Yamaha Banner
Search

2017-04-22

coxs-bazar-to-himalaya-01


কক্সবাজার সহ বাংলাদেশের পর্যটন এবং নিরাপদে মোটরসাইকেল চালানো নিয়ে প্রচারনা চালাতে জুন সাদিকুল্লাহ এবং আবিদুর রহমান ‘সমুদ্র সৈকত থেকে হিমালয় কন্যা’ স্লোগান নিয়ে ১৪ দিনে তিন দেশের ৪ হাজার ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে দেশে ফিরেছেন । গত ২৬ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করে ৭ জানুয়ারি বেনাপোল হয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসেন তিনি। এরপর ৮ জানুয়ারি ভোরে ঢাকায় পৌঁছান।

মোটরসাইকেল ভ্যালির এসিটেন্ট এডিটর মিকদাদ বিন হক ইথারের সাথে অন্তরঙ্গ আলাপ কালে জুন সাদিকুল্লাহ জানান কক্সবাজার থেকে বেনাপোল; বেনাপোল থেকে মোটরসাইকলে চালিয়ে প্রথমে তারা কলকাতা যান। এরপর সেখান থেকে পাটনা। পাটনায় ভারতের বীরগঞ্জ সীমান্ত ও নেপালের রাখসুল সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে যাত্রার চতুর্থ দিনে রাজধানী কাঠমান্ডু পৌঁছান। এরপর আবার কলকাতা হয়ে বেনাপোল দিয়ে বাংলাদেশে ফেরেন। যাত্রা কালে বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন তিনি, কখনো ভয় পেয়েছেন, কখনো অভিভূত হয়েছেন, কখনো মনে হয়েছে এই বুঝি অভিযান শেষ হয়ে গেলো। মোটরসাইকেলভ্যালীর সাথে তার এই রোমাঞ্চকর স্মৃতি শেয়ার করতে গিয়ে জুন বলেন যারা “যারা অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন তাদের জন্যই এমন যাত্রা”।

জুন বলেন, যাত্রাপথে পুরোটা সময় আমি বাংলাদেশেরে পর্যটন বিশেষ করে কক্সবাজারকে তুলে ধরেছি । কলকাতা এবং নেপালে মানুষকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়ানোর আমন্ত্রণ জানিয়েছি। বাংলাদেশ ভ্রমণে অনেকেই আগ্রহ দেখিয়েছেন জানিয়ে জুন বলেন, দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত সম্পর্কে অনেকেরই আগে ধারণা ছিলো না। এখন অনেকেই কক্সবাজার ভ্রমণে আগ্রহ দেখিয়েছেন। যাত্রাপথে

বাংলাদেশকে তুলে ধরার পাশাপাশি নিরাপদ মোটরসাইকেল চালানো নিয়েও ক্যাম্পেইন করেছেন তিনি।

মোটরসাইকেলভ্যালীর সাথে দীর্ঘ সাক্ষাৎকারের উল্লেখযোগ্য অংশ তুলে ধরা হল।



coxs-bazar-to-himalaya-02



মোটরসাইকেলভ্যালী: এই রকম ভ্রমণের প্রধাণ অভিপ্রায় কী ছিল?
জুন সাদিকুল্লাহ: আমরা যারা বাইক চালাই তাদের সবার ইচ্ছে থাকে বাইক নিয়ে দেশের বাহিরে যাওয়ার, তবে দেশের বাহিরে বাইক নিয়ে যাওয়ার সময় একটা বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে গেলে কিছু এক্সট্রা ফ্যাসিলিটি পাওয়ার যায় যেমন আমরা চেয়েছিলাম পৃথিবীর সবচাইতে বড় সমুদ্র সৈকত (Cox'sbazar World's Longest Sea Beach) কক্সবাজার কে প্রমোট করতে।






coxs-bazar-to-himalaya-03


মোটরসাইকেলভ্যালী: নেপালকেই কেন বেছে নেওয়া নিলেন?
জুন সাদিকুল্লাহ: এই কক্সবাজার টু কাঠমুন্ডু শুধু স্বপ্ন দেখে যেতাম যাওয়া আর হতোনা। তবে এখানে আরও কিছু মানুষের নাম নিতেই হবে যাদের মধ্যে রয়েছেন নেপালে বাংলাদেশ এমব্যাসির Mohammad Barikul Islam বারিকুল ভাই, Raven Madvertising এর Easel Mortuza ভাই আর Shahriar Sujit ভাই তাদের সাথে ট্যুর নিয়ে আলোচনা করা সময় নেপাল থেকে ফোনে যোগ দেন বারিকুল ভাই উনি আমাদের কক্সবাজার থেকে কাঠমুন্ডু যাওয়ার প্ল্যান করতে বলেন আর ইন্ডিয়াতে আমি বৎসর চারেকের মতো ছিলাম তাই মনে মনে নেপাল ছিল প্রায়োরিটি লিস্টে, তাই আর দেরি করিনি।

