বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে বলে গণমাধ্যমগুলোকে জানিয়েছেন ইফাদ গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান তাসকিন আহমেদ।
আগামী বছরের জুন মাসে কোম্পানিটি ৩৫০ সিসির রয়্যাল এনফিল্ড দেশের বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাড়বে বলে প্রত্যাশা করছেন। আন্তর্জাতিক বাজারেও এই মোটরসাইকেল রপ্তানি শুরু করবে বলে জানান তিনি।
এর আগে, দেশের বাজারে ১৬৫ সিসির বেশি ইঞ্জিন সক্ষমতার মোটরসাইকেলের অনুমোদন ছিল না। যার ফলে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বাইকগুলো দেশের বাজারে আনতে পারেনি কোনো কোম্পানি। এখন সে বাধা দূর হওয়ায় অনেক কোম্পানি এ খাতে বিনিয়োগ করবে।
রয়্যাল এনফিল্ডের সঙ্গে চুক্তির পর ইফাদ গ্রুপ দেশের মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনের ক্ষমতাসীমা বাড়ানোর জন্য সরকারকে রাজি করানোর চেষ্টা করেছিল। নতুন এ সিদ্ধান্তের পর ইফাদ গ্রুপ ছাড়াও অন্যান্য কোম্পানির উচ্চ সিসির মোটরসাইকেলও এখন স্থানীয় বাজারে প্রবেশ করতে পারবে বলে জানান তিনি।
তাসকিন আহমেদ বলেন- ‘আমাদের বিনিয়োগের পরে ২০২১ সালে শিল্প মন্ত্রণালয় প্রাথমিক উৎপাদনের জন্য অনুমোদন দেয়। তবে নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণে স্থানীয় বাজারে বিক্রির অনুমতি দেয়নি পুলিশ। এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র দিয়েছে।’
ইফাদ মটরস এখন ৩৫০ সিসি ও তার চেয়ে বড় ইঞ্জিনসহ আইকনিক রয়্যাল এনফিল্ড মোটরসাইকেল তৈরি করতে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে মোটরসাইকেল কারখানা স্থাপন করছে।
এদিকে বাংলাদেশে ইয়ামাহা মোটরের একমাত্র পরিবেশক ও উৎপাদন অংশীদার এসিআই মোটরসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এফএইচ আনসারি জানান, ‘এটি দেশের জন্য ভালো খবর। মোটরসাইকেলের সিসি যত বেশি, নিরাপত্তা তত ভালো। দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে সিসিসীমা বাড়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অনুমোদনের ফলে দেশে মোটরসাইকেল বিক্রি বাড়বে। এ খাতে নতুন বিনিয়োগ আকৃষ্ট হবে।’
দেশের বাজারে ১৬৫ সিসির মোটামুটি সব মোটরসাইকেল রয়েছে। তবে ৩৫০ সিসি অনুমোদনের পর কোম্পানিগুলো ১৮০-৩৫০ সিসির যেকোনো মোটরসাইকেল দেশের বাজারে নিয়ে আসতে পারে।
বিশ্বে ১৮০-৩৫০ সিসির যেসব মোটরসাইকেল রয়েছে তার সম্ভাব্য লিস্ট—
বাজাজ পালসার আরএস ২০০, বাজাজ পালসার এনএস ২০০, বাজাজ পালসার ২২০ এফ, বাজাজ ডমিনোর ২৫০, বাজাজ এভেঞ্জার ক্রুজ ২২০, বাজাজ পালসার ১৮০ এফ, টিভিএস অ্যাপাচি আরটিআর ২০০ ফোরভি, টিভিএস অ্যাপাচি আরটিআর ১৮০, টিভিএস অ্যাপাচি আরআর ৩১০, হিরো এক্সপালস ২০০, হিরো এক্সট্রিম ২০০এস, রয়্যাল এনফিল্ড ক্লাসিক ৩৫০, রয়্যাল এনফিল্ড বুলেট ৩৫০, রয়্যাল এনফিল্ড ইএস ৩৫০, রয়্যাল এনফিল্ড মিটিওর ৩৫০, ইয়ামাহা এফজেডএস ২৫, ইয়ামাহা ফেজার ২৫, ইয়ামাহা আর ৩, হোন্ডা সিবি হরনেট ২০০ আর, হোন্ডা সিবিআর ২৫০ আর, হোন্ডা রেবেল ৩০০, হোন্ডা সিবি ৩০০ আর, হোন্ডা সিবিআর ৩০০ আর, সুজুকি জিএক্সএস ২৫০, সুজুকি জিক্সার ২৫০, সুজুকি জিক্সার এসএফ ২৫০, কেটিএম ডিউক ২০০, কেটিএম ডিউক ২৫০, কেটিএম আরসি ২০০, কাওয়াসিকি নিঞ্জা ২৫০, কাওয়াসিকি ভারসিস-এক্স ২৫০, বিএমডব্লিউ জি ৩১০ আর, লিফান কেপিআর ২০০, লিফান কেপিটি ২০০, জিপিএক্স ডেমন জিআর ২০০ আর।
খুব শীঘ্রই টিম মোটরসাইকেল ভ্যালী এই বাইকগুলোর সম্ভাব্য দামসহ সকল স্পেশিফিকেশন বাইক প্রেমীদের কাছে উপস্থাপন করবে।
সোর্সঃ RTVonline