স্পোর্টস বাইক কার না ভালো লাগে। স্পোর্টস বাইক এর কথা মাথায় আসলেই সর্বপ্রথম বাইকের ইঞ্জিন ও স্টাইলের কথা আসে। এগুলোর পাশাপাশি আরেকটি বিষয় আসে সেটি হল বাইকের দাম। আমরা জানি যে যে স্পোর্টস বাইক এর দাম যত বেশি হবে তার ডিজাইন,গঠন, বিল্ড কোয়ালিটি, ইঞ্জিন ততবেশি উন্নত হবে। মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন কে হৃদয়ের স্পন্দনের সাথে তুলনা করা হয় কারণ এই ইঞ্জিন শব্দে একটি গাম্ভীর্য ভাব রয়েছে যে আমাদের হৃদয় থেকে অনুভূত হয়। আমাদের দেশে সিসি লিমিট থাকার কারণে স্পোর্টস বাইক তেমন বেশি লক্ষ্য করা যায় না তবে যে সকল কোম্পানির স্পোর্টস ক্যাটাগরির বাইক রয়েছে সেসকল কোম্পানি চেষ্টা করেছে যে উন্নত মানের ডিজাইন ও ইঞ্জিন সে সকল বাইকের সাথে সরবরাহ করার। আমরা দেখেছি যে আমাদের দেশে যে স্পোর্টস ক্যাটাগরির বাইক হয়েছে সেগুলো হাই সিসির বাইকগুলোর আদলে ডিজাইন করা।
আজকে আমরা টিম মোটরসাইকেল ভ্যালী আপনাদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছি বাংলাদেশের বাজারে বিদ্যমান স্পোর্টস বাইকগুলো নিয়ে। আশা করি বাংলাদেশের বিদ্যমান স্পোর্টস বাইকগুলো সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত ধারণা লাভ করতে পারবেন। আমরা আজকের এই আলোচনাগুলো বাংলাদেশে বিদ্যমান প্রিমিয়াম বাইকগুলো নিয়ে করবো বা স্পোর্টস বাইক হিসেবেও পরিচিত। চলুন তাহলে এক নজর দেখে নেওয়া যাক বাংলাদেশের স্পোর্টস বাইকগুলো।
Yamaha R15 V3
এই
Yamaha R15 V3 মোটরসাইকেলের প্রিমিয়াম এবং এগ্রেসিভ স্পোর্টস কসমেটিকসের কারণে ইতিমধ্যে বাংলাদেশের মোটরসাইকেল প্রেমীদের মধ্যে একটি ক্রেজ তৈরি হয়েছে। এটি একটি ১৫৫ সিসি মোটরসাইকেল হলেও দেখে হাই সেগমেন্ট মোটরসাইকেলের মতো মনে হয়। অ্যাসিস্ট স্লিপার ক্লাচ, ভিভিএ, এফ আই টেকনোলজি, বিএস ম্যাটেড ইঞ্জিন ইমিশন টেকনোলজির মতো উন্নত ও লেটেস্ট প্রযুক্তির কারণে, নতুন আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং কালার স্কিমের সাথে R15 V3 গ্লোবাল ব্র্যান্ড ইয়ামাহার অন্যতম সেরা স্পোর্টস মোটরসাইকেল সিরিজ। এই বাইকের আউটলুক এবং ডাবল চ্যানেল এবিএস সিস্টেম সহ উন্নত ব্রেকিং সিস্টেমের জন্য সহজেই দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে।
R15 V3এর স্পেশাল ফিচারস হিসেবে রয়েছে
-এফ আই প্রযুক্তি
-ভেরিয়েবল ভালভ অ্যাকুয়েশন (ভিভিএ) প্রযুক্তি
-স্লিপার ক্লাচ
-ডুয়াল চ্যানেল এবিএস
-সুপার স্পোর্টস গ্রাফিক্স
-আপগ্রেড মিটার ক্লাস্টার
-সম্পূর্ণ এলইডি লাইট সেটআপ
ইয়ামাহা R15 V3 এই নতুন মেশিনটি ইয়ামাহা আর 1 বাইকের ডিজাইনের আদলে তৈরী।R15 এর এই নতুন ভার্শনটির জন্য আপনি এরোডাইনামিক এবং শার্প লুক দেকতে পাবেন। এর স্প্লিট এলইডি হেডল্যাম্প ইউনিট এবং উইন্ডশীল্ডটি বেশ আকর্ষণীয় দেখায়। সেই সাথে, এরোডাইনামিক ফেয়ারিং বডির সাথে বেশ ঘন এবং পুরোপুরিভাবে মিলিত হয়ে বাইকের লুকস আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
