বাজারে অনেক ধরনের বাইক রয়েছে ঠিক তেমনি একটি ধরন হলো ক্রুজার। ক্রুজার বাইক ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাংলাদেশের বাইক মার্কেটে। দাম বেশি হওয়ার কারনে আগে এই বাইক তেমন জনপ্রিয়তা পায়নি। কিন্তু বর্তমানে এই ক্রুজার বাইকগুলোর চাহিদা বেশ ভালো লক্ষ্য করা যায়। এই বাইক পছন্দের অন্যতম কারন, এই বাইকের স্টাইলিশ লুক, আরামদায়কতা, এবং পাওয়ার। যারা বাইক রাইডের সময় আরামকে প্রাধান্য দেয় এই বাইক তাদের জন্য সেরা বাইক। আজ আমরা টিম মোটরসাইকেলভ্যালি এই ক্রুজার বাইক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব আমাদের সাথেই থাকুন।
Engines: প্রথমেই এই বাইকের ইঞ্জিন নিয়ে কথা বলা যাক। অন্যান্য বাইকের মতই এই বাইকের ইঞ্জিন। সিসি লিমিটেশনের জন্য ১৫০-১৬৫ সিসি পর্যন্ত ক্রুজার বাইক বাংলাদেশে পাওয়া যায়। এসব ইঞ্জিন সর্বাধিক 14.5Bhp @ 8000rpm শক্তি উৎপাদন এবং সর্বাধিক 14Nm @ 6500 RPM আরপিএম টর্ক উৎপাদন করতে সক্ষম। ক্রুজার বাইকের ইঞ্জিনে 5 স্পিড গিয়ার ট্রান্সমিশন সিস্টেম লক্ষ্য করা যায়। এই ইঞ্জিনগুলির কম্প্রেশন অনুপাত 11.4.1, এবং ইঞ্জিনটি স্টার্ট দেবার জন্য রয়েছে কিকার এবং ইলেক্ট্রিক স্ট্রার্ট অপশন। এই ধরণের ইঞ্জিন চালকদের ছোট এবং দীর্ঘ উভয় ভ্রমণে একটি ভাল রাইডিংয়ের অভিজ্ঞতার দিয়ে সন্তুষ্ট করবে। ক্রুজার বাইকগুলোতে কমপক্ষে ৪০-৪৫ kmpl মাইলেজ পাওয়া যায়
Fuel tank: লং রাইডের জন্য ফুয়েল ট্যাংক মুখ্য একটি বিষয়। ক্রুজার বাইকগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয় যে এটি নিয়ে আরামে লং ট্যুর দেওয়া সম্ভব। আর সেজন্য এই ক্রুজার বাইকে ১৮ লিটার পর্যন্ত ম্যাসিভ ফুয়েল ট্যাংক দেয়া থাকে( তবে সব ক্রুজার বাইকেই ১৮ লিটার ফুয়েল ট্যাংক থাকে তা নয়)। যার কারনে দীর্ঘ দূরুত্বে যাওয়া যায় কোনো টেনশন ছাড়াই
Riding position: ক্রুজার বাইককে অন্যান্য মোটরসাইকেল থেকে আলাদা করার মূল উপাদান হল এর রাইডিং পজিশন। স্পোর্টস বাইক বা স্ট্রিট ফাইটারের তুলনায় ক্রুজারের বসার উচ্চতা হয়ে থাকে ৭১০-৭৪০mm যা খুবই কম। এই বাইকে ক্রুজার টাইপ হ্যান্ডেলবার ইন্সটল করা হয় (এই হ্যান্ডেলবারটি লম্বা এবং চালকের দিকে এগিয়ে আসে, যেন আরামের সাথে চালক হ্যান্ডেল ধরে রাখতে পারে পিঠ সোজা রেখেই)। এইধরনের হ্যান্ডেলবারে চালকের আরামকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়। মেরুদণ্ড সোজা কিংবা একটু পেছনে হেলিয়ে দিয়ে এবং পা একটু সামনে রেখে এই বাইক গুলো চালাতে হয়। যার কারনে আপনি আপনার পায়ে, পিঠে এবং হাতে চাপ ছাড়াই দীর্ঘ দূরত্ব ভ্রমণ করতে পারবেন।
Pillion seat: দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য সাথে একজন সঙ্গী থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে যেসব ক্রুজার বাইক পাওয়া যায়, প্রায় সব ক্রুজার বাইকই পিলিয়ন ব্যাকরেস্টের সাথে আসে অন্তত একটি বিকল্প হিসেবে। তাই রাইডার এবং পিলিয়ন উভয়েই ট্যুরটি উপভোগ করবেন। ভ্রমণের সময় পিলিয়ন পার্টনার থাকার আরও একটি সুবিধা হল আপনি কম বিরতি দিয়ে দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম হতে পারেন, কারণ আপনি অবস্থানগুলি বিনিময় করতে পারেন এবং কম পা স্ট্রেচিং বিরতি পেতে পারেন।
Suspension: সাধারনত ক্রুজার বাইকগুলোতে মনোশক এবং টেলিস্কোপিক সাসপেনশন ইনস্টল করা হয়। মনোশক সাসপেনশন গতির ধাক্কাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং অনেক ভালো হ্যান্ডেলিং ও ব্রেকিং সরবরাহ করে যার জন্য এই সাসপেনশন রাস্তায় চলাচলের জন্য অনেক উপযোগী। এবং টেলিস্কোপিক সাসপেনশনের ফলে রাস্তায় স্মুথ রাইডিং এবং ঝাঁকুনি কমিয়ে রাইডারকে আরাম রাইডের অনুভুতি এনে দিবে।
Brake: ক্রুজার, টুরিং এবং স্পোর্টস বাইক গুলোতে ABS ব্রেকিং সিস্টেম সবচেয়ে ভালো পারফরমেন্স দেয়। তবে বাংলাদেশে বেশিরভাগ ক্রুজার বাইকে সামনে ডিস্ক এবং পিছে ড্রাম
Visit here to see cruiser bikes available in Bangladesh.
https://www.motorcyclevalley.com/type/cruisers/