বিশ্বের স্বনামধন্য মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারক কোম্পানী বাংলাদেশে তাদের নিজস্ব কারখানা তৈরি করতে যাচ্ছে। সম্প্রতি তারা তাদের কারখানা তৈরি করার জন্য সমস্ত কিছু প্রক্রিয়া শুরু করেছে যেটা স্থাপিত হবে গজারিয়া,মুন্সিগঞ্জ আব্দুল মোমেন অর্থনৈতিক জোনে। এই কারখানাটির বিল্ডিং এর ভিত্তিপ্রস্তর আজকে (০৫-১১-১৭) স্থাপন করা হয়েছে। আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এবং মাননীয় শিল্প মন্ত্রী আমীর হোসেন আমু।
সামনে বছরের শুরুতে তারা তাদের এই ফ্যাক্টরিটিতে উৎপাদন শুরু করবে। বলে রাখা ভালো যে হোন্ডা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারক কোম্পানী। হোন্ডা মোটরবাইকের পাশাপাশি গাড়ী, রোবট, ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি, জ্বালানী খাতের যন্ত্র এবং উড়োজাহাজ পণ্য তৈরি করে থাকে। পূর্বে এই কোম্পানির কারখানা ছিলো গাজিপুরে অনেক ছোট আকারে যেখানে ৩০ ভাগ শেয়ার হোল্ডার ছিলো বাংলাদেশ স্টীল ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন এবং নতুন এই প্রকল্পেও একই হারে অংশিদারত্ব থাকছে বাংলাদেশ স্টীল ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের।
বাংলাদেশের মোটরসাইকেল বাজারে হোন্ডা একটি পরিচিত নাম এবং বাংলাদেশে অনেকেই মোটরসাইকেলকে হোন্ডা নামে অভিহিত করে থাকে। সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিরা জানিয়েছেন নতুন কারখানায় হোন্ডা তাদের উৎপাদনের পরিমাণ বাড়াবে এবং মোটরসাইকেলের বিভিন্ন অংশ উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এতে করে দেশে মুল্য সংযোজন বাড়বে এবং মোটরসাইকেলের দাম কমবে বলে আশা করা যায়।
জমির পরিমাণ – ২৫ একর
মোট বিনিয়োগ ৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার
যৌথ বিনিয়গে হোল্ডার অংশীদারত্ব ৭০ শতাংশ বিএসইসির ৩০ শতাংশ
প্রথম বছর ১ লাখ মোটরসাইকেল উৎপাদনের লক্ষ্য
হোন্ডা বিশ্বের শীর্ষ মোটরসাইকেল উৎপাদক
জাপান এক্সটারনাল ট্রেড (জেট্রো) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২৪৫ জাপানী কোম্পানী বিনিয়োগ করেছে এবং জাপানিদের বেশীরভাগ বিনিয়োগ এসেছে টেলি যোগাযোগ, সার, তৈরি পোশাক, বিদ্যুৎ ও রাসায়নিক খাত থেকে। এই সংস্থাটি তাদের ব্যবসায়ের কিছু সফলতার এবং পজিটিভ কিছু দিক তুলে ধরেছে। তারা আরও বলেন যে, বাংলাদেশে কর্মরত ৬৭ শতাংশ জাপানি কোম্পানী ধারনা করে এবছর তাদের মুনাফা পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে এবং মজার বিষয় হল এশিয়া ও অন্যান্য ১৯ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ এক্ষেত্রে শীর্ষে আছে।
সমস্ত কিছু আলোচনা করে আমরা বুঝতে পারি যে অদুর ভবিষ্যতে বাইক সকলের হাতের নাগালে চলে আসবে এবং হোন্ডা এক্ষেত্রে বিরাট একটা ভুমিকা পালন করতে যাচ্ছে।
একই সাথে বাইকার ও বাইক প্রেমিদের জন্য নতুন একটি দিনের সূর্য উদয় হবে।