Yamaha R15 V3 একটি প্রিমিয়াম মোটরসাইকেল যার কারণে ইঞ্জিন সর্বদা নিখুঁত। R15 V3 আরও বেশি কিছু অফার করেছে রাইডারদের জন্য। এই ভার্শনে রাখা হয়েছে লিকুয়িড-কুল্ড, 1-সিলিন্ডার, 4-স্ট্রোক, এসওএইচসি, 4-ভালভ, ১৫৪.৯ সিসি ইঞ্জিন, যার সর্বাধিক পাওয়ার ১৯.০৩ পিএস ১০০০০ আরপিএমে এবং ১৪.৭ এনএম টর্ক ৮৫০০ আরপিএমে। এই ইঞ্জিন যে কোন ১৫০ সিসির প্রিমিয়াম বাইকের সাথে টেক্কা দিতে সক্ষম।
Yamaha R15 V3 বাইকের দাম ৪, ৮৫,০০০ টাকা।
Yamaha R15 V3 সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন।
Suzuki GSX R Dual ABSবাংলাদেশের বাইকপ্রেমিদের জন্য সুজুকি খুব সুন্দর সুন্দর ও নিত্য নতুন ডিজাইনের বাইক নিয়ে আসে এটা আমরা সবাই জানি। জাপানিজ এর ব্র্যান্ডটি চেষ্টা করে যাচ্ছে ভাল মানের বাইক বাংলাদেশের গ্রাহকদের উপহার দেওয়া। ঠিক তেমনিভাবে ১৫০ সিসি স্পোর্টস সেগমেন্টে তারা খুব সুন্দর একটি বাইক নিয়ে এসেছে যার নাম
Suzuki GSX R Dual ABS।এই বাইকটির ডিজাইনের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে সুজুকি এই বাইকটা কত শ্রম দিয়ে ডিজাইন করেছে। হাই সিসি জিএসএক্স এর ধারণা থেকে ১৫০ সিসির স্পোর্টস ক্যাটাগরির বাইক তৈরি করে বাংলাদেশের বাজারে নতুন একটি ধারণা দিয়েছে সুজুকি। ডিজাইন এর প্রতিটা অংশ তারা নিখুঁতভাবে করেছে এবং গ্রাফিক্যাল , কালার কম্বিনেশন ও আউটলুক তারা খুব সুন্দরভাবে করেছে। এই Suzuki GSX R Dual ABS বাইকটিকে বলা হয় গতির রাজা অর্থাৎ ১৫০ সিসির মধ্যে ভালো গতি তুলতে সক্ষম এই Suzuki GSX R Dual ABS।
গতি বেশির জন্য সুজুকি এর ইঞ্জিনে ব্যবহার করেছে ১৪৯ সিসি লিকুইড-কুল্ড ৪ স্ট্রোক, সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ডিওেইচসি ফুয়েল ইঞ্জাকশন ইঞ্জিন। এই শক্তিশালী ইঞ্জিনটি ম্যাক্স পাওয়ার 19.2ps@10500rpm উৎপাদন করতে পারে এবং সর্বাধিক টর্ক হচ্ছে 14.0 Nm@ 9000rpm উৎপন্ন করতে পারে। গতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে তারা এই বাইকের সাথে ব্যবহার করেছে ডুয়াল চ্যনেল এবিএস ব্রেকিং সিস্টেম। তাছাড়া অন্যান্য যে বিষয়গুলো রয়েছে তা সবকিছু আধুনিক করার চেষ্টা করা হয়েছে।
Suzuki GSX R Dual ABS বাইকে রদাম৩, ৭৯, ৯৫০টাকা।
Suzuki GSX R Dual ABS সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন।
Honda CBR 150R ABS Motogp Edition 2021
