বাংলাদেশে বাইক প্রেমী কয়েক ধরনের আর বাইক প্রেমীদের মধ্যে অন্যতম একটি ক্যাটেগরি হলো যারা নতুন বাইক আসা মাত্র বা আসার খবর পাওয়া মাত্র তা নিয়ে মাতামাতি শুরু করে এবং নিজের ব্যবহার করার জন্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা ক্রয় করেও থাকে। বলা চলে এই ধরনের বাইক প্রেমী বা বাইক ব্যবহারকারীরা মোটরসাইকেলের বাজার নিয়ে বেশ সচেতন তাই কখন কোন বাইক বা বাইকের আপডেট আসছে এটা নিয়ে উনাদের বেশ সক্রিয় দেখা যায়।
যে কোন বছরের শুরুতেই মোটরসাইকেল কোম্পানীগুলো বেশ নড়েচড়ে বসে নতুন উদ্দ্যমে ব্যবসা শুরু করার স্বার্থে আর গ্রাহকদের নতুন কিছু দেওয়ার তাগিদে। ২০২৩ সালেও আমাদের কাছে থাকা তথ্যনুযায়ী প্রায় প্রতিটা মোটরসাইকেল কোম্পানীই তাদের পন্য তালিকায় নতুন কিছু যোগ করতে যাচ্ছে যা নতুন বছরে মোটরসাইকেলের বাজারে বেশ ভাল একটা প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে বলে আশা করা যাচ্ছেঃ
২০২৩ সালে বাংলাদেশে আসন্ন বাইক সমুহ এবং সেগুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরন নিম্নে দেওয়া হলোঃ
•
Bajaj Pulsar P15
বাংলাদেশের সার্বজনীন জনপ্রিয় একটি বাইক মডেল সিরিজ হলো Bajaj Pulsar আর এই জনপ্রিয়তার কারনেই বাজাজ কর্তৃপক্ষ এই মডেলটার কয়েকটি ভার্শন ইতোমধ্যে বাজারে রেখেছেন আর এই ক্ষেত্রে বলে রাখা ভাল যে Bajaj Pulsar এর বেশিরভাগ মডেলই ব্যবহার করা হয় ১৫০সিসির সবচেয়ে জনপ্রিয় কমিউটার বাইক হিসেবে যেখানে Pulsar NS160 বাইকটাতে সামান্য স্পোর্টস বাইকের ছোয়া থাকলেও তা পরিপুর্ন স্পোর্টস বাইক হিসেবে গন্য হয় না। তবে Bajaj Pulsar P15 বাইকটার আউটলুকে যে ডিজাইন দেওয়া হয়েছে তা কোন অংশেই পিউর স্পোর্টস বাইকের থেকে কম না। বলা চলে বাজাজের স্পোর্টস বাইকের যে সীমাবদ্ধতা ছিল তা ২০২৩ সালে Bajaj Pulsar P15 বাইকটা দিয়ে পরিপুর্ন হবে। দামের বিষয়ে উল্লেখ করতে গেলে বলতে হবে যে স্পোর্টস বাইক মানেই প্রিমিয়াম কোয়ালিটি আর অনেক দাম কিন্তু বাজাজের পলিসির বিষয়টা বিবেচনায় রেখে আমরা ধারনা করছি যে Bajaj Pulsar P15 এর দাম ২,৫০,০০০ টাকার বেশি হউয়ার কথা না।
•
Bajaj Platina 110 ABS
বাংলাদেশের কমিউটার বাইকের সেগমেন্টে মাইলেজের সেরা একটি বাইক হলো বাজাজ প্লাটিনা আর এই কারনে বাজাজ কর্তৃপক্ষ এই মডেলের দুইটি মডেল বাজারে তো রেখেছেনই সাথে ২০২৩ সালে আরও একটি মডেল আনতে যাচ্ছে যেটি হলো Bajaj Platina 110 ABS এই নতুন মডেলে ডিস্ক ব্রেকের সাথে থাকছে এবিএস (এন্টিলক ব্রেকিং সিস্টেম) যা চলতি পথে এই বাইকের রাইডারকে আরও নিরাপদে পথ চলার নিশ্চয়তা দিবে। একইসাথে প্লাটিনার নতুন এই মডেলে নতুন গ্রাফিক্যাল আউটলুক থাকছে যা পুর্বের মডেলের থেকে অনেক আকর্ষনীয়।
