হিরো এবং হোন্ডা দুজনের একসাথে পথচলা শেষ হয় ২০১০ এ। এরপরে হিরো হোন্ডা থেকে হিরো নামে আত্নপ্রকাশ হলেও পথ চলাটি ঠিক স্বাচ্ছন্দ্যময় হয়ে উঠছিলো না। বিশেষকরে বাংলাদেশের বাজারে দিনের পর একই ডিজাইনে এবং সেই পুরোনো হিরো-হোন্ডার মডেল গুলোই চলছিলো। বৈচিত্রহীন মডেলগুলোর পাশাপাশি হিরো এক্সট্রিম ১৫০ নামে যে মডেলটি নিয়ে আসে কিন্তু ডিজাইনের কারনে তরুনদের মাঝে তা আকর্ষন করতে ব্যর্থ হয়। জন্মলগ্ন থেকে হাংক তার আগের ডিজাইন এবং গঠন ধরে রাখায় গ্রাহকদের আর্কষন করার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে।হিরো এচিভার ছিলো হিরো আইস্মার্ট এর আরেকরূপ। দিনশেষে বলতে গেলে তরুনদের আকর্ষন করার মতো কোনো মডেল হিরোর হাতে ছিলো না।
সম্প্রতি ইন্ডিয়ার বাজারে হিরো এক্সট্রিম ১৬০আর বাইকের ঘোষনা দেয়া হয়। বাইকটি মুলত হিরো এক্সট্রিম ১আর কনসেপ্ট বাইকের ডিজাইনের সাথে মিল রেখে ফিউচারিস্টিক ডিজাইনে সজ্জিত। মাসকুলার ডিজাইনের সাথে রোবোটিক লুক হেডল্যাম্প এক দেখাতেই নজড় কেড়ে নিবে। ১৩০মিমি রেয়ার টায়ার, সামনে আপসাইড ডাউন এবং পেছনে মনোশক সাসপেনশনের পাশাপাশি উভয় চাকায় ডিস্ক ব্রেক রয়েছে। বাড়তি নিরাপত্তার জন্য রয়েছে এবিএস।১৫বিএইচপি ক্ষমতা সম্পন্ন বাইকটি ৬০কিমি/ঘন্টা গতি তুলতে সময় নিবে ৪.৭সেকেন্ড। আধুনিক ডিজিটাল মিটার বাইকটির বাড়তি আকর্ষণ।
বাইকটি খুব অল্প সময়েই ইনডিয়ার বাজারে পাওয়া যাবে এবং সিসি লিমিটটি বাংলাদেশের সীমাবদ্ধতার মধ্যে থাকায় বাংলাদেশে বাইকটি আসতে কোনো বাধা থাকার কথা নয়।
হয়তো ব্যবসায়ীক প্রয়োজনেই ইনডিয়া থেকে আসা মডেলগুলোর অনেক ফীচার কমিয়ে বাংলাদেশে আনা হয়। যা প্রথম ধাক্কাতে তরুন বাইকারদের হতাশ করে এবং বাইকটির প্রতি আগ্রহ কমিয়ে দেয়। আধুনিক সুবিধাযুক্ত মডেলগুলোর প্রতি তরুনদের আকর্ষন অনেক বেশি।