ই ড্রাইভিং লাইসেন্স একসময় শুধুমাত্র সাধারন ব্যবহার অর্থাৎ যানবাহনের ক্ষেত্রে ব্যবহার প্রযোজ্য হলেও বর্তমানে জনসাধারনের জীবনে এর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতকরনের জন্যে একটি অসাধারন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ। স্মার্ট কার্ড যেসকল কাজে ব্যবহার করা যায় সেসব ক্ষেত্রেও ই ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ।
রোববার (২৪ মার্চ) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বিআরটিএ সংস্থাপন শাখার উপসচিব মো. মনিরুল আলম স্বাক্ষরিত সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়।
সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিআরটিএ কিউআর কোড সম্বলিত ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করছে। মোটরযান চালকরা ড্রাইভিং লাইসেন্স স্মার্টকার্ডের মতো ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করে বা স্মার্ট মোবাইল ফোনে তা প্রদর্শন করে মোটরযান চালনায় ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়াও ভিসা প্রসেসিং, বিদেশে ব্যবহার, চাকরিতে নিয়োগ ইত্যাদি প্রয়োজনে মোটরযান চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড ও ‘ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স’ উভয়ই সমানভাবে গ্রহণযোগ্য হবে।
একইসাথে আরও জানানো হয় যে, ই ড্রাইভিং লাইসেন্সে প্রদত্ত কিউআর কোডের মাধ্যমে সরাসরি ডাটাবেজ থেকে তথ্য ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত সকল তথ্য যাচাই করা হবে। জনস্বার্থে জারিকৃত এই আদেশ অনতিবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়।
এর আগে গত বছর ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড জটিলতায় পড়ে বিআরটিএ। বাংলাদেশে ডুয়েল ইন্টারফেস পলিকার্বনেট স্মার্টকার্ড তৈরির জন্য ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স (এমএসপি) প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের এ সংস্থাটি। এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ২০২০ সালের ২৯ জুলাই। ওই দিন থেকে ২০২৫ সালের ২৮ জুলাই পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি কাজ করবে। এই ৫ বছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির ৪০ লাখ কার্ড প্রিন্ট করে সরবরাহ করার কথা। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিটি কার্ডসহ প্রিন্ট বাবদ ৩০০ টাকা ১৫ পয়সা খরচ ধরা হয়েছে। পুরো চুক্তির মূল্য ধরা হয়েছে ১২০ কোটি ৬ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য যে এতদিন শুধুমাত্র জাতীয় পরিচয়পত্রের ডিজিটাল বা স্মার্ট কার্ড দিয়ে জনজীবনের যাবতীয় তথ্য যাচাই বাছাই, ব্যক্তিগত তথ্য এবং অফিসিয়াল ফরমালিটি সম্পন্ন করা হতো। এই ক্ষেত্রে অনেকের স্মার্ট কার্ড না থাকায় এ নিয়ে অনেকেই হয়রানির শিকার হতেন যা ই-ড্রাইভিং লাইসেন্সের কারনে অনেকাংশে লাঘব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ডিজিটালাইজেশনের যুগে এটি একটি দারুন পদক্ষেপ বলে মনে করছেন এই প্রকল্পের সাথে জড়িত প্রায় সবাই।
তথ্যসুত্রঃ ঢাকাপোস্ট