ব্রিটিশ আমলে ইংরেজরা আমাদের দেশে ঘোড়দৌড় বা রেস খেলার প্রচলন করে। খেলা দেখা ও বাজি ধরায় প্রচন্ড উত্তেজানা সৃষ্টি হত। শহরাঞ্চলেই ঘোড়দৌড় মাঠ বা রেসকোর্স ছিল। রেসের নেশায় দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসতেন। অনেকে এ খেলায় সর্বস্বান্ত হয়েছে। কার্যত আয়োজকরাই লাভবান হয়েছে। রাজশাহী শহরের রেসকোর্স ছিল পদ্মার পাড়ে। এখন এই রেসকোর্স ময়দান রাজশাহী কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা।রেস ও টমটম বন্ধ হওয়ার পর রাজশাহীর রেসকোর্স ময়দান দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত ছিল। শহরবাসীর বিনোদনের আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তোলার জন্য তৎকালীন মন্ত্রী শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান ও জেলা প্রশাসক আব্দুর রউফ এখানে উদ্যান নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। ১৯৭২ সালে এর কার্যক্রম শুরু হয়। প্রায় ৩৩ একর ভূমিতে নির্মিত উদ্যানটিকে জেলা পরিষদের নিকট থেকে ১৯৯৬ সালের ২৬ নভেম্বর রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন গ্রহণ করে।
শহীদ কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা যেতে আপনাকে যে পথ অবলম্বন করতে হবে সেটা হল রাজশাহী সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট থেকে পশ্চিম দিকে আনুমানিক ৩ কি.মি. দূরত্বে সিএন্ডবি মোড় , বাংলাদেশের ব্যাংক পার হয়ে রাজপাড়া এলাকায় পর্যটন মোটেলের পশ্চিমে এবং রাজশাহী বিভাগিয় কমিশনারের কার্যালয় ও রাজশাহী পুলিশ লাইন এর পূর্ব দিকে অবস্থিত। প্রধান রাস্তার উত্তর পার্শ্বের রাস্তা থেকে পার্কটি দেখা যায়। জিরো পয়েন্ট থেকে বাইক নিয়ে রাজশাহী কোর্ট যাবার প্রধান সড়ক ধরে ৩ কিমি গেলেই শহীদ কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা। যেতে যেতে প্রথমেই চোখে পড়বে রাজশাহী কলেজ , ফায়ার সার্ভিস মোড়, নিঊ গভঃ ডিগ্রি কলেজ, সিএন্ডবি মোড়, বাংলাদেশ ব্যাংক, মিশন হাস্পাতাল এবং তারপরেই শহীদ কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা। রাজশাহীর রেলগেট থেকেও এই স্থানে যেতে পারবেন রেলগেট লক্ষীপুর প্রধান সড়ক ধরে। লক্ষ্মীপুর মোড় পার হলেই সিএন্ডবি মোড় এবং সেখান থেকে হাতের ডান দিকের রাস্তা দিয়ে গেলেই একটু সামনে পাবেন শহীদ কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা।