৬৪ জেলা ভ্রমনে সবচেয়ে বেশি সাপোর্ট পেয়েছি মোটরবাইকিং গ্রুপ থেকে : আলমগীর আহমেদ চৌধুরী ও চৌধুরানী দিপালী আহমেদ
বাংলাদেশের ৬৪ জেলা মোটর সাইকেল যোগে ভ্রমণ করলেন পর্যটক দম্পতি আলমগীর আহমেদ চৌধুরী ও চৌধুরী দিপালী আহমেদ। ভিজিট ফর বাংলাদেশ-২০১৬ নামে ভ্রমণে বের হওয়া এই দম্পতি গত বছর ৩০শে অক্টোবর মুন্সিগঞ্জ জেলা থেকে তারা ভ্রমণ শুরু করেন। ২৫ জানুয়ারি ২০১৭ তারা কুমিল্লায় তাদের ৬৪ জেলা ভ্রমণ সম্পন্ন করেন।
পর্যটন বর্ষ ও বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০১৬’র প্রতিপাদ্য বিষয় ‘ট্যুরিজম ফর অল’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে দেশব্যাপী প্রচার করার লক্ষ্যে মোটরসাইকেলে করে বাংলাদেশ ভ্রমণ শুরু করেছে ঢাকার এই পর্যটক দম্পত্তি।
এই পুরো সময়টিই সকালে ফেসবুক খুললেই দেখা যেতো সার্কিট হাউজকে পেছনে রেখে তোলা ছবি, ক্যাপশনে থাকতো অমুক(জেলা) সার্কিট হাউস। আবার কখনও জেলা প্রশাসকের দুপাশে দাড়িয়ে তোলা ছবি। আলমগীর এবং দীপালী দম্পতি মোটরসাইকেলে চেপে ঘুরে
বেড়িয়েছেন পুরো বাংলাদেশে। দেখা করছেন জেলাপ্রশাসক, স্থানীয় প্রশাসন, বাইকিং কমিউনিটি এবং মিশেছেন সাধারন মানুষের সাথে। মোটরসাইকেলভ্যালীর পক্ষ থেকে এই দম্পতির মুখোমুখি হয়েছিলেন মোটরসাইকেলভ্যালীর এসিস্টেন্ট এডিটর মিকদাদ বিন হক ইথার এবং আসিফ রেজা। ইন্টারভিউ এর চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো-
মোটরসাইকেলভ্যালী: কেনো এই টূর দিলেন? ট্যুর এর মূল মেসেজ কি ছিলো?
চৌধুরী দম্পতি: প্রায় ১ যুগেরও বেশি সময় ধরে প্রতি বছর কোন না কোন সময় ট্যুর করতাম। বহুদিন ধরে ইচ্ছা ছিল এই ট্যুরের আনন্দ, অনুভূতি, উপকার মানুষকে জানাই এবং মানুষকে উৎসাহিত করি। এবার প্রধানমন্ত্রী ২০১৬ সালকে পর্যটনবর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। বর্ষটির প্রচারণা হিসেবে মূলত যুবসমাজকে নিজ দেশ ভ্রমণে আকৃষ্ট করতে আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছিলাম । আমরা মোটরসাইকেলে করে সারাদেশ ভ্রমণ করেছি; এবং মানুষকে পর্যটনে আগ্রহী করে তুলতে উৎসাহ দিয়েছি । তাছাড়াও সমাজে বিভিন্ন সামাজিক অপরাধ মাদক, নারী নির্যাতন, পাচার ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টাই ছিল এই ভ্রমনের মুল উদ্দেশ্য ছিল। তিনি বলেন কম গতিতে মোটর সাইকেল চালাই আমি । দ্রুত গতি এবং বিকট শব্দের বিষয়েও তিনি তরুণদের সচেতন করেন। আমরা ভ্রমণের সময় প্রতিটি জেলার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেছি। দেশের প্রতিটি জেলার আকর্ষণীয় পর্যটন এলাকা, কুটির শিল্প, ঐতিহ্যবাহী খাবার এবং সম্ভাব্য সংগৃহীত সব পর্যটন পণ্যের পরিচিতি, ফটোগ্রাফি, ভিডিওচিত্র সংগ্রহ করেছি যা পর্যায়ক্রমে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিবো ইনশাআল্লাহ্।
মোটরসাইকেলভ্যালী: কেন নিজ দেশ ভ্রমণে আগ্রহী হলেন?