হোন্ডা সিবিআর অনেক জনপ্রিয় একটি সিরিজ। শুরু থেকেই এই সিবিয়ার সিরিজটি বাংলাদেশের বাজারে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে আসছে। হোন্ডা তাদের কোয়ালিটি নিয়ে কোন আপোষ করে না তাই সিবিআর আজও অনেক বাইকারদের খুব পছন্দের একটি বাইক। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সম্প্রতি হোন্ডা নিয়ে এসেছে
Honda CBR 150R ABS Motogp Edition 2021 ডিজাইনের দিক থেকেও এই বাইকের অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে পূর্বের সিবিআর এর সিরিজগুলো থেকে। সামনে এলিডি ডিআরএল এর সাথে এলিডি হেডল্যাম্প, সুন্দর গ্রাফিক্স, আপসাইড ডাউন সাসপেনশন , ডুয়াল চ্যানেল এবিএস ইত্যাদি বাইকটিকে আরও প্রিমিয়াম করেছে। মোট কথায় হোন্ডা তাদের এই বাইক তৈরিতে কোন ত্রুটি রাখেনি।
ইঞ্জিনে হোন্ডা বরাবরের মত এবারও বিশেষ নজর দিয়েছে। তারা এই Honda CBR 150R ABS Motogp Edition 2021 বাইকের ইঞ্জিনে ব্যবহার করেছে বিএস৬ ১৪৯.১৬ সিসি ৪-স্ট্রোক, ৪ ভালভ, ১ সিলিন্ডার, ইঞ্জিন সেই সাথে লিকুইড কুলিং সিস্টেম এবং উন্নত Fi টেকনোলোজি। এই ইঞ্জিনটি ১৭.১ Bhp @ ৯০০০ rpm সর্বোচ্চ শক্তি এবং ১৪.৪ Nm @ ৭০০০ rpm সর্বাধিক টর্ক উৎপাদন করতে পারে। পাশাপাশি রয়েছে ৬ স্পীড গিয়ার বক্স ট্রান্সমিশন ,এসিস্ট স্লিপার ক্লাচ।
Honda CBR 150R ABS Motogp Edition 2021 বাইকের দাম৫, ৩৮,০০০টাকা।
Honda CBR 150R ABS Motogp Edition 2021 সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
KTM RC125
কেটিএম অস্ট্রিয়ান মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারক এখন বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারক হয়ে উঠেছে। এর পিছনে কারণ তাদের বাইকের গুণগতমান, আধুনিক এবং আকর্ষণীয় ফিচার, আকর্ষনীয় কালার স্কিম এবং পারফর্মেন্স। কেটিএমের প্রিমিয়াম টাইপ ১২৫ সিসি একটি মোটরসাইকেল যেটা হচ্ছে
KTM RC125। কমপ্যাক্ট স্পোর্টি লুক এবং এর ফিচারগুলি দেখে যে কেউ ভেবে বসবে এই বাইকটি অন্য যে কোনও 150/160 সিসি সেগমেন্টের মোটরসাইকেল এবং এর কার্যক্ষমতাও 150/160 সিসি সেগমেন্টের মতন।
KTM RC125 এর আকর্ষণীয় ফিচারস এর মধ্যে রয়েছে -স্টপিং পাওয়ার ডুয়াল চ্যানেল এবিএস (ব্রেক)
-এরগনোমিক্স স্টাইল (ফুয়েল ট্যাঙ্ক এবং সীট)
-ট্রিপল ক্ল্যাম্পস এবং হ্যান্ডেলবার
-রেসিং টাইপ এলোয় এবং স্পোর্টি টায়ার
-ডাব্লুপি স্পোর্টি টাইপ আপসাইড ডাউন টেলিস্কোপিক সাসপেনশন
-এরোডাইনামিক ডিজাইন উইন্ডশীল্ড
-ইন্টিগ্রেটেড ব্লিংকারস ( সাইড ইন্ডিকেটর )
-টুইন হেডল্যাম্প
-উন্নতমানের এলসিডি মিটার প্যানেল
KTM RC125 এর ডিজাইন খুব আকর্ষণীয় এতে কোন সন্দেহ নেই। এই বাইকের সামনের অংশটি বেশ চমকপ্রদ বলে মনে হচ্ছে, কারণ বৃহত্তর ফুয়েল ট্যাঙ্কার, এরোডাইনামিক ডিজাইন এবং আকর্ষণীয় শক্তিশালী কিটগুলো এই বাইকের লুককে অনেকটা চোখে লাগার মত করে তুলে। ইঞ্জিনে তারা ব্যবহার করেছে ১২৪.৭ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার, 4-ভালভ, লিকুইড-কুল্ড, এফআই, ডিওএইচসি ইঞ্জিন রয়েছে। এই বাইকে সর্বাধিক শক্তি ১৪.৫ পিএস @৯২৫০ আরপিএম এবং সর্বাধিক টর্ক ১২ এনএম @৮০০০ আরপিএম।