মোটরসাইকেলভ্যালী: যাত্রা শুরু করার পূর্বে কিভাবে আপনি সকল কাগজপত্র ও আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করলেন?
জুন সাদিকুল্লাহ: প্রথম কাজ ভিসা সংগ্রহ করা, এরপর ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স করা। ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে লাগবে আপনার বাংলাদেশী ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ফটোকপি আর যদি চিপ ছাড়া পুরাতন লাইসেন্স হয় আমার মতো তাহলে যেখান থেকে লাইসেন্স ইস্যু করা করা হয়েছিলো সেখান থেকে সত্যায়িত করে নিয়ে আসতে হবে। ন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ এক বৎসর খরচ ২৫০০ টাকা। ভিসা হলো, ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স হলো, এবার লাগবে কারনেট। আসলে আমাদের দেশে কারনেট মানেই সবাই মনেকরে নিষিদ্ধ কিছু, এর কারন কিছু অসাধু মানুষজন যারা বিদেশ থেকে কারনেট সুবিধায় দামিদামি গাড়ি নিয়ে এসেছে (কারনেট সুবিধায় গাড়ি নিয়ে এলে ট্যাক্স দিতে হয়না ) আর কিন্তু আর ফেরত নিয়ে যায়নি, কিছু গাড়ি ভুয়া নাম্বার করে বিক্রি করে দিয়েছে না হয় ভুয়া নাম্বার করে ট্যাক্স ফাকি দিয়ে ব্যাবহার করছে আর এই কারনে কারনেট ম্যাটারে এনভল্ব হয়েছে এনবিআর। তবে বাংলাদেশে রেজিস্ট্রেশন করা যেকোন গাড়ি অথবা মোটরসাইকেল কারনেট সুবিধা নিতে পারে কিন্তু এনবিআর এর কাছ থেকে এনওসি নিতে হবে। এনওসি নেওয়ার পর যেকোনো ব্যাঙ্কে আপনার বাইকের দামের সমান টাকা জমা রেখে বাংলাদেশ অটোমোবাইল এসোসিয়েশন এর নামে গ্যারান্টি লেটার দিতে হবে আর কারনেট ফি ১২০০০ টাকা এটা ইস্যু হয় সুইজারল্যান্ড থেকে আর যেখান থেকে ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং পারমিট করবেন একমাত্র তারাই আপনাকে হেল্প করবে কারনেট এর জন্য। তবে কারনেট নিলেও আপনাকে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বর্ডারে আপনাকে বণ্ড দিয়ে যেতে হবে।



coxs-bazar-to-himalaya-04


মোটরসাইকেলভ্যালী: কোন স্পন্সর এর সহযোগিতা পেয়েছিলেন?
জুন সাদিকুল্লাহ: আমাদের মেইন স্পন্সর ছিল MJL Bangladesh Limited (মবিল ওয়ান) আর ট্যুর পার্টনার ছিল RASEL INDUSTRIES LIMITED সাথে ছিল CLUB KPR।



coxs-bazar-to-himalaya-05


মোটরসাইকেলভ্যালী: যাত্রা শুরু করার পূর্বে আপনার প্রস্তুতি কেমন ছিল?
জুন সাদিকুল্লাহ: কক্সবাজার যাওয়ার সময় বাইকে মতুলের একটা কুলেন নিয়েছিলাম যেটা মাইনাস তাপমাত্রায় জমাট বাধেনা আর ইঞ্জিন ওয়েল ছিল মবিল ওয়ান রেসিং ফোর টি।বাসা থেকে রওনা দিয়েই মনে পড়লো নি গার্ড ফেলে এসেছি আর ঠিক এই সময়ে ফোন দিলো সাইদ জোহান। সব শুনে সে আমার বাসা থেকে নি গার্ড নিয়ে এসেছিলো আর সাথে অনেক চকলেট আর স্পেসাল স্যালাইন পরে যেটা অনেক কাজে দিয়েছিলো।