চৌধুরী দম্পতি: কিছুটা গম্ভীর হয়ে আলমগীর আহমেদ উত্তরে বলেন, দেশের ভেতরেই আছে পর্যটনের অফুরন্ত ভাণ্ডার । সেসব চোখ মেলে দেখতে প্রজন্মকে পর্যটনমুখী করে তোলার লক্ষ্যে আমরা মাঠে নেমেছি। আমরা মোটরসাইকেল যোগে সারাদেশ সফর করে পর্যটন ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্পট সম্পর্কে ধারণা নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে বর্ণনা করেছি । প্রজন্মকে আগে নিজের দেশকে ভালভাবে দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছি । বর্তমান প্রজন্ম যেন দেশের ঐতিহ্যের দিকগুলো জেনে নিজে, পরিবারের সদস্য ও বন্ধু-বান্ধবদেরও পর্যটন আকর্ষণে উদ্বুদ্ধ করে এই ব্রত নিয়েই আমরা আমরা নিজ দেশ ভ্রমনের সিদ্ধান্ত নেই।
মোটরসাইকেলভ্যালী: স্বামী-স্ত্রী দুজনেই কেনো? সেক্ষেত্রে কি কি চ্যালেন্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে? বিশেষ করে পরিবারে বা রাস্তায়?
চৌধুরী দম্পতি: “ট্যুরিজম ফর অল” স্লোগান ছাড়াও আমরা পারিবারিক বন্ধনের আবশ্যকতা মেসেজটি বাস্তবে মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য স্বামী-স্ত্রী দুজনেই মিলে এর ট্যুর করি। যাতে মানুষ পরিবার নিয়ে ভ্রমণে বিশেষভাবে উৎসাহিত হয়। কারণ, বর্তমান যুব সমাজের নৈতিক অবক্ষয়য়ের অন্যতম কারণ হল পারিবারিক বন্ধনে দূর্বল হয়ে যাওয়া।
পারিবারিক চ্যালেঞ্জ ছিল না ,কারণ আমরা যৌথ পরিবার। পারিবারিক সমর্থন ও বোঝাপড়ার কারণেই প্রায় এক যুগ ধরে আমরা ট্যুর করে আসছি। আমাদের সন্তান দাদী, চাচা-চাচী, ফুপু এবং কাজিনদের সাথে বাবা-মা ভাই-বোনদের মতই থেকে অভ্যস্ত। তাই পারিবারিক কোন চ্যালেঞ্জ ছিল না। আর এই বিষয়টা তুলে ধরাও ছিল ট্যুর এর একটা উদ্দেশ্য
সামাজিক চ্যালেঞ্জ ছিল বরাবর এর মত। পাগল এবং বউ পাগল দুটো নামেই পরিচিত। আর রাস্তায় চ্যালেঞ্জ ছিল নিরাপত্তাহীনতার আশংকা। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রথমত আমরা আল্লাহ্ উপর ভরসা করি। দ্বিতীয়ত সেলফ ডিফেন্স স্টিক, নাইফ, মার্শাল আর্ট এবং আত্ববিশ্বাসের মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করি। আলহামদুলিল্লাহ্ সতর্কতা ব্যতীত রাস্তায় কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়নি। পথে মানুষের আপ্যায়ন ও আতিথেয়তাও তিনি কৃতজ্ঞতার সাথে স্বীকার করেন।
মোটরসাইকেলভ্যালী: পুরো ট্যুর প্ল্যানটি কিভাবে সেট করেন?
চৌধুরী দম্পতি: প্ল্যান সেট করার বিষয়ে প্রথমত নিজেরা আমরা সিদ্ধান্ত নেই। ৬৪ জেলা ভ্রমণ করা এবং ম্যাপ দেখে নিজেদের মত করে রূট নির্ধারণ করি। দ্বিতীয় পর্যায়ে অন্যতম একজন মোটর বাইক ট্রাভেলার জুন সাদিকুল্লাহ ভাই এর সাথে সাক্ষাৎ করে রুট প্লান করি এবং সাদিকুল্লাহ ভাই এর দেখানো রুট প্ল্যানকেই আমরা ফাইনালি ফলো করার সিদ্ধান্ত নেই। তৃতীয় পর্যায়ে সরকারী প্রতিষ্ঠান এর সহযোগিতায় চাইলে পর্যটন মন্ত্রনালয় এর একটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড আমাদের সহায়তায় এগিয়ে আসে এবং আমাদের প্রাথমিক স্পন্সর করে। চতুর্থ পর্যায়ে রাসেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ এর স্পন্সরশীপ আমাদের ট্যুর কে আরও সহজ করে দেয়।রাসেল ইন্ডাস্ট্রিজ আমদের কে ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল উপহার দেন এবং ৬৪ জেলা ব্যাপি তাদের ডিলার ও মোবাইল মেকানিক টিম এর মাধ্যমে টেকনিক্যাল সাপোর্ট প্রদান করেন। এভাবেই আমাদের ট্যুর প্লান সেট হয়।
মোটরসাইকেলভ্যালী: ফর্মালিটিস কি কি ছিলো? প্রশাসনিক কোনো ঝামেলা ছিলো কি?
