বিগত কয়েকদিন বাংলাদেশের পরিস্থিতি কিছুটা থমথমে বিরাজ করছে। ছাত্রদের কোটা বিরোধী আন্দোলনের পরে দেশব্যাপী যে অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছিল সেই প্রভাব পড়েছে মোটরসাইকেল মার্কেটে, এই পরিস্থিতির কারণে দেশের অর্থনীতি বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। একইভাবে এই পরিস্থিতির কারণে দেশের মোটরসাইকেল ইন্ড্রাস্ট্রিতেও অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
চলমান শাটডাউনে প্রায় সকল ব্রান্ডের মোটরসাইকেল শো-রুম সহ বন্ধ ছিলো এই ইন্ড্রাস্ট্রিজের সাথে জড়িত ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানসমূহ। যার বিরুপ প্রভাব পরেছে মোটরসাইকেল কেনা বেচায়। বাংলাদেশের মার্কেটে মোটরসাইকেল ইম্পোর্টার কোম্পানী সহ ক্ষতির শিকার হয়েছেন অনেক শো-রুম মালিকেরা।
বর্তমান হিসাব অনুযায়ী প্রতিদিন গড়ে সব ব্র্যান্ড মিলিয়ে মোটরসাইকেল সারা বাংলাদেশের সকল শো-রুম থেকে বিক্রয় হয় ১,০০০ ইউনিট। দেশের অস্বাভাবিক পরিস্থিতি ৭ দিনের মত বিরাজমান তাই এই ৭ দিনে বিক্রয় এর পরিমান ৭,০০০ ইউনিট প্রতিদিন । এই বিক্রয় থেকে গত ৭ দিনে বঞ্চিত হয়েছে মোটরসাইকেল কোম্পানীগুলো যা গাণিতিক হিসাব করলে দাঁড়ায় ৭ দিনে প্রায় ১৪ কোটি টাকা। এছাড়াও মোটরসাইকেল এর পাশাপাশি অন্যান্য আনুসাঙ্গিক যে জিনিসগুলো প্রয়োজন যেমন হেলমেট, ইঞ্জিন অয়েল, টায়ার , স্পেয়ার পার্টস , বিভিন্ন সার্ভিস সেন্টার ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে বিক্রয় বন্ধ ছিলো যার ফলে এই খাতগুলো ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। মোটরসাইকেল ও এর সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত বিষয়গুলো মিলিয়ে ক্ষতির পরিমান প্রায় ৩০ কোটি টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আশার বাণী হল, দেশব্যাশী যে কারফিউ ও শাটডাউন ছিলো সেটা ধীরে ধীরে শিথিল হচ্ছে এবং জনমনে স্বস্তির আভাস দেখা দিচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে দেশের আইন শৃঙ্খলা দিন দিন আরও উন্নত হবে এবং বিগত ৭ দিনের যে ক্ষতির পরিমান তা অনেকাংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।