coxs-bazar-to-himalaya-06


মোটরসাইকেলভ্যালী: কখন এবং কোথায় থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন?
জুন সাদিকুল্লাহ: ১৬ই ডিসেম্বর ২০১৫ সালে ৫ দিনে বাংলাদেশের ৬৪ জেলা ঘুরে বেড়িয়েছিলাম আর ভাগ্যক্রমে ঠিক এক বৎসর পর ২০১৬ সালে এই কক্সবাজার টু কাঠমান্ডু শুরু করি। ১৬ তারিখ কক্সবাজার যেয়ে আবার ১৭ তারিখ ঢাকা ব্যাক করি আর ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুর দিকে রওনা দেই ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ।



coxs-bazar-to-himalaya-07


মোটরসাইকেলভ্যালী: বর্ডারে কি কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল?
জুন সাদিকুল্লাহ: ২৮ ডিসেম্বর ১০ টায় বেনাপোল কাস্টম হাউসে পৌছাই। কিছুক্ষণ পর দেখা করার সুযোগ হলো কাস্টম কমিশনার এর সাথে। ওনাকে এন বি আর এর চিঠি দিলাম উনি পুরোটা সময় নিয়ে পড়লেন তারপর প্রথম যে কথাটা উনি বললেন সেটা হচ্ছে “ হতাশ হওয়ার দরকার নেই একটু সময় লাগবে, ধৈর্য ধরো, আমি দেখছি কি করা যায়” এরপর উনি ডেপুটি কমিশনার বাবুল ইকবাল সাহেবের কাছে পাঠালেন। ইকবাল সাহেব ফিল্ডে ছিলেন তার সাথে দেখা হলো লাঞ্চের পর। সব শুনে দেখে উনি বললেন আপনারা মাত্র দুইজন যাবেন কেনো ? গ্রুপ নিয়ে যান, এটাতো খুব ভাল একটা আইডিয়া। উত্তরে কি বলবো কিছু বুঝতে পারছিলাম না। যাইহোক উনি জোবাএল সাহেব কে দায়িত্ব দিলেন প্রসেস করার জন্য আর প্রসেসিং করতে করতে সন্ধ্যা ৬ টা বেজে গেলো, এদিকে একটু পর পর ফোন পাচ্ছি ঢাকা থেকে “ভাই বর্ডার ক্রস করেছেন ? আর কতক্ষণ লাগবে ?” নিজেও জানিনা কতক্ষণ লাগবে, তাই কি আর উত্তর দিব ?

সব ফর্মালিটিস শেষ করে বর্ডার ক্রস করে বাইক নিয়ে ইন্ডিয়াতে ঢুকলাম। মনে মনে চিন্তা করছিলাম বাংলাদেশে প্রসেসিং এ লেগেছিল একদিনের বেশি দেখি ইন্ডিয়াতে কয়দিন লাগে। ইন্ডিয়ান বর্ডারে কারনেট এর হলুদ কাগজ দেখেই তাদের অফিসারদের কাছ থেকে অন্যরকম সম্মান পাওয়া শুরু করলাম। অফিসার আমাদের নিয়ে গেলেন তার রুমে নিজে ফর্ম পুরন করে আমাদের সাইন করতে বললেন, করলাম। সময় লাগলো ৫ + ৫ = ১০ মিনিট এরপর আরও পাঁচ মিনিট লাগলো ইমিগ্রেসনএর সিল এর জন্য সব মিলিয়ে ১৫ মিনিট ব্যাস রওনা হয়ে গেলাম কোলকাতার দিকে। ফেরত আসার পথেও বাংলাদেশ বর্ডারে সমস্যায় পড়ি।

মোটরসাইকেলভ্যালী: আপনার ভ্রমন অভিজ্ঞতার আলোকে আপনি কি রাস্তায় কোন বিরাট সম্যসার সম্মুখীন হয়েছিলেন?
জুন সাদিকুল্লাহ: বড় ধরনের সমস্যা বলতে গেলে তেমন কিছুই নাই। তবে আসানসোল পার হয়ে প্রথম ঝামেলাতে পড়লাম নিজের দোষেই। একটা পাম্পে দাঁড়িয়েছিলাম কিছুক্ষণ আর বাইক পারকিং করেছিলাম একটা বাগানের পাশে আর সেখান থেকে মনেহয় একটা বিষাক্ত পোকা হেলমেটের ভিতরে ঢুকে যায় যেটা পরে আমার ডান চোখে ঢুকে, তাড়াতাড়ি চোখে পানি দেই। কিন্তু কিছুতেই কাজ হচ্ছিলনা, চোখ দিয়ে শুধু পানি পড়ছিল। সামান্য ভুলের কারনে একটা সর্টকাট নেওয়ার জন্য মেইন হাইওয়ে থেকে সাইড রোডে ঢুকে প্রায় দুইশ কিলোমিটার ভুল রাস্তায় বাইক চালাতে হয়।