চৌধুরী দম্পতি: ফর্মালিটিজ ছিল পর্যটন মন্ত্রনালয় বরাবর আবেদন। পরবর্তীতে ট্যুরিজম বোর্ড দ্বারা ৬৪ জেলা প্রশাসক বরাবর ডিও লেটার প্রদান। ভ্রমণ কর্মসূচিতে ডিও লেটার অনুযায়ী প্রত্যেক জেলার জেলা প্রশাসক এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়। প্রত্যেক জেলার একটি স্কুল বা কলেজে বক্তব্য প্রদান, মতবিনিময়, প্রশ্নোত্তর প্রদান। প্রত্যেক জেলার স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে প্রেসক্লাবে কনফারেন্স।জেলার পর্যটন আকর্ষণীয় স্থান ভ্রমণ, ফটোগ্রাফি ভিডিওগ্রাফি করা এবং স্থানীয় যুব সমাজের সাথে কমিউনিকেশন প্রচেষ্টা চালানো।
অবস্থা এবং ব্যবস্থা পরিপ্রেক্ষিতে কোন কোন জেলায় প্রশাসন কার্যালয়ে ধীরগতি ও উপেক্ষার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
মোটরসাইকেলভ্যালী: ট্যুরে কোন মোটরসাইকেল ব্যবহার করেছেন?
চৌধুরী দম্পতি: লিফান কেপিআর
মোটরসাইকেলভ্যালী: ট্যুরটি কবে/কোথায় থেকে শুরু হয়েছিলো এবং কবে শেষ হয়েছিলো?
চৌধুরী দম্পতি: ৩০-১০-২০১৬ ইং তারিখে মুন্সিগঞ্জে শুরু হয়েছিল এবং ২৫-০১-২০১৭ ইং তারিখে কুমিল্লাতে শেষ হয়েছিলো।
মোটরসাইকেলভ্যালী: ট্যুরটি শুরু করতে কি কি সমস্যায় পড়তে হয়েছিলো সেগুলো কিভাবে মোকাবেলা করেছিলেন?
চৌধুরী দম্পতি: সমস্যা বলতে প্রশাসনিক ও স্পন্সরদের অসমর্থনই ছিল মূল সমস্যা। ট্যুর শুরু করার আমাদের দৃঢ় সিদ্ধান্তই ছিল সব সমস্যার সমাধান।
মোটরসাইকেলভ্যালী: ট্যুর এ কোথায় কেমন সাপোর্ট পেয়েছিলেন?
চৌধুরী দম্পতি: বেশিরভাগ জেলা প্রশাসনই আমাদের স্বতঃস্ফুর্ত সমর্থন দিয়েছেন। স্থানীয় যুব সমাজ এবং জনগণের সাপোর্ট ছিল মনে রাখার মত। সবচেয়ে বেশি সাপোর্ট পেয়েছি মোটরবাইকার ও মোটর বাইক গ্রুপ থেকে। যখন যেই জেলায় গিয়েছি, সেখানেই আমাদের স্বাগতমে উপস্থিত ছিল কোন না কোন মোটর বাইকার গ্রুপ। দিন কিংবা রাত সর্বক্ষণ সহযোগীতা পেয়েছি তাদের।
মোটরসাইকেলভ্যালী: ট্যুর এর কোনো স্মরনীয় ঘটনা ঘটে থাকলে আমাদের সাথে শেয়ার করুন
চৌধুরী দম্পতি: স্মরণীয় ঘটনার সংখ্যা অনেক, বিশেষ করে সকল জেলাব্যপী আমাদের আপ্যায়ন। নাম উল্লেখ করে শেষ করা যাবে না। কিন্তু লক্ষ্মীপুর থেকে এক ব্যক্তি যিনি কোন মোটরবাইকার নন, কোন লিংকেও পরিচিত নন। রাস্তায় দেখে জিজ্ঞেস করলেন আমরা কারা এবং কি করছি। বলার পর লাঞ্চ করার অনুরোধ করলেন পাশের রেস্টুরেন্টেই। সময় ছিল দুপুর ১২ টা আমরা ৩ টায় আসার ওয়াদা করলাম। ৩ টা বাজার একটু আগে থেকেই সে ফোন করা শুরু করল। ৩ টায় এসে দেখি রেস্টুরেন্টে এর সামনে তিনি মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে মোটরসাইকেলে বসে আছেন। আসা মাত্রই বললেন- আমাদের বাসায় যেতে হবে। রেস্টুরেন্টে খেতে বউ মানা করেছে। বলেই মোটরসাইকেল নিয়ে টান দিলেন। বাসায় গিয়ে দেখি বিশাল আয়োজন করে তার বউ, মা বাবা, ভাই বোন, আমাদের স্বাগতমে দাড়িয়ে আছে। সেই সময়টির আবেদন বলে বুঝানো যাবে না যে একটি যৌথ পরিবার অচেনা মানুষকে কিভাবে আপন করে নিল।
মোটরসাইকেলভ্যালী: ট্যুর এর অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশের মোটরসাইকেল কমিউনিটি সম্পর্কে আপনার মতামত কি?