Bajaj Platina 110 ABS এর দাম নিয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না তবে এবিএস ব্রাকিং টেকনোলজী থাকার কারনে এর দাম ১,৩৫,০০০ বা এর আশপাশেই হবে বলে আসা করা যাচ্ছে।
•
Bajaj CT 125X
বাংলাদেশের আপামর জনসাধারনের কাছে Bajaj CT100 একটি দারুন বাইকের নাম যা সাধারন যোগাযোগের পাশাপাশি ভারী মালপত্র বহনের জন্যেও দারুন প্রশংসিত তবে একই মডেল নিয়ে দীর্ঘদিন বাজারে থাকার কারনে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক গ্রাহক ছাড়া সকল বাইক প্রেমীর কাছে তেমন পরিচিতি পায় নি তাই এবার বাজাজ কর্তৃপক্ষ নিয়ে আসতে যাচ্ছে Bajaj CT 125X যেখানে স্পোর্টস আর কমিউটার বাইকের সংমিশ্রনের পাশাপাশি থাকছে বাজাজের ব্রান্ড ভ্যালুর ভরসা। এখানে উল্লেখ করে রাখা ভাল যে এতদিন বাজাজের ১২৫সিসি সেগমেন্টে শুধুমাত্র ডিস্কভার বাইকটাই ছিল। যদি ২০২৩ সালে Bajaj CT 125X যুক্ত হয় তাহলে বাজাজের পন্য তালিকায় ১২৫সিসি বাইক হবে দুইটা। আর যারা বাজাজের ভরসা সমৃদ্ধ শক্তিশালী বাইক পছন্দ করেন তাদের পছন্দ তালিকায় যুক্ত হবে নতুন আরেকটি বাইক। Bajaj CT 125X এর মুল্য নিয়ে বলতে গেলে শুধুমাত্র ধারনা থেকেই বলতে হবে যে Bajaj CT 125X এর মুল্য ১,৫০,০০০ টাকা বা এর বেশি হউয়ার সুযোগ কম।
•
TVS Apache RTR 165 RP
TVS এর আসন্ন বাইকের তালিকায় সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন একটি বাইক হলো TVS Apache RTR 165 RP আর এই চাহিদার পেছনে অন্যতম একটি কারন হলো এই বাইকের অসাধারন কালার কম্বিনেশন এবং চোখ ধাধানো আউটলুক যা বাংলাদেশের বাজারে থাকা অন্য যেকোন বাইকে খুব কমই চোখে পড়ে। তাছাড়া Apache RTR Series বাংলাদেশে অন্যতম সেরা একটি মোটরসাইকেল মডেল যেখানে 4V মডেলটা এই মডেল সিরিজটাকে দিয়েছে নতুন একটি মাত্রা। বলাই যায় যে বাংলাদেশের স্পোর্টস বাইকের সেগমেন্টে TVS Apache RTR 165 RP বাইকটা দারুন ভুমিকা রাখবে আর স্পোর্টস বাইক প্রেমী বাইকররা নতুন একটি RTR পাবেন ২০২৩ সালের মধ্যেই। উক্ত বাইকটার দাম নিয়ে এখনই কিছু বলা ঠিক না তবে বলা যেতে পারে যে RTR এর সমসাময়িক মডেলগুলির আশপাশেই এই বাইকটার দাম হবে।
•
TVS Ronin