KTM RC125 বাইকের দাম ৪, ৭০,০০০টাকা।
KTM RC125 বাইক সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন।
Aprilia GPR 150
এপ্রিলিয়া সারা বিশ্বে মোটরসাইকেল বাজারের বৃহত্তম একটি নাম। এই কোম্পানি কেবল জনপ্রিয় নয়, সেই সাথে নির্ভরযোগ্য এবং আধুনিক সমস্ত ফিচারসম্বৃদ্ধ ভালো মানেরে বাইক তৈরীতে সক্ষম। বাংলাদেশের বাজারে সিসি লিমিট থাকার কারণে তাদের হাই সিসি বাইকগুলো বাজারে আসছে না কিন্তু ১৫০ সিসির মধ্যেও তারা খুব ভালো মানের বাইক তৈরি করেছে এবং রানার এর হাত ধরে বাংলাদেশের বাজারে তাদের সুন্দর স্পোর্টস বাইক
Aprilia GPR 150 নিয়ে এসেছে।
এই বাইকের বিশেষ ফিচারস এর মধ্যে রয়েছে -ডেল্টা বক্স ডিজাইনের সাথে টুইন বিম অ্যালুমিনিয়াম অ্যালোয় ফ্রেম
-মোটোজিপি গ্রাফিক্সের সাথে অ্যারোডাইনামিক স্পোর্টস ফেয়ারিং
-ডিওএইচসি লিকুইড কুলড, ইএফআই ইঞ্জিন।
-ফ্রন্ট USD সাসপেনশন এবং মনো রিয়ার সাসপেনশন
Aprilia GPR 150 মোটোজিপি গ্রাফিক্সের সাথে অ্যারোডাইনামিক স্পোর্টস ফুল ফেয়ারিং কিট ব্যাবহার করা হয়েছে, যা রাইডারদের আকর্ষণ কেড়ে নিতে সক্ষম। তা ছাড়া ডেল্টা বক্স ডিজাইন পুরো বাইকটিকে সুন্দর এবং কমপ্যাক্ট চেহারা প্রদান করেছে। আকর্ষনীয় রিয়ার ভিউ মিরর সহ সম্পূর্ন নতুন ধরনের হেডলাইট এই বাইকটিকে আরও স্পোর্টি ভাব দিয়েছে। সেই সাথে রাইডার সিটটি রেসিং বাইকের সাথে অভিন্ন রেখেই তৈরী, তবে আরাম এবং ভারসাম্যের কথা মাথায় রেখে পিলিয়ন সিটটি আরও বড় এবং মোটা করা হয়েছে।
Aprilia GPR 150 বাইকে ব্যাবহার করেছে ৪-স্ট্রোক, লিকুইড-কুল্ড, ডিওএইচসি, সিঙ্গেল সিলিন্ডার ১৪৯ সিসি ইঞ্জিন, যা ১৮ বিএইচপি ম্যাক্স পাওয়ার @ ৯৭৫৫ আরপিএম এ এবং ১৪ এনএম সর্বোচ্চ টর্ক @ ৭৫০০ আরপিএম এ। Aprilia GPR 150 এর জন্য এপ্রিলিয়া ইঞ্জিনে ফুয়েল ইঞ্জেকশন সিস্টেম ব্যবহার করেছে।
Aprilia GPR 150 বাইকের দাম ৩,৯০,০০০টাকা।
Aprilia GPR 150 সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুনKawasaki Ninja 125
আমরা জানি যে কাওাসাকি অনেক জনপ্রিয় একটি ব্র্যান্ড। তাদের নিনজা সিরিজে ১২৫ সিসির একটি বাইকযুক্ত করেছে যা শুধুমাত্র বাংলাদেশের সিসি লিমিটের জন্য। কাওাসাকি অন্যান্য দেশে তাদের হাই সিসি বাইকের জন্য অনেক বিখ্যাত কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সিসি লিমিট থাকার কারণে হাই সিসি বাইকের ফিল দিতে তারা নিয়ে এসেছে
Kawasaki Ninja 125। নিনজা সিরিজ আমাদের অনেকেও পছন্দ এবং নিনজা সিরিজের আদলেই এই বাইকটি ডিজাইন করা।