মোটরসাইকেলভ্যালী: যদি কোন স্মরণীয় ঘটনা থেকে থাকে সেটা আমাদের সাথে শেয়ার করুন
জুন সাদিকুল্লাহ: স্মরণীয় ঘটনা বলতে গেলে খুব ভাল কয়েকটি স্মরনীয় ঘটনা ছিল যেমন, ইন্ডিয়ান বর্ডারে কারনেট এর হলুদ কাগজ দেখেই তাদের অফিসারদের কাছ থেকে অন্যরকম সম্মান পাওয়া শুরু করলাম।এরপর হাওড়া ব্রিজ ঘুরে নিউমার্কেট এসে অঞ্জনদার সাথে আড্ডা মেরে ওনার বাসায় গেলাম।আবার নেপালে যেয়ে বাইক ফ্রিক সে দেখি বিশাল গ্যাং নিয়ে এসেছে এম স্লাজ দেখানোর জন্য আর কেপিয়ারে তাদের ইন্টারেস্ট কম কারণ কেপিআর নাকি জাপানী বাইক।এরপর কাঠমান্ডু যাওয়ার পথে বৃস্টিতে দুইটি কাপল পাহাড়ি রাস্তায় তাদের বাইকের চেন ছিড়ে যাওয়ার ফলে আটকা পড়েছিল।আবিদ ভাই তাদের চেইন ঠিক করে দিলেন।চেইন ঠিক করার বিনিময়ে আবিদ ভাই পেয়েছিলেন অনেক ধন্যবাদ আর আমি তাদের সেল ফোন দিয়ে কিছু লোকাল কল সেরে নিলাম।

পরে অবশ্য যাদের কল করেছিলাম তাদের কাছ থেকে আমাদের ফেসবুক আইডি বের করে ফ্রেন্ড হয়েছে আর পরদিন তাদের ওয়ালে যেয়ে দেখি স্ট্যাটাস “ সেভ বাই টু বাংলাদেশী ব্রাদারস” এই টাইপ, একটু গর্ব গর্ব ভাব ফিল করছিলাম। নেপাল এমব্যাসিতে গিয়ে পেলাম সারপ্রাইজ প্ল্যান, যার জন্য একদম প্রিপারেশন ছিল না।সকালে নাস্তা করে চলে গেলাম নেপালের ছোট্ট বাংলাদেশ বাংলাদেশের এমব্যাসি, গেটে পরিচয় দেওয়ার সাথে সাথে অন্যরকম সম্মান পেলাম। হাইকমিশনার ম্যাডাম আর হেড আমাদের ওয়েলকাম জানানোর পর হলো ফটোসেশন এরপর রওনা হলাম চায়না বর্ডার কোদারির দিকে। এবার গেলাম আড্ডা দিতে অঞ্জনদা, জিগ্নেস, আভিশেক, মৌসুমি সবাই মিলে ভীষণ সুন্দর সময় পার করলাম আর আড্ডা দেওয়ার সময় বখতিয়ার কে অনেক মিস করলাম বেচারার পা এখনো পুরোপুরি ভালো হয়নি তাই নড়াচড়া কম করছে।

মোটরসাইকেলভ্যালী: আমাদের সাথে সময় দেবার জন্য ধন্যবাদ
জুন সাদিকুল্লাহ: আপনাদেরকেও ধন্যবাদ

Bike News

Yamaha Bike Price in Bangladesh February 2025
2025-02-18

Yamaha is one of the motorcycle brands from outside the Indian subcontinent, each model of which is unique in its own right an...

English Bangla
Best 3 bikes of Yamaha
2025-02-17

Yamaha is a globally renowned Japanese brand well known for its high-performance motorcycles, scooters, and marine products. F...

English Bangla
What is PGM- FI ?
2025-02-12

PGM-FI stands for Programmed Fuel Injection. It's an advanced technology developed by Honda for motorcycles. It's an electroni...

English Bangla
Yamaha offering discount of up to 4000 taka on exchange
2025-02-10

In order to make Yamaha bikes easily available to all bike lovers, Yamaha authorities always organize various events, one of w...

English Bangla
Yamaha looking for dealers
2025-02-10

Yamaha is one of the premium motorcycle brands in Bangladesh, whose name, reputation and recognition are well known to all lev...

English Bangla

Related Motorcycles

Filter