TVS এমন একটি ব্রান্ড যা তাদের পন্য তালকায় সবধরনের বাইক রেখে থাকে যার মধ্যে অন্যতম হলো সাধারন কমিউটার বাইক, স্পোর্টস কমিউটার বাইক, স্কুটার, মোপেড বাইক, সেমি অফ রোড বাইক এবং এই তালিকার বাইরে ছিল ক্ল্যাসি লুক বিশিষ্ট স্ক্র্যাম্বলার মোটরসাইকেল যা ২০২৩ সালে TVS কর্তৃপক্ষ নিয়ে আসার চিন্তা করছে বলে আশা করা যাচ্ছে। TVS Ronin হতে যাচ্ছে TVS ব্রান্ডের একমাত্র স্ক্র্যাম্বলার মোটরসাইকেল আর আশা করা যাচ্ছে একটি TVS বাইক যে সকল কারনে বাংলাদেশের মানুষের কাছে দারুন সমাদৃত তার সবকিছুই এই বাইকটাতে থাকবে তার সাথে এই বাইকটা হবে ভিন্নতা প্রিয় বাইকারদের পছন্দের অন্যতম কারন।
•
TVS Fiero 125
ঠিক যেমনটি আমরা পুর্বের মডেলটির ব্যাপারে বলার সময় বলছিলাম যে TVS কর্তৃপক্ষ তাদের পন্য তালিকায় সব ধরনের বাইক রাখার চেষ্টা করে যেন একজন বাইক প্রেমী বাইক কেনার উদ্দেশ্যে তাদের শোরুমে আসলে খালি খালি ফিরে যেতে না হয় আর এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বর্তমান সময়ের অন্যতম ক্রেজ হলো Café Racer বাইক যা বাংলাদেশের নাম করা কোন বাইক ব্রান্ড আমদানী করে না বললেই চলে, এই দিক দিয়ে TVS তাদের আসন্ন বাইকের তালিকায় রেখে TVS Fiero 125 মডেলটাকে আর আশা করা যাচ্ছে যে যারা একা পথ চলতে ভালবাসে বা এমন বাইক পছন্দ করে যা সবাই ব্যবহার করে না তাদের ২০২৩ সালের অন্যতম একটি সেরা মোটরসাইকেল হতে যাচ্ছে TVS Fiero 125 বাইকটা।
•
Hero Passion Pro BS6
বাংলাদেশে কমিউটার বাইক প্রেমী বাইকারদের কাছে দারুন জনপ্রিয় একটি বাইক হলো Hero Passion Pro বাইকটা আর এই জনপ্রিয়তার কারনেই হিরো কর্তৃপক্ষ উক্ত বাইকের মোট ৩টি মডেল বাংলাদেশের বাজারে চলমান রেখেছে যেগুলা স্ব স্ব বৈশিষ্ঠ্যের কারনে আলাদা আলাদা কাস্টমারের কাছে বেশ জনপ্রিয়। ২০২৩ সালে গ্রাহকদের পছন্দের অপশন বৃদ্ধি করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে Hero Passion Pro BS6 মডেলটা বাজারে আনার পরিকল্পনা রয়েছে হিরো কর্তৃপক্ষের আর এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য এবং এই লুকের ব্যাপারটা বিশ্লেষন করে আমরা বলতে পারি যে, বাংলাদেশের বাজারে হিরোর এই ১১০সিসি বাইকটা দারুন প্রভাব রাখতে যাচ্ছে। Hero Passion Pro BS6 বাইকটা মোট ৬টি কালারে বাংলাদেশের বাজারে আসতে যাচ্ছে যার প্রতিটাই একটার থেকে আরেকটা দারুন দেখতে।
বাজারে না আসা পর্যন্ত এই বাইকের দাম নিয়ে অনুমান নির্ভর কিছু বলা এখনই ঠিক হবে না।
•
Hero Xoom
সাম্প্রতিক সময়ে স্কুটার সেগমেন্টের ব্যাপক জনপ্রিয়তার কথা বিবেচনায় রেখে কয়েকদিন পুর্বে ভারতের বাজারে হিরো তাদের এই ব্রান্ড নিউ স্কুটারের মডেলটি উদ্বোধন ঘোষনা করেছে। এই স্কুটারটি ১১০সিসি সেগমেন্টের হউয়ায় আমরা এই স্কুটারটিকে খুব সম্প্রতি না হলেও ২০২৩ সালে হিরোর বাংলাদেশে আসন্ন বাইকের তালিকায় রাখতেই পারি। Hero Xoom স্কুটারটির লাল আর কালো রঙ এর অসাধারন সংমিশ্রন স্কুটার প্রেমীদের নজড় বেশ ভালভাবেই কাড়বে আর হিরোর সুনামে যোগ করবে একটি নতুন উচ্চতা।
