৮০ থেকে ৯০ এর দশকে বাংলাদেশে মোটরসাইকেলের বাজারে ইয়ামাহা এবং হোন্ডা একচেটিয়া রাজত্ব করে গেছে। সে সময়ের ইয়ামাহা ১০০, ইয়ামাহা ডিলাক্স, হোন্ডা ১০০, হোন্ডা সিজি১২৫ বা হোন্ডা সিডি৮০ আজও রাস্তায় চলতে দেখা যায়। বলতে গেলে তাদের যন্ত্রাংশ মুদির দোকানে খুজলেও হয়তো পাওয়া যাবে। এখন সময়ের সাথে প্রযুক্তির পরিবর্তন খুব দ্রুত হচ্ছে। তাল রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। যে কোনো পন্যেই নতুন ফীচারে নতুন মোড়কে হাজির হচ্ছে ক্রেতার সামনে। উদ্দেশ্য ক্রেতাকে আকৃষ্ট করা। আবার ক্রেতারাও স্বাভাবিকভাবেই চান সকল সুবিধা এক সংগে। ফলে নতুন পন্যের চাহিদা সব সময়েই তৈরী হচ্ছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে সমস্যা দেখা যায় খুচরা যন্ত্রাংশ পাওয়া নিয়ে। নতুন মডেলের মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশ পাওয়া যায়না ঠিক মতো, এমন অভিযোগ প্রায় অধিকাংশ বাইকারেরই। কিন্তু কারন কি?
-একটি মোটরসাইকেল বিক্রি পরবর্তীতে ২-৪ বছরের মধ্যে যন্ত্রাংশ তেমন প্রয়োজন পড়ে না বলে তার আমদানীও হয় কম। ফলে এ সময়ের মধ্যে কারো পার্টসের প্রয়োজন পড়লে সংগ্রহ করে নিতে বেশ সময় লেগে যায়।
-যে সকল ব্র্যান্ডের ঘন ঘন মডেল পরিবর্তন করা হয় সকল মডেলের যন্ত্রাংশ নিয়ে সমস্যায় পড়তেই হয়। কেননা কোনো মডেল ডিসকন্টিনিউ হলে স্বাভাবিকভাবেই সে মডেলের যন্ত্রাংশের সহজলভ্যতা থাকে না।
-ব্রান্ড যদি নতুন হয় তাহলে সেক্ষেত্রেও পার্টস পাওয়া নিয়ে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়। কেননা কোন পার্টসগুলো প্রয়োজন বেশি বা কোন অংশগুলো বেশি দ্রুত নষ্ট হচ্ছে তা বুঝতেই নতুন ব্রান্ডের কিছু সময় চলে যায়।
-অপ্রচলিত মডেল হলে যন্ত্রাংশের সহজলভ্যতা বা পাওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। সেক্ষেত্রে যন্ত্রাংশ বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে সংগ্রহ করে নিতে বেশি সময়, শ্রম এবং অর্থের অপচয় হয়।
-পার্টস বিক্রেতাগনও সবচেয়ে বেশি প্রচলিত মডেলের পার্টস সংগ্রহে রাখেন বিক্রির জন্য। আনকমন মডেলের জন্য পার্টস কিনে জমা রাখতে চান না।
উপরোক্ত কারনগুলোর কারনেই সাধারনত মোটরসাইকেলের স্পেয়ার পার্টস পেতে সমস্যা হয়ে থাকে। সমস্যার সমাধানে কোম্পানীগুলোর যেমন ভুমিকা রাখা দরকার তেমনি ক্রেতাদেরও সতর্ক থাকা দরকার। তাই বাইকের দ্রুত মডেল পরিবর্তনের পুর্বে ভেবে দেখা দরকার তার স্পেয়ার পার্টস এর সহজলভ্যতা নিয়ে।