শাহ মখদুম রূপোশ বাংলার প্রথিতযশা সুফী সাধক এবং ধর্ম-প্রচারকদের মধ্যে অন্যতম। তার মাধ্যমেই বরেন্দ্র এবং গৌড় অঞ্চলে ইসলাম ধর্ম বিস্তার লাভ করে। তিনি ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষার্ধে এবং চতুর্দশ শতাব্দীর শুরুতে বাংলাদেশ তথা রাজশাহী অঞ্চলে ইসলামের সুমহান বানী প্রচার করেছিলেন। তার অনুপম ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ হয়ে শত শত মানুষ ইসলাম ধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করেন।বর্তমানে এসব অঞ্চল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল। শাহ মখদুমের প্রকৃত নাম আব্দুল কুদ্দুস। ধর্ম এবং জ্ঞান সাধনায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করার জন্য বিভিন্ন সময়ে তার নামের সাথে “শাহ”, “মখদুম”, “রূপোশ” ইত্যাদি উপাধি যুক্ত হয়। তিনি শাহ মখদুম রূপোশ নামেই সারা পৃথিবীতে বিখ্যাত। মৃত্যুর পড়ে তাকে তার বলে যাওয়া নির্ধারিত স্থানে দাফন করা হয় যেটা বর্তমানে রাজশাহী শহরের দরগাপাড়ায় অবস্থিত, যার দক্ষিণে প্রমত্তা পদ্মা নদী এবং পূর্বে রাজশাহী কলেজ অবস্থিত। প্রতি বছর হিজরী সনের রজব মাসের ২৭ তারিখ এখানে ওরস পালন করা হয়।কথিত আছে, শাহ মখদুম কুমিরের পিঠে চড়ে নদী পার হতেন।
বর্তমানে শাহ মখদুমের কবরের পাশে সেই কুমিরকে সমাহিত করা হয়। কুমিরটির কবর এখনো আছে।
এই মাজারে যেতে হলে আপনাকে অবলম্বন করতে হবে রাজশাহীর সাহেব বাজার থেকে মাস্টার পাড়া হয়ে নদীর ধার যাবার পথ। অন্যদিকে রাজশাহী কলেজের দক্ষিন দিকের শেষ প্রান্তে এসে কলেজ গেইট থেকে বের হয়ে হাতের ডান দিকে বা পশ্চিমে যাওয়ার পথ। আরেকভাবে যাওয়া যায় সেটা হল বরেন্দ্র জাদুঘরের মোড় থেকে দক্ষিন দিকে নদীর ধারে যাবার রাস্তা দিয়ে এসে একটা মোড় দেখতে পাবেন সেই মোড় থেকে পূর্ব দিকে বা হাতের বাম দিকে একটু সামনে গেলেই শাহ মখদুম রূপোশ এর মাজার শরীফ । প্রায় অনেক রাস্তা দিয়েই এই মাজার শরীফে আসা যায় বাইক নিয়ে পথ ভুল করলেও কোন সমস্যা নাই যে কাউকে জিজ্ঞেস করলে আপনাকে সেই মাজার যাবার পথ দেখিয়ে দিবে।