বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে উদীয়মান মোটরসাইকেল ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে কিওয়ে অন্যতম এবং তারা বেশ ভালো পরিসরে গ্রাহকদের সেবা দিয়ে আসছে। শুরু থেকেই আকর্ষনীয় ডিজাইন দিয়ে কিওয়ে ক্রেতাদের মুগ্ধ করে রেখেছে। কিওয়ের অনেক স্টাইলিশ বাইক রয়েছে এর মধ্যে ১০০ সিসি সেগমেন্টের নজরকাড়া ডিজাইনের বাইক হল “কিওয়ে আরকেএস ১০০” যেটি বাংলাদেশে অনেক ভালো পরিচিতি লাভ করেছে। বাইকটির তিনটা ভার্সনের মধ্যে বর্তমানে রয়েছে ভার্সন২ এবং ভার্সন৩। গ্রাহকদের তাদের পছন্দের ভার্সন কিনতে যেয়ে মাঝে মাঝে হিমসিম খেয়ে যান। ভি২ ও ভি৩ বেশ আলোচিত বাইক এবং প্রায় একই রকম ফীচারস সমৃদ্ধ। তাই খটকা লাগে এই দুটি বাইকের মধ্যে কোনটি ভালো। আজকে আপনাদের সুবিধার্থে কিছু যোক্তিক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে যেনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কোন বাইকটি কিনবেন? কিওয়ে আরকেএস ১০০ ভি২ নাকি ভি৩?
ইঞ্জিন
কিওয়ে আরকেএস ১০০ ভি২ আর ভি৩ তে একই ইঞ্জিন ব্যাবহার করা হয়েছে । কিন্তু ভি২ তে ভি৩ এর চেয়ে মাইলেজ বেশি পাওয়া যাবে। একই সংগে স্পীড এবং পারফরমেন্সে ভি২ এগিয়ে থাকবে।
টায়ার
ভি২ এর পেছনের ও সামনের উভয় টায়ার ভি৩ থেকে চিকন।
ব্রেকিং
ভি২ ও ভি৩ তে একই ব্রেকিং সিস্টেম রয়েছে কিন্তু আমরা বিভিন্ন ইউজার থেকে জানতে পেরেছি যে ভি৩ এর সামনের ডিস্ক ব্রেক ভি২ অপেক্ষা শক্তিশালী।
সাসপেনশন
সাসপেনশনের ক্ষেত্রেও দুটাতেই একই ধরনের সাসপেনশন রয়েছে তবে ভি৩ এর সামনের সাসপেনশন ভি২ থেকে ডায়ামিটারে বড় ও শক্তিশালী।
অন্যান্য দিক
ভি৩ তে মিটার শেড নেই কিন্তু ভি২ তে মিটার শেড আছে।মাইলেজের দিক দিয়ে ভি৩ থেকে ভি২ অনেক ভালো মাইলেজ দেয়। ভি৩ তে হাফ চেইন কভার দেওয়া হয়েছে এবং ভি২ তে ফুল চেইন কভার রয়েছে। ওজনের দিকে দিয়ে ভি২ এর থেকে ভি৩ অনেক এগিয়ে। তবে ভি২ ও ভি৩ দুটতেই অত্যাধুনিক TPS প্রযুক্তি ব্যাবহার করা হয়েছে। পেছনে মোটা চাকা এবং সামনের সাসপেনশন মোটা হবার কারনে ভি৩ অনেক বেশি দৃষ্টি নন্দন, স্পোর্টি এবং আকর্ষনীয় মনে হয়।
পরিশেষে আমরা একথাই বলতে পারি, বাইক কেনার ক্ষেত্রে নিজের সিদ্ধান্ত, চাহিদা এবং সামর্থকে সবার উপরে স্থান দিতে হবে। কাজেই উপরের পার্থক্য থেকে আপনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিন কোন ভার্সনটি আপনার জন্য সবেচেয়ে পারফেক্ট।