টিভিএস মোটর কোম্পানি সম্প্রতি ভারতীয় বাজারে একটি নতুন 125 সিসির মোটরসাইকেল চালু করেছে যার নাম TVS Raider 125, এবং নতুন বাইকটি ক্রমবর্ধমান 125 সিসি কমিউটার সেগমেন্টে নির্মাতার প্রবেশকে বেশভাবে উপস্থাপন করেছে। টিভিএস রাইডার 125 হিরো গ্ল্যামার, হোন্ডা শাইন এবং এমনকি বাজাজ পালসার 125 এর মত বাইকের সাথে প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতা রাখে। টিভিএস রাইডার 125 বর্তমানে ড্রাম এবং ডিস্ক ভেরিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে, যার দাম 77,500 এবং 85,469 ভারতীয় রুপি, যারমানে হলো মানে হল যে এটি তার সমস্ত প্রতিদ্বন্দ্বীদের বাইকের কাছে সমানভাবে গুরুত্বপুর্ন। তাহলে কি ঠিক নতুন Raider 125, 125 সিসি কমিউটার সেগমেন্টে সম্পুর্ন আলদা?
আসুন দেখে নিই কিছু বিষয় যার দ্বারা আমরা উক্ত প্রশ্নের উত্তর খুব সহজেই খুজে পাবোঃ
১। স্টাইল
স্টাইলিং সম্পর্কে বলতে গেলে, TVS Raider 125 এর প্রতিদ্বন্দ্বী বাইকের উপর একটি স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। সেগমেন্টের অন্যান্য কমিউটার বাইকের থেকে ভিন্ন, রেইডারটি অনেক বেশি স্পোর্টি ডিজাইনে পরিপুর্ন। এর মাস্কুলার ট্যাঙ্ক, DRLs সহ একটি স্টাইলিশ LED হেডল্যাম্প, একটি স্লিক বেলি প্যান এবং একটি স্প্লিট-সিট দিয়ে এটি সাজানো হয়েছে।
২। ডিজিটাল ইন্ট্রূমেন্ট ক্লাসটারঃ
TVS Raider 125 একটি এলসিডি ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টারে রয়েছে গিয়ার-শিফট ইন্ডিকেটর, দূরত্ব, টাকোমিটার, স্পিডোমিটার, ক্লক, ওডোমিটার, ফুয়েল লেভেল ইত্যাদি। টিভিএস ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি, ভয়েস অ্যাসিস্ট এবং ন্যাভিগেশন সহ ৫ ইঞ্চি টিএফটি ডিসপ্লে দেওয়া হয়েছে, যা আগামীতে চালু হবে।
৩। সাইলেন্ট স্টার্টঃ
টিভিএস মোটরসাইকেলটি একটি সাইলেন্ট-স্টার্ট সিস্টেম দিয়ে তৈরি, এটি একটি বৈশিষ্ট্য যা আমরা কিছু স্কুটারে দেখেছি। এর মানে হল যে মোটরসাইকেলটি কোন শব্দ না করেই ইঞ্জিন স্টার্ট হয়।
৪। রাইড মোডসঃ
রেইডার 125 এসেছে প্রথম শ্রেণীর ড্রাইভ মোড নিয়ে, যার মধ্যে ইকো এবং পাওয়ার। পরেরটি পিকআপ উন্নত করার কাজ করে এবং সর্বোচ্চ গতি বাড়ায়, অন্যদিকে আগেরটি মাইলেজ বৃদ্ধি করে।
৫। সিটের নিচে স্টোরের সুবিধাঃ
রেইডার 125 প্রথম শ্রেণীর আন্ডার সিট স্টোরেজ স্টোরেজ ব্যবস্থা রয়েছে। যদিও এটি স্কুটারের মতো বড় নয়, তবে আপনি সহজেই আপনার স্মার্টফোন, কাগজপ্ত্র এবং অন্যান্য ছোট জিনিস সেখানে রাখতে পারবেন।