চৌধুরী দম্পতি: মোটরবাইক কমিউনিটির বেশির ভাগ দিকই পজিটিভ। তারা যৌবনের সাথে মোটর বাইকের ক্ষমতা সাথে নিয়ে কিছু করতে চায়। তারা এই কমিউনিটির সুবাদে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক কাজে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে পরোপকারে লিপ্ত হচ্ছে। নেতিবাচক দিক খুবই কম, হাতেগোনা কেউ কেউ হয়তো কমিউনিটিতে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করেছে। এতে কমিউনিটির কোন সমস্যাই হবে না। সময়ের সাথে এরাই ছিটকে পড়বে।
মোটরসাইকেলভ্যালী: ট্যুরএর অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশের রাস্তার সার্বিক অবস্থা তুলে ধরুন
চৌধুরী দম্পতি: আগের তুলনায় দেশের রাস্তা বিশেষ করে হাইওয়ে অত্যান্ত উন্নত। তবে বেশিরভাগ জেলা সদরে রাস্তাগুলো প্রয়োজনের তুলনায় কনজাস্টেড এবং ট্রাফিক অব্যবস্থাপনার জন্য যানজট লেগেই থাকে। এই দায়ভার প্রশাসনের উপরই বেশিরভাগ বর্তায়। তবে ক্রমাগত বিশৃংখল পরিকল্পনায় রাস্তা খোঁড়া,সংস্কার, চলতে থাকায় যুগ যুগ ধরে সমস্যা চলেই আসছে। এর দায়ভারও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও প্রতিষ্ঠান এর উপরই বর্তায়। আবাক লাগে নসিমনের এর মত গাড়ী রাস্তায়, হাইওয়েতে চলছে। চলছে ৩ চাকার মত বড় গাড়ি। চলছে ট্রাক্টর দিয়ে ৫০/৬০ ফুট লম্বা মালবাহী গাড়ী। বাস ট্রাক চালকগণ রাস্তায় মোটরসাইকেল বা ছোট গাড়ীকে পিঁপড়ার মতো মনে করে গাড়ী চালায় ফলে ট্রাক,বাস আসার সময় ছোট গাড়ীগুলো ভয়ানকভাবে রাস্তায় বাইরে সরু কাঁচা নীচু যায়গায় নামতে বাধ্য হয়। এর ফলে ঘটে চলছে অসংখ্য দুর্ঘটনা।
মোটরসাইকেলভ্যালী: পরবর্তী পরিকল্পনা কি?
চৌধুরী দম্পতি: আন্তর্জাতিক ভাবে বাংলাদেশকে তুলে ধরার ইচ্ছা ছোট বেলা থেকেই। এই মোটরসাইকেলের উছিলায় সেই চেষ্টা চালিয়ে যাব। খুব শীঘ্রই দেশের গন্ডি পেরিয়ে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে পশ্চিমবাংলা ভ্রমণের উদ্যোগ গ্রহন করেছি। ইনশাল্লাহ পশ্চিম বাংলা পর্যটন মন্ত্রনালয় এবং বাংলাদেশ পর্যটন মন্ত্রনালয়ের যৌথ সহযোগিতায় এবং অন্যান্য ট্যুরিজম প্রতিষ্ঠান ও স্পন্সরদের সহযোগিতায় খুব শীঘ্রই আমরা পশ্চিমবঙ্গ ভ্রমণ করব। প্রোগ্রামে দুই বাংলার সম্প্রীতি , ট্যুরিজম বিনিময় এর উপর প্রচারণা থাকবে।
মোটরসাইকেলভ্যালী: সময় দেবার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ
চৌধুরী দম্পতি: আপনাদেরকেও ধন্যবাদ