যে কারনে দাম বাড়তে পারে মোটরসাইকেলের
বর্তমানে বাংলাদেশ বড় একটি চ্যালেঞ্জের সম্মূখীন হয়েছে। এখন কতগুলো বৈশ্বিক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি এবং গুরুত্বপূর্ণ নিত্যপণ্যের আমদানিতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে এছাড়া আমাদের যেসব মেশিনারি আমদানি করা প্রয়োজন, সেগুলোর ক্ষেত্রে শিপিং খরচ বেড়ে গেছে। দেশের মোটরসাইকেল মার্কেটে এর প্রভাব পড়েছে যার কারনে এই মার্কেটে একটু অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। যার ফলে ধারণা করা যাচ্ছে যে বাংলাদেশের বাজারে মোটরসাইকেল এর দাম আবারো বাড়তে পারে।
আমরা দেখেছি যে মোটরসাইকেলের দাম কিছু দিন আগেও বেড়েছিলো এবং পাশাপাশি জ্বালানী তেল যেটা মোটরসাইকেলের অবিচ্ছেদ্য অংশ সেটার দামও বৃদ্ধি করা হয়েছে ফলে এই বাজারে একটু নেগেটিভ প্রভাব ফেলেছে। এই দাম বাড়ানোর পেছনে অবশ্য কিছু কারণও রয়েছে সেই কারণগুলো নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হল ।
মোটরসাইকেলের দাম বাড়ার জন্য অনেকগুলো কারণের মধ্যে একটি হল, ব্যাংক এখন ( Non Essential) পণ্যের সকল LC ( Letter of Credit) বন্ধ করে দিয়েছে যার ফলে আমদানীতে নেগেটিভ প্রভাব পড়েছে এবং কাঁচামাল আমদানী ব্যাহত হওয়ার কারনে মোটরসাইকেলের দামের উপর প্রভাব পড়তে পারে।
এদিকে তেলের দাম অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে যার ফলে কাঁচামাল ও অন্যান্য পন্য সরবরাহের ব্যয় বাড়বে যার ফলে মোটরসাইকেল যেহেতু একস্থান থেকে অন্য স্থানে নেওয়ার জন্য পরিবহনের প্রয়োজন পড়ে তাই এর দামের উপরেও কিছুটা হলেও প্রভাব পড়বে।
মোটরসাইকেল শিল্পে Last querter এ (-)৩০% নেগেটিভ গ্রোথ দেখা দিচ্ছে যার ফলে অনেকের ধারণা যে বাইকের দাম কমতে পারে কিন্তু না , LC এখন বন্ধ আছে তাই আমাদানীও এখন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে যার ফলে বাইকের দাম বাড়ার একটা শঙ্কা রয়েছে।
বর্তমান বহির্বিশ্বে রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে ডলারের দাম, পন্য বিপনন , আমদানী রপ্তানী তে অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে তাই বাংলাদেশের মোটরসাইকেল মার্কেটেও এর প্রভাব ভালভাবেই পরিলক্ষিত হয়েছে ফলে বাইকের দাম বাড়বে এমন একটা ধারণা করা যায়।
আমরা জানি যে বর্তমানে বাংলাদেশ সহ পুরো বিশ্বে একটি অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে যার ফলে আমাদের মৌলিক চাহিদার জিনিসপত্রের দাম হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে । এই পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এবং আশা করা যায় বাংলাদেশ এই সংকট অচিরেই কাটিয়ে উঠবে এবং মোটরসাইকেল শিল্পে আরও কার্যকর ভুমিকা পরিলক্ষিত হবে।