দেশের সেরা ব্রান্ডের কথা আলোচনায় আসলেই সবার আগে আমাদের মাথায় আসে হেভিলুকের স্পোর্টস বাইক ব্রান্ডের নামগুলা কিন্তু আমরা যদি বিস্তারিত বলি যে সেরা বাইক বা সেরা ব্রান্ড বলতে প্রকৃতপক্ষে কোন দিকগুলাকে আমরা আলোচনাই রাখি তবে দেখা যাবে যে আমাদের ধারনা থেকে অনেক ব্রান্ডের অস্তিত্বই থাকবে না।
এ ব্যাপারে সবার আগে একটি ব্রান্ডের গ্রহনযোগ্যতার বিষয়টা সবার ওপরে রেখে আমাদের বিবেচনা করতে হবে,
এরপরে আসবে একটি ব্রান্ডের মডেলগুলার সবার সাথে মানান অর্থাৎ ডিজাইনগত বৈচিত্রের বিষয়টা কারন স্পোর্টস বা হেভিলুকের বাইকগুলা সাধারনত এমন লুক সাথে দাম সমন্বয় দিয়ে তৈরি করা যা সবার সাথে মানায় না যার জন্যে সবাই ইচ্ছা থাকলেও সে বাইকগুলা নিতে পারে না,
তৃতীয় যে বিষয়টা সেরা ব্রান্ডের ক্ষেত্রে আলোচ্য তা হলো বাইক বা মডেলগুলার দাম কারন কোন একটি মডেল যদি অন্যান্য মডেলের তুলনায় দাম অনেক বেশি হয় যা অনেকটাই বেমানান মনে হয় সেক্ষেত্রে দামের ভারসাম্য বজায় থাকে না।
সর্বোপরি যে সাধারন বিষয়গুলা অবশ্যই যুক্তিতর্কে এবং আলোচনায় রাখতে হবে তা হলোঃ বাইক ক্রেতাদের চাহিদা, পছন্দ, বাজেটের সাথে সামঞ্জস্য করে দাম নির্ধারন একইসাথে বিক্রয় পরবর্তী প্রয়োজনীয় এবং সন্তোষজনক সেবা।
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছি যারা এই টপিকে কথা বলতে গিয়ে সরাসরি বিক্রয়ের পরিমান দিয়ে সেরা ব্রান্ড নির্ধারন করে দেন কিন্তু এইক্ষেত্রে যদি বিক্রয় পরবর্তী সেবা ক্রেতারা ঠিকমত না পান তবে উক্ত ব্রান্ড খুব বেশিদিন নিজের অবস্থান প্রথমসারীতে রাখতে পারে না যা আমরা ৮০ বা ৯০ এর দশকে দেখে এসেছি।
মোটরসাইকেলভ্যালীর সার্চ, কাস্টমার ফিডব্যাক, আমাদের কল সেন্টার সহ আমাদের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য এবং উপাত্ত থেকে আমরা যা পেয়েছি এবং ওপরের শর্তসাপেক্ষে যে সকল ব্রান্ডকে আমরা শীর্ষ ১০ এর মধ্যে উল্লেখ করতে পারি তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
এছাড়াও সেরা ব্রান্ড নির্ধারনে একটি ব্রান্ডের বাজারে টিকে থাকার সময়কালটাও অনেক গুরুত্বপুর্ন।
বাংলাদেশের সেরা ১০টি বাইক ব্রান্ডঃ
-Bajaj
-Honda
-TVS
-Hero
-Yamaha
-Suzuki
-Runner
-Keeway
-Lifan
-H Power
এবার আসি এই ব্রান্ডগুলার ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনায় যেখানে আপনি ওপর থেকে নিচে বা প্রথম ১০ মধ্যে কিছু কিছু ব্রান্ডকে না রাখা বা না রাখার অনেক গুলা কারনই খুজে পাবেনঃ
1.Bajaj
বাংলাদেশের বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত মোটরসাইকেল ব্রান্ড হলো উত্তরা মটরস এর আমদানীকৃত ভারতীয় ব্রান্ড “Bajaj” যা বাংলাদেশে দীর্ঘসময় ধরে ব্যবসা করে আসছে আর কমিউটার সেগমেন্টের যে কয়েকটা সেরা মডেল বাংলাদেশে আছে তার বেশির ভাগই হলো বাজাজের। সময়ের সাথে সাথে বাজাজের বাইকের গুনগত মান, ইঞ্জিন পারফমেন্সের সাথে অসাধারনভাবে সমন্বয় করা মাইলেজ, যুক্তিযুক্ত দাম, সবার সাথে মানানসই ডিজাইন, বাইকের দীর্ঘস্থায়ীত্ব ইত্যাদি বিষয়গুলা বাজাজকে অন্যান্য ব্রান্ডের থেকে অনন্য একও উচ্চতায় নিয়ে গেছে। বাংলাদেশের বিখ্যাত ব্রান্ড বাজাজের বর্তমানে বাইকের মডেল সংখ্যা ১২টি।
