রানার অটো মোবাইল কোম্পানী লিমিটেড বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য ও উদীয়মান একটি মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড। বাংলাদেশের লোকাল মার্কেটে তাদের বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। তারা চায় যে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষের হাতে কম মুল্যে মোটরসাইকেল তুলে দিতে। সেজন্য তাদের মোটরসাইকেল গুলো গুনে ও মানে বেশ ভাল এবং দাম গ্রাহকদের সাধ্যের মধ্যে। বাংলাদেশে জাপানিজ,চাইনিজ,ইন্ডিয়ান এবং বিভিন্ন দেশের প্রস্তুতকারকের পাশাপাশি রানার লোকাল মার্কেটে বেশ ভাল অবস্থান ধরে রেখেছে এবং তারা তাদের সামর্থ্য ও ক্ষমতা দুটোই প্রমান করতে সক্ষম হয়েছে। রানার অটো মোবাইল বর্তমানে বাংলাদেশের গন্ডি পেরিয়ে নেপালে তাদের কিছু কোয়ালিটি প্রডাক্ট রপ্তানি করছে এবং বেশ ভাল সাড়া পাচ্ছে। রানার বাংলাদেশী একটি ব্র্যান্ড এবং তাদের মোটরসাইকেল গুলো বাংলাদেশেই প্রস্তত হয়ে থাকে।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ চলতি বছরের ২১ শে জানুয়ারীতে আনুষ্ঠানিক ভাবে তাদের এই রপ্তানী কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। তাদের বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল হিমালয় কন্যা নেপালে রপ্তানি হচ্ছে। তাদের মধ্যে রয়েছে রানার ডিলাক্স , রানার বুলেট, রয়েল প্লাস, রানার চিতা এবং নাইট রাইডার।চলুন তাদের এসকল বাইকের সাথে একবার পরিচিত হওয়া যাক।
রানার ডিলাক্স
৮৫ সিসির ইঞ্জিন সমৃদ্ধ একটি বাইক। সাধারণ লুক, ভারী বয়স্ক মানুষের জন্য সব মিলিয়ে বেশ ভাল একটি বাইক। এই ৮৫ সিসির বাইকটির ইঞ্জিন ম্যাক্স পাওয়ার ৪.৮@৭৫০০ আরপিএম এবং ম্যাক্স টর্ক ৫.৭@৬০০০ আরপিএম। মাইলেজ ৬০ কিমি প্রতি লিটারে এবং টপ স্পীড ৮০ কিমি প্রতি ঘন্টা। বাইকটির ওজন রাখা হয়েছে ৮৪ কেজিতে।
রানার বুলেট
দেখতে সুন্দর ,ইঞ্জিনের গুমগুম শব্দ ইত্যাদি সব কিছু মিলিয়ে কমিউটার বাইকারের নজর কাড়বে। বাইকটিতে রয়েছে ১২৫ সিসির এয়ার কুল্ড ইঞ্জিন এছাড়াও সামনে ডিস্ক ব্রেকিং সিস্টেম বাইকটিকে আধুনিক রুপ দিয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ১০০ কিমি প্রতি ঘন্টায় টপ স্পীড এবং ৫০ কিমি প্রতি লিটারে মাইলেজ।
রানার রয়েল প্লাস
সুন্দর গ্রাফিক্স, ভাল সিটিং পজিশন সমৃদ্ধ একটি বাইক। বাইকটির ইঞ্জিন ১১০ সিসির যেটা ম্যাক্স পাওয়ার ৬ কিলোওয়াট@৭৫০০ আরপিএম এবং ম্যাক্স টর্ক ৭.৮ এনএম@৬০০০ আরপিএম তৈরি করতে সক্ষম এবং বাইকটিতে ৫৫ কিমি প্রতি লিটারে ভাল মাইলেজ এবং টপ স্পীড ৮৫ কিমি প্রতি লিটারে রয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে বাইকটির ইঞ্জিন পারফরমেন্স আশানুরূপ।
রানার চিতা
