন আন্তরিক ঠিক ঈদ যাত্রায় মানুষের হয়রানী থেকে পরিত্রানের জন্যে শর্ত সাপেক্ষে পদ্মা সেতু ব্যবহার করতে দেওয়ার অনুমতি কর্তৃপক্ষ দেবে বলেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।