পথচলার ৫ বছর পার করে আজ ৬ বছরে পা দিলো মোটরসাইকেল ভ্যালী। এ উপলক্ষ্যে মোটরসাইকেল ভ্যালী কার্যালয়ে বিকাল পাঁচটায় আয়োজন করা হয় এর ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠান । ২০১২ সালের এই দিনে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের প্রথম মোটরসাইকেল ভিত্তিক ওয়েবসাইট মোটরসাইকেল ভ্যালী।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রীজের পরিচালক এবং আইটি চেয়ারম্যান জনাব আহসান উদ্দীন সরকার, রাজশাহীর স্বনামধন্য মোটরসাইকেল ব্যবসায়ী কেআর বাইক সেন্টার এর স্বত্তাধীকারী জনাব মো: আবু হোসেন সিদ্দীকী কোয়েল, রাজশাহী স্টান্ট রাইডার্স এর প্রতিষ্ঠাতা মেম্বর জনাব এমএ হানিফ জিসান এবং কয়েকজন সদস্য।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে মোটরসাইকেলভ্যালীর প্রতিষ্ঠাতা আবু সাইদ মাহমুদ হাসান বলেন “ঘটনার সুত্রপাত ২০১১সালে। নিজের জন্য একটি মোটরাসইকেল কিনবো। কিন্তু ইন্টারনেট ঘেটে মোটরসাইকেলের তেমন তথ্য পাই না, যা পাই সবই ইনডিয়ান ওয়েবসাইট। দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর যে ওয়েবসাইট ছিলো সেখানে পর্যাপ্ত তথ্য ছিলো না। নিজের সমস্যা থেকেই বুঝলাম নিশ্চয় অন্যজনও আমার মতো সমস্যায় পড়ছে। আর তখনই সিদ্ধান্ত নিলাম মোটরসাইকেল নিয়ে একটি ওয়েবসাইট বানাবো যেখানে বাংলাদেশের মোটরসাইকেলপ্রেমীদের জন্য প্রয়োজনীয় সকল তথ্যই থাকবে। প্রাথমিক তথ্য ও প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করে ২০১২ সালের ২৫শে জানুয়ারী চালু করা হয় বাংলাদেশের সর্ব প্রথম এবং সর্ববৃহৎ মোটরসাইকেল ওয়েবপোর্টাল মোটরসাইকেলভ্যালী ডট কম। বাংলাদেশে তরুনদের মাঝে মোটরসাইকেল সব সময়েই জনপ্রিয়। কিন্তু মোটরসাইকেলের দাম পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায় অনেক বেশি। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে কিছু ব্রান্ডের মোটরসাইকেলের দাম কমেছে কিন্তু প্রয়োজন এবং সামর্থ্যের তুলনায় তা খুবই নগন্য। মোটরসাইকেল কোনো বিলাসদ্রব্য নয়, এটি নিত্য ব্যবহারের এবং খুবই প্রয়োজনীয় জিনিস। বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় মোটরসাইকেল সত্যিকারের একটি আদর্শ বাহন। কিন্তু পুর্ণ বা যন্ত্রাংশ যার কথাই বলি না কেনো আমদানী খরচ অনেক হওয়াতে মোটরসাইকেলের দাম মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক বিবেচনায় ট্যাক্সের পরিমান কমিয়ে মোটরসাইকেলকে মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসার জন্য সরকারের প্রতি আবেদন করেন তিনি। সিসি লিমিট থাকার কারনে অনেক ভালোমানের মোটরসাইকেল থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। অন্তত ২০০সিসি পর্যন্ত অনুমোদনের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেন। এছাড়াও মোটরসাইকেল চালকদেরকে ট্রাফিক আইনের প্রতি অনুগত থেকে মোটরসাইকেল চালানোর জন্য সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। বিশেষকরে যেসকল রাইডারগন টুর দেন বা যারা স্টান্ট করে থাকেন তাদের নিজেদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখার পাশাপাশি অন্যের সমস্যা না হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখার জন্য পরামর্শ দেন। হেলমেট ব্যবহারে অবহেলা না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন তিনি।“
অনুষ্ঠানে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রীজের পরিচালক এবং আইটি চেয়ারম্যান জনাব আহসান উদ্দীন সরকার তার বক্তব্যে মোটরসাইকেলভ্যালীর মতো এমন উদ্যোগে তিনি প্রসংশা করেন, ভবিষ্যতে মোটরসাইকেলভ্যালী বাইক এবং বাইকারদের জন্য আরো তথ্যসমৃদ্ধ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কেআর বাইক সেন্টার এর স্বত্তাধীকারী জনাব মো: আবু হোসেন সিদ্দীকী কোয়েল মোটরসাইকেল ভ্যালীর সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করেন।।
রাজশাহী স্টান্ট রাইডার্স এর প্রতিষ্ঠাতা মেম্বর জনাব এমএ হানিফ জিসান মোটরসাইকেল ভ্যালীর ৫বছর পেরিয়ে ৬বছরে পদার্পনের জন্য মোটরসাইকেলভ্যালী টীমকে শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোটরসাইকেলভ্যালী টীমের এডিটর প্যানেলের জনাব মাহমুদ রিয়াদ, মুক্তাদির বিন হক, আনোয়ারুল আবেদিন শিশির; ওয়েব টীম এর সাগর, আরিফ এবং শরীফ; ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ইমান আসমান, সাগর এবং সোহান; মাল্টিমিডিয়া টীম এর রাফি চৌধুরী এবং নাজিব মো: বদরুল; টেস্ট রাইডার ইথার। এছাড়াও টেলিফোন কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন মোটরসাইকেলভ্যলীর ঢাকা করেসপন্ড এবং ব্র্যান্ড প্রমোটার জনাব আব্দুল্লাহ আল নোমান।