Yamaha Banner
Search

ষাঁড়বুরুজ

2023-02-01
Views: 291

ষাঁড়বুরুজ


ষাঁড়বুরুজ বা নওদা বুরুজ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুরে অবস্থিত বর্তমানে সর্ব প্রাচীন প্রত্নসম্পদ ও লুকায়িত ইতিহাস সমৃদ্ধ স্থান। স্থানীয়ভাবে এটি ষাঁড়বুরুজ নামেও পরিচিত। রাজা লক্ষন সেনের আমলে রহনপুর বাণিজ্য নগরী হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করে। বাণিজ্যিক কারণে রহনপুরেই তিনি গড়ে তোলেন সুরম্য অট্টালিকা, যার মধ্যে মসজিদই প্রধান। ষাঁড়বুরুজ নামে খ্যাত এই বিলীন অট্টালিকাটির প্রকৃত নাম শাহ্বুরুজ। শাহ্ শব্দের অর্থ বাদশা আর বুরুজ শব্দের অর্থ অট্টালিকা বা বালাখানা। যা পরবর্তীতে লোকমুখে ষাঁড়বুরুজ নামে খ্যাতি লাভ করে। বাংলা বিজয়ী ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজী এ পথে বাংলায় আগমন করেন এবং এ স্থানে কিছু সময় অবস্থান করেন। ইতিহাসে পরিচিত নদীয়া অঞ্চলটি এ স্থাপনাগুলির অঞ্চলের পাশেই অবস্থিত। যা পরবর্তীতে নওদা নামে পরিচিতি লাভ করে। বখতিয়ার খলজীর আগমনের সংবাদে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে রাজা লক্ষন সেন এ স্থান থেকে নদী পথে পলায়ন করেন। সেই থেকে এটি নওদা বুরুজ নামেও পরিচিত। বর্তমানে বিলপ্তির পথে এই ঐতিহ্যবাহী নির্দশনটি সরকারী কিংবা বেসরকারী পৃষ্টপোষকতা পেলে একটি পূর্নাঙ্গ বিনোদন পল্লীতে বূপান্তরিত হতে পারে। ঐতিহ্যবাহী এই নির্দশনটি চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা শহর থেকে ২৮ মাইল পশ্চিমে বাণিজ্য কেন্দ্র রহনপুরে অবস্থিত। রহনপুর যাবার জন্য আপনাকে অবলম্বন করতে হবে চাঁপাই-গোমস্তাপুর হাইওয়ে। চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা শহরের ফায়ার সার্ভিসের মোড় থেকে মহানন্দা নদীর পাড় ঘেষে পশ্চিম দিক দিয়ে যে রাস্তা গেছে এটাই চাঁপাই-গোমস্তাপুর হাইওয়ে। এই রাস্তায় প্রথমেই পাবেন হার্টি কালচার সেন্টার, নয়াগোলা বাজার, পুলিশ লাইন। এরপর বালুগ্রাম মোড় হয়ে ফতেপুর বাজার। এখান থেকে গোমস্তাপুর বাজার ১০ কিলোমিটার। গোমস্তাপুর আমের বাজার পার হয়ে ৬ কিলোমিটার সামনে গেলেই রহনপুর রেল স্টেশন। রহনপুর রেল স্টেশন বাজারটি দেখতে বেশ আকর্শণীয়। রহনপুর রেল স্টেশনের ঠিক উত্তরে এক কিলোমিটার গেলেই বেশ কিছু উঁচু একটি ঢিবি নজরে পড়ে। এটিই ষাঁড়বুরুজ বা নওদা বুরুজ । রহনপুর রেল স্টেশন বাজারে যে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই নওদা বুরুজ যাবার রাস্তা বলে দিতে পারবে।

বিঃদ্রঃ উল্লেখিত সকল দর্শনীয় স্থানসূমহ বেশ অনেকদিণের পুরোনো এবং সবগুলো জায়গা দেখারমত, তবে কিছু কিছু স্থান আপনাদের ভাল নাও লাগতে পারে, তার কারন গ্রামের আকা বাকা রাস্তায় অনেকটা সময় নষ্ট হবার সম্বাভনা অনেক বেশি। কিন্তু প্রকৃতি অনুভবের উদ্দ্যেশ্যে বের হলেতো কোন কথায় নেই। মনে রাখা ভাল, যেহেতু গ্রাম্য পরিবেশ তাই নিজের প্রোয়জন মত সকল ধরনের ব্যাবস্থা রাখাই বাঞ্ছনীয়। খাবার এবং পানি সাথে রাখা বিশেষ প্রয়োজন।
উপরে উল্লেখিত ট্রাভেল গাইড মুলত রাজশাহী হয়ে চাঁপাই নবাবগঞ্জ প্রবেশের যে রাস্তা সেই অনু্যায়ী তৈরী, কিন্তু চাঁপাই নবাবগঞ্জ পৌছানোর পর সেখানথেকে নিজেদের মত প্ল্যান রাইডারদের করে নিতে হবে, কোন স্থান আগে যাবেন। জেনে রাখা ভাল সবকটি স্থানই মোটামোটি কাছাকাছি দুরুত্বে, এবং চাঁপাই নবাবগঞ্জ পৌছানোর পর সবমিলিয়ে ৬০-৭০ কিলো মিটারের বৃত্তাকারের ভেতরে।


Filter