বলে রাখা ভাল যে প্রতিটা বাইক কোম্পানির নতুন প্রোডাক্ট নিয়ে আসার ক্ষেত্রে নিজস্ব কিছু পলিসি এপ্ল্যাই করে যার মধ্যে গোপনীয়তা অন্যতম আর এই বিষয়টি সাধারনত ব্রান্ড নিউ কোন মডেল আনার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে যেখানে আমরা কেউই এই ব্রান্ড নিউ মডেলের ব্যাপারে আগে থেকে কিছুই জানতে পারি না আর এর বিপরীতে কোন মডেলের আপডেট ভার্শন নিয়ে আসলে তা অনেক সময় কর্তৃপক্ষ আগে থেকে কিছুটা ধারনা দিয়ে রাখে।
•
Yamaha FZ 15
বাংলাদেশে Yamaha FZS সিরিজের ব্যাপক সফলতার ধারাবাহিকতায় এই সিরিজের নতুন আরেকটি দারুন বাইক যুক্ত করতে যাচ্ছে ইয়ামাহার বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ। Yamaha FZ 15 নামটা শুনে অনেকেরই মনে হতে পারে যে এই বাইকটা MT 15 এর কাছাকাছি কোন মডেল হয়তো কিন্তু আসলে তা না। Yamaha FZ 15 বাইকটা 149cc ইঞ্জিন দিয়ে তৈরি যা সর্বোচ্চ 13.2PS @ 8000rpm শক্তি উৎপন্ন করে এবং এর সর্বোচ্চ 13.3 Nm @ 6000 rpm টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম। যেহেতু এই বাইকটা বাংলাদেশে এখনও অপেক্ষমান তালিকায় আছে তাই এখনই এর দাম নিয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না তবে আমরা আশা করছি ইয়ামাহার FZS সিরিজের অন্যান্য বাইকের বাইকের প্রাইস রেঞ্জের আশেপাশেই এই বাইকের দাম হবে।
•
Yamaha FZS V3 Deluxe
ঠিক যেমনটি পুর্বের মডেলের ব্যাপারে আমরা উল্লেখ করেছিলাম যে বাংলাদেশে কমিউটার স্পোর্টস বাইকের মার্কেটে Yamaha FZS Series হলো অন্যতম আর বাংলাদেশের ১৫০সিসি সেগমেন্টেও এই বাইকটার দারুন একটা প্রভাব শুরু থেকেই বিস্তার করে আসছে। বলা রাখা ভাল যে সময়ের সাথে সাথে ছেলেবুড়া সবাই এই বাইকটা নিজের ব্যবহারের জন্যে পছন্দ করে আসছে কারন এই বাইকটা এমন ধরনের ডিজাইন দিয়ে তৈরি করা হয়েছে যেখানে এটি রাইডের ক্ষেত্রে বয়সের মানান কোন সমস্যা না। বাংলাদেশে ইয়ামাহা কর্তৃপক্ষ এই বাইকটার নতুন আরেকটি সংস্করন Yamaha FZS V3 Deluxe বাংলাদেশের বাজারে নিয়ে আসতে যেখানে FZS V3 এর আকারগত কোন কোন পরিবর্তন নেই কিন্তু কালার কম্বিনেশন এবং আউটলুকে আছে ক্ল্যাসি লুক যা ভিন্নতা প্রিয় বাইকারদের বেশ ভালভাবেই আকর্ষন করবে বলে আসা করা যাচ্ছে।
•
Yamaha MT 25
