প্রথমে টাংগাইল শহর থেকে ট্যংকি খালি করে রিজার্ভ শেষ করে পুরো ১ হাজার টাকার তেল নিছি। মিটার খালি জিরো করছি।
যাই হোক বাইক ছিলো ৫ টা, Keeway, CBZ, Walton, Hero Passion, TVS Apache RTR.
রাত ১ টায় রওনা হইছি ময়মনসিংহ পৌছেছি রাত ৩.২০ মিনিট, মুক্তাগাছা থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত ভয়াবহ রাস্তা খারাপ। ২ গিয়ারের ওপর গাড়ি চালানো খুব কষ্টসাধ্য ছিলো। সম্ভুগঞ্জ ব্রীজ পাড় হয়ে নেত্রকোণা শহড়ে আগের রোড জাওরা বাজার দিয়ে বিরিশিরির পথ তখনো ৭০ কিঃমিঃ রাস্তা বাকি, জঘন্য খারাপ রাস্তা বিরিশিরি পর্যন্ত। বিরিশিরি পৌছালাম ভোর ৬ টায়।
তারপর গেলাম মেঘালয় দেখতে, পাহাড়ে উঠলাম। মনটাই ভরে গেলো। ২ ঘন্টা ঘুরাঘুরি করলাম পাহাড়ে, ইন্ডিয়ার কাটাতার দেখা যায়, মেঘে মেঘে খেলা করে। মন ছুয়ে গিয়েছি।
তারপর সোমেশ্বর নদী পার হয়ে একটা গির্জা আছে ঐখানে গেলাম, তারপর বিজয়পুর সীমান্ত।
ব্যক করলাম চিনা পাহাড় নীল নদী দেখার জন্য। দেখলাম মন ভরে গেলো। ঐখানে ঘন্টা দেড়েক সময় পার করলাম। দুপুরে খেলাম। তার আবার ধোবাউরা উপজেলা থেকে আরো ৮০ কিঃমিঃ রাস্তা বাকি ময়মনসিংহ খুব বাজে রাস্তা। ময়মনসিংহ পোছেছি দুপুর ৪ টায়। এসে চা খেলাম তারপর ৪. ২০ মিনিটে মাসকান্দা বাসট্যন্ড দিয়ে ঢাকা ময়মনসিংহ রোডে এলাম, আহ শান্তি। ভালুকা পর্যন্ত ৪০ কিঃমিঃ রাস্তা ২০ মিনিটে এলাম।
এরপর টাংগাইলের রোড আছে বাটাজোড়া দিয়ে সখিপুর দিয়ে এসে টাংগাইল আসলাম রাত ৮.৪৫ মিনিটে।
এবার বলি দিনশেষে ৪০০ কিঃমিঃ রাস্তা ছিলো আমার মিটারে। আর বাকি সবার ছিলো ৩৮৪ কিঃমিঃ। সবার সাথে তালমিলিয়ে চালাইছি, আরো পিকাপ পেতাম যদি মবিল টা চেঞ্জ থাকতো।
টোটাল ১৯ ঘন্টার জার্নি ছিলো।
সবাই মোটামুটি বলছে কোমর ব্যথা করতেছে, কিন্তু আমি বলি নাই। অনেক কমফোর্টে কন্ট্রোল ছিলো আমার কন্ট্রোল ঘোড়া।
৪০০ কিঃমিঃ রাস্তা রাস্তা করার পরও রিজার্ভ দেই নাই, বাকি সবার ১২০০ টাকার তেল লাগছে।
মুল কথায় আসিঃ
আমার খরচ হয়েছিলো ১ হাজার টাকা, কারন আমার পিছনে পার্টনার ছিলো। সবার বাইকেই পার্টনার ছিলো।
টোটাল ৪০০ কিঃমিঃ রাস্তার মধ্যে ২৬০ কিঃমিঃ রাস্তা ছিলো জঘন্য খারাপ।
আমি আমার বাইক নিয়ে সেটিইসফাই, কমফোর্টে, কন্ট্রোল দুইটাই আছে, সাছপেনসন অনেক ভালো।
ভালো থাকবেন, সেফটি ফার্স্ট।
আল আমিন খান প্রিন্স
টাংগাইল