2.Honda
হোন্ডা এমন একটি ব্রান্ড যেটাকে বাংলাদেশের মানুষের কাছে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মত কিছুই নেই। যদিও সময়ের ব্যবধানে বেশ কয়েক বছর বাংলাদেশে ব্যবসা একরকম গুটিয়ে রেখেছিল কিন্তু বর্তমানে সবচেয়ে ভালমানের স্পোর্টস ক্যাটেগরির বাইক থেকে শুরু করে উচ্চমানের নাম করা কমিউটার বাইক দিয়ে Honda তাদের পন্য তালিকা সাজিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের কাছে হোন্ডা সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত দুইটা কারনে, একটা হলো এর দীর্ঘস্থায়ীত্ব আর আরেকটি হলো জাপানী ব্রান্ড। বর্তমানের হোন্ডার যে সকল মডেল বাজারে আছে এগুলা সবই উক্ত গুন সম্পন্ন আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো হোন্ডা তাদের কাস্টমার সাপোর্ট এবং বিক্রয় পরবর্তী সার্ভিসের ব্যাপারে অন্যান্য যেকোন ব্রান্ডের থেকে অনেক আন্তরিক যা একজন বাইক ব্যবহারকারীর জন্যে সবচেয়ে ভাললাগার বিষয় আর এই সকল বিষয় মিলিয়ে মোটরসাইকেলভ্যালীর ডাটাবেইজে হোন্ডাকে আমরা ২য় অবস্থানে দেখতে পায় আর হোন্ডা বর্তমানে প্রায় ২০টি মডেল বাজারজাত করছে।
3.TVS
কমিউটার সেগমেন্টের অসাধারন এবং অনেকগুলা বাইকের সমন্বয় ঘঠিয়ে বাংলাদেশে মোটরসাইকেলের বাজারে নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে আরেকটি ভারতীয় ব্রান্ড TVS. শুধুমাত্র কমিউটার সেগমেন্টের বাইকের কথা উল্লেখ করলে এই ব্রান্ডের প্রতি একরকম অন্যায় করা হয়ে যাবে কারন সাম্প্রতিক সময়ে অত্যাধুনিক সব ফিচারের সমন্বয়ে যে সকল ১৬০সিসির সেমিস্পোর্টস বাইকগুলা বাজারে নিয়ে আসছে তার প্রায় প্রতিটাই ইউনিক ডিজাইন নিয়ে যা একদেখাতেই অধিকাংশ বাইকপ্রেমীদের পছন্দ হয়ে যাবে আর সেল ভলিউমেও টিভিএস অনেক এগিয়েছে যার কারনে সেরা ব্রান্ডের তালিকায় আমরা টিভিএস কে ৩য় অবস্থানে রাখছি। বিখ্যাত ভারতীয় ব্রান্ড TVS বর্তমানে ২৩টি মডেল বাজারজাত করছে।
4.Hero
ভারতীয় ব্রান্ডগুলার মধ্যে হিরো বাংলাদেশের অন্যতম একটি সেরা ব্রান্ড আর এই ব্রান্ড হলো কমদামে সবচেয়ে ভালমানের বাইক ক্রেতাদের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্যে বিখ্যাত। পুর্বে সার্ভিসজনিত কিছু সমস্যা থেকে থাকলেও বর্তমান সার্ভিস এবং কমিউটার থেকে স্পোর্টস ক্যাটেগরির পন্য সম্ভার হিরো ব্রান্ডকে নিয়ে এসেছে বাংলাদেশের সেরা মোটরসাইকেল ব্রান্ডের কাতারে। পরিষ্কার করে বলতে গেলে বাংলাদেশের কিছু মানুষের মানিসকতা এমন যেন কমদামে কখনই ভাল পন্য দেওয়া সম্ভব না কিন্তু Hero এই ব্যাপারটায় বেশ ভালভাবেই হস্তক্ষেপ করেছে এবং এই ধরনের ধারনাকে ভুল প্রমান করেছে অনেকগুলা নামকরা অসাধারন পারফরমেন্সের মডেল খুব দামের মধ্যে ক্রেতাদের হাতে তুলে দিয়ে। বাংলাদেশের বাজারে Hero ২৪টি মডেল নিয়ে ব্যবসা করছে।
5.Yamaha