খুব সাধারণ দেখতে একটি বাইক যার রয়েছে ১০০ সিসির এয়ার কুল্ড ইঞ্জিন এবং এই ইঞ্জিন ম্যাক্স পাওয়ার ৫.২কিলোওয়াট@৮০০০ আরপিএম এবং ম্যাক্স টর্ক ৬.৫ দিয়ে ৬৫০০ আরপিএম সরবরাহ করতে সক্ষম। এছাড়াও রয়েছে এলয় হুইল, সুন্দর গ্রাফিক্স সব মিলিয়ে বেশ ভাল একটি বাইক। বাইকটির মাইলেজ রয়েছে ৬০ কিমি প্রতি লিটারে এবং টপ স্পীড রয়েছে ৭০ কিমি প্রতি ঘন্টায়।
রানার নাইট রাইডার
রানারের একমাত্র ১৫০ সিসি সেগমেন্টের বাইক হল নাইট রাইডার,। বাইকটি অন্যান্য ১৫০ সিসি বাইকের তুলনায় বেশ ভাল। এর ইঞ্জিনে রয়েছে ১৫০ সিসি এয়ার কুল্ড যেটা ম্যাক্স পাওয়ার ১১.৯২৬@৭৫০০ আরপিএম এবং ম্যাক্স টর্ক ১২.২ এন এম @৫৫০০ আরপিএম দিয়ে থাকে। বাইকটিতে আরও রয়েছে ডিজিটাল মিটার, ফুয়েল ট্যাংকারের সুন্দর গ্রাফিক্স, মাস্কুলার বডি সব কিছু মিলিয়ে ১৫০ সিসির বাইক হিসেবে বেশ সুন্দর ও আধুনিক ফিচার রয়েছে। টপ স্পীড রয়েছে ১২০ কিমি প্রতি ঘন্টায় এবং মাইলেজ রয়েছে ৫০ কিমি প্রতি লিটারে।
শেষকথা
বাংলাদেশের মোটরসাইকেল মার্কেটে রানারের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা একজন বাংলাদেশী হিসেবে গর্বিত যে আমাদের দেশে তৈরিকৃত মোটরসাইকেল বিদেশে রপ্তানী হচ্ছে এবং আশা করা যায় যে নেপালের পাশাপাশি আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতেও রানারের মোটরসাইকেল সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
রানার অটো মোবাইল কোম্পানী লিমিটেড বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য ও উদীয়মান একটি মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড। বাংলাদেশের লোকাল মার্কেটে তাদের বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। তারা চায় যে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষের হাতে কম মুল্যে মোটরসাইকেল তুলে দিতে। সেজন্য তাদের মোটরসাইকেল গুলো গুনে ও মানে বেশ ভাল এবং দাম গ্রাহকদের সাধ্যের মধ্যে। বাংলাদেশে জাপানিজ,চাইনিজ,ইন্ডিয়ান এবং বিভিন্ন দেশের প্রস্তুতকারকের পাশাপাশি রানার লোকাল মার্কেটে বেশ ভাল অবস্থান ধরে রেখেছে এবং তারা তাদের সামর্থ্য ও ক্ষমতা দুটোই প্রমান করতে সক্ষম হয়েছে। রানার অটো মোবাইল বর্তমানে বাংলাদেশের গন্ডি পেরিয়ে নেপালে তাদের কিছু কোয়ালিটি প্রডাক্ট রপ্তানি করছে এবং বেশ ভাল সাড়া পাচ্ছে। রানার বাংলাদেশী একটি ব্র্যান্ড এবং তাদের মোটরসাইকেল গুলো বাংলাদেশেই প্রস্তত হয়ে থাকে।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ চলতি বছরের ২১ শে জানুয়ারীতে আনুষ্ঠানিক ভাবে তাদের এই রপ্তানী কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। তাদের বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল হিমালয় কন্যা নেপালে রপ্তানি হচ্ছে। তাদের মধ্যে রয়েছে রানার ডিলাক্স , রানার বুলেট, রয়েল প্লাস, রানার চিতা এবং নাইট রাইডার।চলুন তাদের এসকল বাইকের সাথে একবার পরিচিত হওয়া যাক।
