দেশে এখন থেকে ১৬৫ সিসির মোটরসাইকেল আমদানি করা যাবে। এত দিন সর্বোচ্চ ১৫০ সিসির মোটরসাইকেল আমদানি করা যেত। সম্প্রতি আমদানি নীতি (২০১৫-১৮) সংশোধন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই আদেশ জারি করেছে।
কত সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল আমদানি করা যাবে তা আমদানি নীতিতে বলা থাকে। ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের জন্য যে আমদানি নীতি করা হয়েছে; তাতে ১৫০ সিসির বেশি মোটরসাইকেল আমদানি নিষিদ্ধ ছিল। এই সীমা এখন বাড়িয়ে ১৬৫ সিসি করা হলো।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এই আদেশের ফলে এখন দেশের রাস্তায় উন্নত প্রযুক্তির মোটরসাইকেল দেখা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। উন্নত প্রযুক্তির বেশি সিসির মোটরসাইকেলে জ্বালানি খরচ কম এবং পরিবেশের ক্ষতিও কম হয়।
তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওই আদেশে আরও বলা হয়েছে, এখন থেকে তিন বছরের বেশি পুরোনো মোটরসাইকেল আমদানি করা যাবে না। মোটরসাইকেল উৎপাদনের তারিখের পরদিন থেকে এই হিসাব করা হবে। এদিকে নিজেদের মোটরসাইকেল আমদানির ক্ষেত্রে পুলিশ বিভাগ অবশ্য ১৬৫ সিসির বেশি মোটরসাইকেল আমদানি করার সুযোগ পাবে। আইন অমান্যকারীদের ধরতে কিংবা অপরাধীদের ধরতে সাধারণত পুলিশ বিভাগের জন্য বেশি সিসির মোটরসাইকেল আমদানির সুযোগ রাখা হয়।
আমদানিকারকেরা দীর্ঘদিন ধরেই বেশি সিসির মোটরসাইকেল আমদানির দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তাঁদের যুক্তি হলো, বর্তমানে কম সিসির মোটরসাইকেলের প্রচলন কমে যাচ্ছে। রপ্তানির বাজার সম্প্রসারণের স্বার্থে এবং বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের আমদানি নীতিতে মোটরসাইকেলের সিসিভিত্তিক সীমা শিথিল করা উচিত।
মার্কেট রিসার্চ নামের বেসরকারি এক সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখন বছরে গড়ে দুই লাখ মোটরসাইকেল বিক্রি হয়। আর্থিক হিসাবে বাজারের আকার প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার। এই বাজারে ১১০ সিসির মোটরসাইকেলের বাজার হিস্যা (মূল্যের দিক দিয়ে) প্রায় ৫০ শতাংশ। অন্যদিকে ১২৫ থেকে ১৩৫ সিসির মোটরসাইকেল প্রায় ১৭ শতাংশ এবং এরপর ১৫০ সিসির মোটরসাইকেলের বাজার অংশ প্রায় ৩৩ শতাংশ।