সময়ের অন্যতম ক্রেজ এবং তরুন বাইকারদের যাবতীয় পাগলামী বলা চলে এই একটি মাত্র ব্রান্ডকে ঘিরে আবার অনেকে বলতে পারে যে সেরা বাইক ব্রান্ডের তালিকা করলে অবশ্যই Yamaha কে সবার ওপরে স্থান দেওয়া উচিত। এখানে বলে রাখা ভাল যে যদি সবচেয়ে পপুলার বাইক ব্রান্ডের তালিকা করা হয় তবে হয়তো ইয়ামাহার নাম সবার ওপরে আসতে পারে কারন সেরা ব্রান্ডের তালিকার অন্যতম একটি টপিক হলো সবার জন্যে সহজলভ্য মোটরসাইকেল আর এই দিক দিয়ে কমিউটার সেগমেন্ট অর্থাৎ ১০০সিসি থেকে ১২৫সিসি সেগমেন্টে ইয়ামাহার বাইক আছে মাত্র একটি তাও আবার ১২৫সিসি সেগমেন্টে। এরপরেও উচ্চ সিসিতে পন্যসম্ভার সাজিয়েও ইয়ামাহা অসাধারন গ্রাহক আস্থা এবং নিজেদের প্রিমিয়াম ব্রান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে এবং বাংলাদেশে তাদের দীর্ঘ পথচলার মধ্যে খুব সামান্যই মডেল আছে যেগুলা সকলের কাছে গ্রহনযোগ্যতা পায় নি। প্রথমত জাপানী ব্রান্ড দ্বিতীয়ত দেশের সেরা স্পোর্টস বাইক প্রস্তুতকারক বাইক ব্রান্ড হিসেবে ইয়ামাহা সেরাদের মধ্যে থাকার আবশ্যকতা অবশ্যই আছে। জনপ্রিয় জাপানী ব্রান্ড Yamaha সবমিলিয়ে ১৪টি মডেল বাজারজাত করছে।
6.Suzuki
বাংলাদেশ স্বাধীন হউয়ার পর থেকে যে কয়েকটি জাপানী ব্রান্ড ব্যবসা শুরু করেছিল এবং সুনামের সাথে ব্যবসা করেছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলো Suzuki. ৯০ এর দশকে টু স্ট্রোক সকল বাইক নিষিদ্ধ হউয়ার পরে অন্যান্য বাইক ব্রান্ড যখন ভারতীয় ব্রান্ডের সাথে ব্যবসা শুরু করলো, সুজুকি তখন বাংলাদেশ থেকে একরকম ব্যবসা গুঠিয়ে নিয়েছিল। প্রায় ১০ – ১৫ বছর পরে আবার যখন সুজুকি বাংলাদেশে আসলো ঠিক যেন পুর্বের মত বা তার থেকেও আরও ভালমানের বাইক এবং বৈচিত্র্যময় মডেল দিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে অন্যান্য যেকোন ব্রান্ডের সাথে প্রতিযোগিতা করার মত সক্ষমতা সুজুকি বেশভালভাবেই নিয়ে এসেছে। তবে একথা বলে রাখা ভাল যে যদি জনপ্রিয় বাইক ব্রান্ডের তালিকা করা হয় তাহলে সুজুকি অনেক ওপরেই থাকবে। সুজুকির বাংলাদেশে বিখ্যাত মডেল Suzuki Gixxer সহ সবমিলিয়ে ২৭টি মডেল নিয়ে বাংলাদেশে ব্যবসা করছে।
7.Runner
শহর থেকে গ্রাম বা ৮০সিসি থেকে ১৬৫সিসি, Runner এর রয়েছে বাংলাদেশের সকল পর্যায় এবং বাইকের মডেলে সকল ক্যাটেগরির যা স্বদেশী ব্রান্ড এবং সহজলভ্য দাম সাথে সময়ের পরিক্রমায় ব্যাপক পরিমানে অফারের সন্নিবেশ যা দিয়ে রানার নিজেদের সকল পর্যায়ের ক্রেতাদের কাছে একটি নির্ভরযোগ্য বাইক ব্রান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করিয়েছে। রানার দীর্ঘ সময়ের পরিক্রমায় তাদের পন্যের দীর্ঘস্থায়ীত্ব নিয়ে বাইকারদের মধ্যে দেশি ব্রান্ড নিয়ে থাকা সংশয় পুরোপুরি দূর করে ফেলেছে বলা যায়। বর্তমানে রানার ব্যবসা করছে ১৭টি মডেল নিয়ে।
8.Keeway
