Yamaha Banner
Search

পুঠিয়া শিব মন্দির, হাওয়াখানা ও পুঠিয়া রাজবাড়ী

2022-03-31
Views: 392

পুঠিয়া শিব মন্দির, হাওয়াখানা ও পুঠিয়া রাজবাড়ী


রাজশাহী শহর থেকে ৩০ কিমি দূরে অবস্থিত পুঠিয়া রাজবাড়ী , পুঠিয়া শিব মন্দির ও হাওয়াখানা একটি দর্শনীয় ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে পরিচিত। ১৮৯৫ সালে মহারানী হেমন্তকুমারী দেবী আকর্ষনীয় ইন্দো ইউরোপীয় স্থাপত্যরীতিতে আয়তাকার দ্বিতল বর্তমান রাজবাড়ীটি নির্মাণ করেন। ভবনের সম্মুখ ভাগের স্তম্ভ, অলংকরন, কাঠের কাজ, কক্ষের দেয়ালে ও দরজার উপর ফুল ও লতাপাতার চিত্রকর্ম চমৎকার নির্মাণ শৈলীর পরিচয় বহন করে। রাজবাড়ীর ছাদ সমতল, ছাদে লোহার বীম, কাঠের বর্গা এবং টালি ব্যবহৃত হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য রাজবাড়ির চারপাশে পরিখা খনন করা হয়েছিল।এই স্থানকে ঘিরে রয়েছে অনেক অজানা রহস্য। বাইকারদের কাছে এই স্থানটি অনেক পরিচিত এবং জনপ্রিয়। এমন অনেক বাইকার আছেন
যারা রাজশাহী বেড়াতে এসেছেন কিন্তু পুঠিয়া রাজবাড়ী দেখেনি এরকম ভ্রমণকারীদের সংখ্যা অতি নগণ্য। রাজশাহী শহর থেকে বাইকে চেপে আপনি খুব সহজেই পুঠিয়া যেতে পারবেন। এজন্য আপনাকে অবলম্বন করতে হবে রাজশাহী – নাটোর হাইওয়ে। রাজশাহী শহর থেকে আপনি ভদ্রা, তালাইমারি মোড় হয়ে যেতে পারেন অথবা সাহেব বাজার থেকে তালাইমারী যাওয়ার রাস্তা ধরে আপনি যেতে পারেন ।

তালাইমারি মোড় পার হবার পর প্রথমেই দেখতে পারবেন রাজশাহী প্রকৌশলী ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এবং তারপর দেখতে পারবেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। সেই রাস্তা ধরে সামনে যেতে যেতে ৩০ কিমি পথের পর পুঠিয়া বাজার। পুঠিয়া বাজার শুরু হওয়ার সময় হাতের ডান দিক দিয়ে পুঠিয়া রাজবাড়ী যাওয়ার রাস্তা। মনে রাখবেন রাজশাহী থেকে নাটোর যাবার সময় পুঠিয়া বাজারের শুরুতে হাতের ডান দিকের রাস্তা এবং নাটোর থেকে রাজশাহী আসার সময় হাতে বাম দিকে রাস্তা । এই রাস্তা সংলগ্ন একটি মসজিদ আছে এই মসজিদের পাশ্ব দিয়ে রাস্তাটাই মুলত পুঠিয়া রাজবাড়ী যাওয়ার রাস্তা। এই রাস্তা ধরে ১ কিমি গেলেই শুরুতেই আপনাদের চোখে পড়বে পুঠিয়া শিবমন্দির যেটাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শিব মন্দির বলা হয়ে থাকে তার একটু সামনে গেলেই দেখতে পারবেন বৃহৎ আকার একটি বাসা যার নাম পুঠিয়া রাজবাড়ী । পুঠিয়া রাজবাড়ীর সামনে রয়েছে বিশাল মাঠ এবং এই মাঠে বসে রতের মেলা ।পুঠিয়া-রাজশাহী মহাসড়কের তারাপুর বাজার থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দক্ষিণে এবং পুঠিয়া বাজার থেকে ৩ কিলোমিটার পশ্চিমে একটি পুকুরের মধ্যবর্তী স্থানে হাওয়াখানা অবস্থিত। দ্বিতল এ ইমারতের নীচতলার আর্চযুক্ত। এ ইমারতের দক্ষিণ পাশে দোতালায় উঠার জন্য সিড়ি আছে। পুঠিয়া রাজবাড়ীর সদস্যরা রাজবাড়ী থেকে রথ বা হাতীযোগে, পুকুরে নৌকায় চড়ে এসে অবকাশ যাপন এবং পুকুরের খোলা হাওয়া উপভোগ করতেন বলে জানা যায়।


Filter