সম্প্রতি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে অনুমোদন পাওয়া Walton এর ই বাইক Takyon সম্পর্কে এমনই মন্তব্য করেন ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী লিয়াকত আলী।
দেখতে অত্যাধুনিক এবং চরম আকর্ষনীয় এই ই বাইকটিতে রয়েছে শক্তিশালী ব্রাশলেস ডিসি মোটর, যার সর্বোচ্চ ক্ষমতা ১.৫ কিলোওয়াট। এতে ব্যবহৃত হয়েছে নতুন প্রযুক্তির গ্রাফিন বেসড ব্যাটারি, যার ধারণক্ষমতা ১.৬ কিলোওয়াট-ঘন্টা। একবার চার্জে বাইকটি ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত পথ পাড়ি দেবে। বাইকটির সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার।
সেইসাথে Takyon 1.00 তে আরও আছে নতুন প্রযুক্তির পরিবেশবান্ধব গ্রাফিন বেসড ব্যাটারিটি ৬০০ - ৮০০ সাইকেল সমৃদ্ধ, যা একজন গ্রাহক নিশ্চিন্তে প্রায় ৩ বছর ব্যবহার করতে পারবেন। বাইকটিতে রয়েছে পোর্টেবল চার্জার। বাসা-বাড়িতে ব্যবহৃত ২২০ ভোল্টের বৈদ্যুতিক লাইন থেকেই ওয়ালটনের ই-বাইকে চার্জ দেয়া যাবে। বাইকটির উভয় চাকায় ব্যবহৃত হয়েছে হাইড্রোলিক ডিস্ক ব্রেক ও টিউবলেস টায়ার। রয়েছে এলসিডি স্পিডোমিটার ও দৃষ্টিনন্দন এলইডি লাইটিং।
এখানে একটা বিষয় বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, ১০০ সিসির জ্বালানিচালিত বাইক যেখানে ১ লিটার তেলে সর্বোচ্চ ৫০-৬০ কিলোমিটার চলে সেখানে Walton এর Takyon 1.00 ইলেকট্রিক বাইক ১ বার চার্জে চলে ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত। ওয়ালটন শোরুমের পাশাপাশি অনলাইনের ওয়ালটন ডিজিটেক ওয়েবসাইট থেকে তাকিওন ই-বাইক কেনার সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন।
মজার ব্যাপার হলো জ্বালানিচালিত বাইকে প্রতি কিলোমিটারে খরচ ২ টাকা বা এর থেকেও বেশি। অন্যদিকে ইলেকট্রিক বাইকে প্রতি কিলোমিটারে খরচ মাত্র ১০-১৫ পয়সা। বলাবাহুল্য যে, পেট্রোল-অকটেনচালিত বাইকে শব্দ ও পরিবেশ দূষণ হয় যেখানে ইলেকট্রিক বাইক পুরোপুরি এইসব দূষণমুক্ত। একইসাথে গ্রাফিন বেজড ব্যাটারি ব্যবহার করায় এটি যথেষ্ঠই পরিবেশবান্ধব।
জ্বালানীচালিত বাইকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রক্ষণাবেক্ষণ এবং এর জন্যে আলাদা খরচ প্রয়োজন হয়। অন্যদিকে ই-বাইকে জ্বালানীচালিত বাইকের তুলনায় রক্ষণাবেক্ষণ খরচ অনেকটাই কম। সাধারণ মোটরসাইকেলে ম্যানুয়াল ক্লাচ গিয়ার থাকায় এটি চালানো কষ্টসাধ্য। কিন্তু ই-বাইক সম্পূর্ণই অটো গিয়ারের হউয়ায় এটি চালানো সহজ ও আনন্দদায়ক।
ওয়ালটনের নির্ধারিত সার্ভিস পয়েন্ট থেকে তাকিওন ইলেকট্রিক বাইকে ২ বছর সম্পুর্ন ফ্রি আফটার সেলস সার্ভিস পাওয়া যাবে।
বিআরটিএ এর অনুমোদন পাওয়ায় এখন এই ই বাইক যে কেউ চাইলেই বৈধ কাগজপত্রসহ মহাসড়কে চলতে পারবেন। ই বাইক ধীরেসুস্থে চলাচলকারী মানুষের অন্যতম সেরা একটি পছন্দ এবং আশা করা যাচ্ছে সামনে দিনে বাংলাদেশে ই বাইক নিজস্ব সুযোগসুবিধা সহকয়ারে ব্যাপক বিস্তার লাভ করবে যা সাধারনত জ্বালানীচালিত বাইকে পাওয়া যায় না।