খুব অল্পসময়ের মধ্যে Keeway ব্রান্ডটি বাংলাদেশের কমিউটার বাইক প্রেমীদের মনে বেশ শক্ত একটি অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। যদিও সময়ের পরিক্রমায় ব্রান্ডটির উত্থান পতন এবং হস্তান্তর চলমান তারপরেও এর অসাধারন বিল্ডকোয়ালিটি, সহজলভ্য দাম, ইঞ্জিনের পারফরমেন্স এবং মাইলেজ সাথে ব্যতিক্রমী ডিজাইন বাংলাদেশে অন্য যেকোন মডেল বা ব্রান্ড থেকে Keeway কে আলাদা করে ফেলেছে। বলা বাহুল্য যে Keeway বাংলাদেশে আসার পর তাদের পন্য সম্ভারে কমিউটার থেকে শুরু করে স্পোর্টস এমনকি অসাধারন লুকের ক্রুজার বাইকও নিয়ে এসেছে যা বাংলাদেশের মোটরসাইকেল বাজারে ক্রুজার মোটরসাইকেলের সম্পুর্ন নতুন একটি মাত্রা যোগ করে। বর্তমানে Keeway বাংলাদেশে ব্যবসা করছে ৭টি মডেল নিয়ে।
9.Lifan
চাইনিজ ব্রান্ডের মধ্যে সেরাদের কাতারে সবার ওপরে অবস্থান থাকবে Lifan এর। বাংলাদেশের বাইক ব্যবহারকারীদের কথা ভেবে লিফান তাদের পন্য সম্ভার এমনভাবে সাজিয়েছে যেখানে একজন ক্রেতা লিফানের শোরুমে বাইক কেনার উদ্দেশ্যে গেলে অবশ্যই কোন না কোন মডেল পছন্দ হবে। একইসাথে বলে রাখা ভাল যে লিফানের বেশিরভাগ বাইকই হলো স্পোর্টস ক্যাটেগরির যেখানে প্রতিটা বাইক শুরুই হয়েছে ১৫০সিসি থেকে আর এর মধ্যে রয়েছে অন রোড – অফ রোড, স্পোর্টস, ক্রুজার, স্কুটার মোট কথায় সবই। বর্তমানে বাজারে লিফানের রয়েছে ১২টি বাইক।
10.H Power
বাংলাদেশের মোটরসাইকেলের বাজারে খুব নীরবে নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছে তৃনমুল পর্যায়ে বেশ জনপ্রিয় একটি মোটরসাইকেল ব্রান্ড H Power. বলে রাখা ভাল যে শহরের মানুষের কাছে H Power ব্রান্ডের প্রতিটা বাইক খুব বেশি পরিচিত না হলেও Loncin GP 150 বাইকটা বেশ ভালই পরিচিত ছিল যা বর্তমানে বাজারে নেই। বলা চলে সাধারন ব্যবহারের উদ্দেশ্যে খুব কম দামের মধ্যে ভাল মাইলেজ সমৃদ্ধ কোন বাইক যদি কেউ খুজে থাকেন তাহলে H Power এর কমিউটার সেগমেন্টের বাইকের কথা সবার আগে চিন্তা করে থাকেন। বর্তমানে H Power সবমিলিয়ে ৯টি মডেল নিয়ে ব্যবসা করছে।
ভিন্নমত বা ভিন্ন বক্তব্য অথবা ভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করার প্রবনতা থাকতেই পারে কিন্তু আপনি যা ই বলুন না কেন তা যেন হয় নির্দিষ্ট এবং নির্ভরযোগ্য তথ্যের আলোকে কারন আপনি চাইলেই আপনার পছন্দের ব্রান্ডকে ১ নম্বরে দিতে পারবেন না।
যে সকল বিষয়কে সামনে রেখে আমরা আপনাদের সামনে ওপরের সকল তথ্য তুলে ধরেছি সেগুলা একেবারে ওপরের দিকেই উল্লেখ করে দিয়েছি তাই আশা করি আমাদের এই তথ্যগুলা আপনাদের কাছে যথেস্টই গুরুত্ব বহন করবে।
CFMoto is currently the most exciting motorcycle brand in the sports bike segment in the Bangladeshi motorcycle market, one of...
English BanglaAmong the foreign premium quality brands, one of the best motorcycle brands in Bangladesh is the Thai brand GPX, which is main...
English BanglaA unique arrangement of Yamaha in customer service is Bike Exchange which is only offered by Yamaha throughout the year for Ya...
English BanglaLifan is a very well-known name among bike lovers in Bangladesh and one of the reasons for this recognition is to provide the ...
English BanglaA large portion of those who use bikes for general needs in Bangladesh recommend buying Bajaj bikes in terms of buying advice ...
English Bangla