প্রথম দর্শনে মনে হবে যে এটা হাই সিসির কোন একটি বাইক কিন্তু এটা ১২৫ সিসি একটি বাইক যার মধ্যে হাই সিসির অনুভূতি আছে। কাওাসাকি চেষ্টা করেছে যে তাদের এই বাইকটি বাংলাদেশের গ্রাহকদের হাতে খুব সহজভাবে তুলে ধরার এবং পাশাপাশি বাইকের গুনগত মান বজায় রেখে অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশের বাজারেও খুব ভালো একটি মার্কেট স্থাপন করার।
এই বাইকটির ডিজাইন লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে অনেকটা Ninja 250SL বাইকের মত এবং বাইকের চেসিস, হুইল, ব্রেক Ninja 250SL বাইকের মত। এক কথায় বলা যেতে পারে যে Kawasaki Ninja 125 হচ্ছে Ninja 250SL এর ছোট ভাই।
ইঞ্জিনে রয়েছে ১২৪ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার , ৪ স্ট্রোক, লিকুইড কুল্ড, এফআই ইঞ্জিন যা ম্যাক্স পাওয়ার ১৫ বিএইচপি @১০০০০ আরপিএম এবং ম্যাক্স টর্ক ১১.৭ @ ৭৭০০ আরপিএম উৎপন্ন করতে সক্ষম। ১২৫ সিসি হলেও ইঞ্জিনের দিক থেকে অন্যান্য ১৫০ সিসির স্পোর্টস বাইকের থেকে কোন অংশেই কম না।
ব্রেকিং এর দিকে রয়েছে ডুয়াল চ্যনেল এবিএস এবং অন্যান্য সব আধুনিক ফিচারসতো রয়েছেই।
Kawasaki Ninja 125 বাইকের দাম ৪, ১৯,০০০টাকা।
Kawasaki Ninja সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
GPX Demon GR165R
প্রায় এক দশক আগে থাইল্যান্ডের বাজারে জিপিএক্স ব্র্যান্ড তাদের যাত্রা শুরু করেছিলো। সময়ের সাথে সাথে এবং ভালো মানের প্রডাক্ট হওয়ার কারণে গ্রাহকদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়ে এখন জিপিএক্স জনপ্রিয় একটি ব্র্যান্ড। সম্প্রতি সময়ে জিপিএক্স বাংলাদেশের বাজারে তাদের সুন্দর একটি বাইক নিয়ে আসে যার নাম
GPX Demon GR165R।বাইকের ডিজাইনের দিকে সামনে থেকে শুরু করলে লক্ষ্য করা যায় যে, এর ডুয়াল স্প্লিট হেডল্যাম্প এবং লম্বাকার উইন্ডশীল্ডটি এই বাইকটিকে সম্পূর্ন স্পোর্টস বাইক লুক দেয়। মাঝের অংশের দিকে তাকালে এই বাইকের বিশালাকার ফুয়েল ট্যাঙ্কার যা স্টাইলিশ কীট দ্বারা আবদ্ধ, সেই সাথে স্পোর্টি স্প্লীট সীট এই বাইকটিকে আকর্ষনীয় করে তোলে। সম্পূর্ণ ফেয়ারিং এই বাইকের কালো শেডের সাথে মিলিত ডুয়াল টোন কালার শেডগুলি এই বাইককে প্রিমিয়াম লুক দিয়েছে। প্রশস্ত ডিস্ক, স্পোর্টি এক্সহস্ট, প্রশস্ত র্যা ডিয়াল টায়ার, নম্বর প্লেট হোল্ডারের চিকন ধাচ বাইকের রেয়ার ডিজাইনকে সবকিছু মিলিয়ে চোখ ধাধানো করে তুলেছে।
ইঞ্জিনে ব্যবহার করা হয়েছে ১৬৪.৪ সিসি ৪-স্ট্রোক, ১ সিলিন্ডার, ২ ভালভ, এসওএইচসি ইঞ্জিন সেই সাথে লিকুইড কুলিং সিস্টেম এবং উন্নত EFi টেকনোলোজি। এই ইঞ্জিনটি ১৭.৮ Bhp @ ৯০০০ rpm সর্বোচ্চ শক্তি এবং ১৬.০ Nm @ ৬৫০০ rpm সর্বাধিক টর্ক উৎপাদন করতে পারে। এই পাওয়ারের সাথে বাইকটি ৪ সেকেন্ডে ০-৬০ গতিতে উঠতে সক্ষম। পাশাপাশি, ৬ স্পীড গিয়ার বক্স ট্রান্সমিশন কোম্পানী দাবি করে যে এই বাইকটি ১৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা স্পীড তুলতে সক্ষম ।
