বাংলাদেশ একটি গরম প্রধান দেশ, এই দেশে অধিক সময় গরম আবহাওয়ার থাকে, এবং যেহেতু আমাদের দেশের বেশির ভাগ বাইক ১২৫ সিসি বা তার চেয়েও কম, তাই আমাদের দীর্ঘ সময় বাইক রাইড করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়, কারন তাপমাত্রার সাথে ইঞ্জিন অয়েলের বেশ কিছু সম্পর্ক রয়েছে, আজকে আমরা আলোচনা করবো গরমের সময় একটানা বাইক রাইড করলে কি কি সমস্যা হতে পারে।
প্রথমত প্রতিটি ইঞ্জিন অয়েলের একটি সহনশীল তাপমাত্রার রয়েছে, সর্বনিম্ন নির্দিষ্ট একটি তাপমাত্রায় ইঞ্জিন অয়েলের ঘনত্ব ঠিক থাকে এবং ইঞ্জিন অয়েল জমে যায় না, এবং সবচেয়ে বেশি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা পর্যন্ত ইঞ্জিন অয়েল এর ঘনত্ব ধরে রাখতে পারে, এর অধিক তাপমাত্রা হলে ইঞ্জিন অয়েল এর ঘনত্ব কমে যায়, এই অবস্থায় একটানা দীর্ঘ সময় বাইক রাইড করলে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
*ইঞ্জিন অভারহিট হয়ে এর সাউন্ড পরিবর্তন
*অতিরিক্ত গরমের কারনে ইঞ্জিন পাওয়ার লস (power loss) করতে পারে, এই সময় ইঞ্জিন থেকে আশানুরুপ পারফর্মেন্স পাওয়া যায় না।
ইঞ্জিন অয়েলের ঘনত্ব কমে যাওয়ার কারনে ইঞ্জিনে প্রয়োজনীয় লুব্রিকেশন দিতে পারে না, ইঞ্জিনের ভিতরে ঘর্ষণ এর মাত্রা বেড়ে যায়, প্রতিনিয়ত এই অবস্থায় রাইড করলে ইঞ্জিনে স্থায়িত্ব কমে যেতে পারে।
*ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে অনেক সময় ইঞ্জিন স্টার্ট না নিতে পারে।
উল্লেখিত এসকল সমস্যা বেশির ভাগ সময় এয়ার কুল (Air cool) বাইকের ক্ষেত্রে বেশি হয়ে থাকে, তবে অধিক সময় একটানা রাইড করলে অয়েল কুল (oil cool) ও লিকুইড কুল (Liquid Cool) বাইকেও হতে পারে.
*এসকল সমস্যা থেকে পরিত্রান পেতে একটানা বাইক রাইডের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর কিছু সময়ের জন্য বিশ্রাম নিতে হবে, যেমনঃ এয়ার কুল (Air cool) বাইকের ক্ষেত্রে ৪০-৫০ কিলোমিটার পরপর ১০-১৫ মিনিটের জন্য এবং লিকুইড কুল (Liquid Cool) বাইকের ক্ষেত্রে ৭০-১০০ কিলোমিটার পরপর কিছু সময়ের জন্য বিরতি দেয়ার পরামর্শে থাকলো।