প্রিমিয়াম ন্যাকেড স্পোর্টস বাইকের মধ্যে বাংলাদেশের তরুন বাইকারদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে Yamaha MT 15 আর এই বাইকের ব্যাপক চাহিদা এবং সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ইয়ামাহা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ এই বাইকে বৈচিত্র আনতে যাচ্ছে Yamaha MT 25 নাম দিয়ে যেখানে ভিন্নতা হিসেবে থাকবে ১২৫সিসি ইঞ্জিন সকলের নজড়কাড়া ব্যতিক্রমী আকর্ষনীয় লুক। Yamaha MT 25 বাইকের লুকের দিক বড় একটি অংশ স্পোর্টি হউয়ার কারনে সিনিয়র বাইকারদের সাথে মানানের ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম হতে পারে কিন্তু Yamaha MT 25 পছন্দের ক্ষেত্রে বয়স কোন সমস্যাই না কারন এই বাইকের ডিজাইন বাইক প্রেমী যে কাউকে এর সৌন্দর্যের প্রতি আটকে দিবে। দামের বিষয়ে বলতে গেলে প্রিমিয়াম বাইকের তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে তবে পুর্বের মডেল অর্থাৎ Yamaha MT 15 এর কাছাকাছি বা ১২৫সিসি বাইক হিসেবে এর আশপাশেই থাকবে বলে আমরা আশা করছি। প্রকৃত মুল্য জানার জন্যে বাংলাদেশের বাজারে এই বাইকটা উন্মোচন হউয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
•
Yamaha XSR 125
এই মডেলটাও পুর্বের মডেলগুলির মত পন্য তালিকায় বৈচিত্র নিয়ে আসা সাথে ভিন্নতা প্রিয় বাইকারদের পছন্দের তালিকায় নতুন একটি বাইক সংযোজন করার ইয়ামাহার নতুন একটি প্রচেষ্টা। ঠিক যেমনটি আমরা জানি যে Yamaha XSR 155 হলো ইয়ামাহার পন্য তালিকায় প্রায় নতুন একটি পন্য কিন্তু বাংলাদেশে যে গুটিকয়েক Scrambler Motorcycle আছে সেগুলার মধ্যে একটি হউয়ার কারনে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে প্রিমিয়াম বাইক প্রেমীদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে আর এই জনপ্রিয়তাকে সামনে রেখে ইয়ামাহা এই বাইকটাকে ১২৫সিসি সেগমেন্টে ডিজাইন এবং আউটলুক একই রকম রেখে নতুন করে এই বাইকটা বাংলাদেশে নিয়ে আসতে যাচ্ছে যার নাম দেওয়া হয়েছে Yamaha XSR 125 উক্ত মডেলের ১৫৫সিসি বাইকটা সবার সাধ্যের মধ্যে না থাকলেও বাংলাদেশে প্রথম ১২৫সিসি Scrambler Bike হিসেবে এই বাইকটা দারুন জনপ্রিয় হবে এবং দামটাও সকলের সাধ্যের মধ্যেই থাকবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
আমাদের হাতে এই পর্যন্ত আসা তথ্যনুযায়ী ওপরে উল্লেক্ষিত বাইকগুলো ২০২৩ সালে বাংলাদেশের বাজারে আসার সম্ভাবনা আছে। তবে এটাও ঠিক যে প্রত্যেক ব্রান্ডের ব্যবসায়ী নীতিনির্ধারনী মহল কৌশলগত বিভিন্ন কারনে কোন মডেল নিয়ে আসা বা তার ওপর স্থগিতের নীতিমালা প্রয়োগ করতে পারেন। তাই আমরা এই তালিকায় কোন বাইকের নাম উল্লেখ করেছি মানে সেটা আসবেই ব্যাপারটা এমন না আবার এমন ভাবার কারনও নেই যে এই তালিকার বাইরে আর কোন বাইক বা বাইকের মডেল চলতি বছরে আসবে না।