এছাড়াও এই বাইকের সাথে রয়েছে সম্পূর্ণ এলইডি সেটআপ।ব্রেকিং সিস্টেমে রয়েছে ডাবল ডিস্ক ব্রেক।
GPX Demon GR165R বাইকের দাম৩,২৪,৯০০টাকা।
GPX Demon GR165R সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
Lifan KPR 165R Carburetor
বাংলাদেশের সর্বাধিক সাশ্রয়ী মূল্যের এবং নজরকাড়া স্পোর্টস বাইকগুলির মধ্যে একটি হল
Lifan KPR 165R। বাইকের স্পোর্টি আউটলুক, গতি এবং ইঞ্জিনের দুর্দান্ত পারফরমেন্স (ব্যবহারকারীদের মতে) খুব অল্প সময়ে বাইকটিকে করে তুলেছে আলচোনার বিষয়বস্তু।Lifan KPR 165R এর আপগ্রেড গ্রাফিকস সহ, ফুল ফেয়ারিং লুক এবং মাস্কুলার বডির গঠন বাইকটিকে দিয়েছে নতুন একটি রুপ যা ক্রেতাদের কাছে ভাল লাগবে বলে আসা করা যায়। বাইকটির বডি কিটের কারণে এটি অন্যতম মাস্কুলার একটি মোটরসাইকেল। সামনের অংশে একটি সুন্দর প্রজেকশন হেডলাইট, পেছনের দিকে আনকমন একটি এলইডি রেয়ার লাইট স্থাপন করা হয়েছে ।
Lifan KPR 165R এ ব্যবহার করা হয়েছে ১৬৫ সিসি লিকুইড-কুল্ড ৪ স্ট্রোক, সিঙ্গেল সিলিন্ডার, কার্বুরেটর টাইপ ইঞ্জিন। এই বাইকের EFi (ইলেক্ট্রিক ফুয়েল ইঞ্জেকশন) সংস্করণও রয়েছে। বর্তমান ইঞ্জিনটি তার আগের মডেলটির থেকে আরও বেশি স্মুথ পারফরমেন্স দিবে কারণ এখন এটিতে এনবিএফ ২ ইঞ্জিন টেকনলোজি রয়েছে। এটি নিউ ব্যালেন্সড-শ্যাফট ফাংশনাল ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিনটি সর্বাধিক 17Bhp @ 8000rpm শক্তি উৎপাদন করতে পারবে এবং সর্বাধিক টর্ক হচ্ছেন 17Nm @ 6500 RPM আরপিএম হতে পারে। এই বাইক ইঞ্জিন সম্পর্কে একটি আকর্ষণীয় বিষয় ৬ স্পিড গিয়ার ট্রান্সমিশন সিস্টেম। এই ইঞ্জিনগুলির কম্প্রেশন রেশিও 11.1, এবং ইঞ্জিনটি স্টার্ট দেবার জন্য রয়েছে ইলেক্ট্রিক স্ট্রার্ট অপশন।
Lifan KPR 165R Carburetor বাইকের দাম ১, ৯৯,০০০টাকা।
Lifan KPR 165R Carburetor বাইক সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন।
আমরা টিম মোটরসাইকেল ভ্যালী আজ আপনাদের সাথে আলোচনা করলাম বাংলাদেশের সেরা স্পোর্টস বাইকগুলো নিয়ে । উল্লেখ্য যে আমরা ফুল ফেয়ারিং বাইকগুলো আজ আপনাদের সাথে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি কারণ নেকেড স্পোর্টস ও ফুল ফেয়ারিং স্পোর্টস বাইকের মধ্যে সামান্য কিছু পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। আমরা আশাবাদী যে খুব শীঘ্রই আপনাদের সামনে বাংলাদেশের সেরা নেকেড স্পোর্টস বাইকগুলো নিয়ে হাজির হবো। সবাইকে ধন্যবাদ টিম মোটরসাইকেল ভ্যালীর পক্ষ থেকে।