রানার ডিলাক্স
৮৫ সিসির ইঞ্জিন সমৃদ্ধ একটি বাইক। সাধারণ লুক, ভারী বয়স্ক মানুষের জন্য সব মিলিয়ে বেশ ভাল একটি বাইক। এই ৮৫ সিসির বাইকটির ইঞ্জিন ম্যাক্স পাওয়ার ৪.৮@৭৫০০ আরপিএম এবং ম্যাক্স টর্ক ৫.৭@৬০০০ আরপিএম। মাইলেজ ৬০ কিমি প্রতি লিটারে এবং টপ স্পীড ৮০ কিমি প্রতি ঘন্টা। বাইকটির ওজন রাখা হয়েছে ৮৪ কেজিতে।
রানার বুলেট
দেখতে সুন্দর ,ইঞ্জিনের গুমগুম শব্দ ইত্যাদি সব কিছু মিলিয়ে কমিউটার বাইকারের নজর কাড়বে। বাইকটিতে রয়েছে ১২৫ সিসির এয়ার কুল্ড ইঞ্জিন এছাড়াও সামনে ডিস্ক ব্রেকিং সিস্টেম বাইকটিকে আধুনিক রুপ দিয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ১০০ কিমি প্রতি ঘন্টায় টপ স্পীড এবং ৫০ কিমি প্রতি লিটারে মাইলেজ।
রানার রয়েল প্লাস
সুন্দর গ্রাফিক্স, ভাল সিটিং পজিশন সমৃদ্ধ একটি বাইক। বাইকটির ইঞ্জিন ১১০ সিসির যেটা ম্যাক্স পাওয়ার ৬ কিলোওয়াট@৭৫০০ আরপিএম এবং ম্যাক্স টর্ক ৭.৮ এনএম@৬০০০ আরপিএম তৈরি করতে সক্ষম এবং বাইকটিতে ৫৫ কিমি প্রতি লিটারে ভাল মাইলেজ এবং টপ স্পীড ৮৫ কিমি প্রতি লিটারে রয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে বাইকটির ইঞ্জিন পারফরমেন্স আশানুরূপ।
রানার চিতা
খুব সাধারণ দেখতে একটি বাইক যার রয়েছে ১০০ সিসির এয়ার কুল্ড ইঞ্জিন এবং এই ইঞ্জিন ম্যাক্স পাওয়ার ৫.২কিলোওয়াট@৮০০০ আরপিএম এবং ম্যাক্স টর্ক ৬.৫ দিয়ে ৬৫০০ আরপিএম সরবরাহ করতে সক্ষম। এছাড়াও রয়েছে এলয় হুইল, সুন্দর গ্রাফিক্স সব মিলিয়ে বেশ ভাল একটি বাইক। বাইকটির মাইলেজ রয়েছে ৬০ কিমি প্রতি লিটারে এবং টপ স্পীড রয়েছে ৭০ কিমি প্রতি ঘন্টায়।
রানার নাইট রাইডার
রানারের একমাত্র ১৫০ সিসি সেগমেন্টের বাইক হল নাইট রাইডার,। বাইকটি অন্যান্য ১৫০ সিসি বাইকের তুলনায় বেশ ভাল। এর ইঞ্জিনে রয়েছে ১৫০ সিসি এয়ার কুল্ড যেটা ম্যাক্স পাওয়ার ১১.৯২৬@৭৫০০ আরপিএম এবং ম্যাক্স টর্ক ১২.২ এন এম @৫৫০০ আরপিএম দিয়ে থাকে। বাইকটিতে আরও রয়েছে ডিজিটাল মিটার, ফুয়েল ট্যাংকারের সুন্দর গ্রাফিক্স, মাস্কুলার বডি সব কিছু মিলিয়ে ১৫০ সিসির বাইক হিসেবে বেশ সুন্দর ও আধুনিক ফিচার রয়েছে। টপ স্পীড রয়েছে ১২০ কিমি প্রতি ঘন্টায় এবং মাইলেজ রয়েছে ৫০ কিমি প্রতি লিটারে।
শেষকথা
বাংলাদেশের মোটরসাইকেল মার্কেটে রানারের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা একজন বাংলাদেশী হিসেবে গর্বিত যে আমাদের দেশে তৈরিকৃত মোটরসাইকেল বিদেশে রপ্তানী হচ্ছে এবং আশা করা যায় যে নেপালের পাশাপাশি আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতেও রানারের মোটরসাইকেল সরবরাহ করা সম্ভব হবে।