Owned for 1year+ [] Ridden for 10000km+
টিভিএস এপাচি আরটিআর ১৫০ মোটরসাইকেল রিভিউ - সুমন চৌধুরী
বাবার অনুমতির পরেই আমি মোটরসাইকেল খোজা শুরু করি। কোনটির ডিজাইন ভালো, কোনটি চালাতে আরাম, কোনটি আমার সাথে ভালো ম্যাচ হবে। সবচেয়ে বড় কথা বাইকটি হতে হবে আমার বাজেটের মধ্যে। সব মিলিয়ে আমি TVS Apache RTR বাইকটি কেনার সিদ্ধান্ত নেই।
এপাচি আরটিআর কেনার কারন
বাজাজ পালসার নিবো নাকি এপাচা আরটিআর নিবো এটি নিয়ে কিছু কনফিউশন ছিলো। আমার কিছু পরিচিতজন এবং বন্ধুরা আরটিআর নিতে বললো। ফীচার এবং অন্যান্য দিক বিবেচনায় আমার কাছে টিভিএস এপাচি আরটিআর ই বেশি ভালো মনে হলো। অবশেষে গত ২০১৫ এর অক্টোবরে বাইকটি কিনে ফেললাম।
কন্ট্রোল
বাইকটির কন্ট্রোলিং এ আমি সম্পুর্ণ খুশি নই। বাইকটি গতির জন্য সুপরিচিত এবং ৮০কিমি+/ঘন্টা স্পীডে একটি কিছুটা কাপতে থাকে যা বিরক্তিকর এবং মনযোগ নষ্ট করে। এই বিষয়টি বাদে বাকী সকল ফীচারগুলো আমার ভালো লেগেছে। বাইকটির বডি ডাইমেনশন ওজন ইত্যাদি মিলিয়ে ব্যস্ততম রাস্তায় খুব নিয়ন্ত্রনের সাথেই বাইকটি চালানো যায়।
লং ড্রাইভ
লং ড্রাইভে স্পীড মাইলেজ এবং কমফোর্ট সবই পাওয়া যায়। আমি দুটি বড় বড় জার্নি করেছি এবং কোনটাতেই সমস্যা বোধ হয় নাই।আমি একদিনে ২৫৯কিমি পর্যন্ত ড্রাইভ করেছি কোনো প্রকার সমস্যা ছাড়াই।
ব্যবহারের অভিজ্ঞতা
শহরের মধ্যে বাইকটি চালিয়ে খুবই আরামদায়ক এবং মজার। বাইকটি অল্প সময়ে দ্রুত স্পীড তুলতে পারে বলে ছোটখাটো রেস খেলতেও আনন্দ আছে। ব্রেকিং এ আমি কখনও স্কিডিং এর সম্মুখিন হই নাই।
টপ স্পীড ও মাইলেজ
আমি একা ১২০কিমি/ঘন্টা পেয়েছি টপ স্পীড এবং পিলিয়ন সহ ১০০কিমি/ঘন্টা। বাইকটি শুরু থেকেই ৪৫কিমি/লিটার মাইলেজ দিয়েছে। স্পীড এবং মাইলেজ নিয়ে আমার কোনো অসন্তুষ্টি নেই।
ভালো দিক
- ভালো স্পীড
- ভালো মাইলেজ
- মজবুত বাইক
- স্পেয়ার পার্টসের সহজলভ্যতা
- দ্রুত স্পীড তোলা যায়
খারাপ দিক
- ইনজিন কিছুটা গরম হয়ে যায়।
- কখনও ভাইব্রেট করে।
শহরে এবং কমিউটার বাইক হিসেবে বাইকটি চমতকার। টেকসই এবং মজবুত যেমন দেখতেও তেমন। এই দামের মধ্যে এমন বাইক সত্যিই দারুন। বিশেষ করে তরুনদের জন্য খুবই পছন্দের বাইক।