বাইক নিয়ে রাইড করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে কারণ আমি দেখেছি যে এই বাইকের মধ্যে রাইডের একটি স্বাধীনতা রয়েছে যেটা অন্য কোন যানবাহনের ক্ষেত্রে আমি খুঁজে পাই না। বর্তমানে আমি যে বাইকটি ব্যবহার করছি সেটি আমার ৬ষ্ট তম বাইক। টিভিএস, সুজুকি, রানার এর মত নামীদামী ব্রান্ডের বাইক রাইড করে আমি পছন্দ করে নিয়েছি এই Aprilia FX 150 কে কারণ এটার ব্র্যান্ড ভ্যালূ আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে, Aprilia রেস ট্র্যাক সহ সারা বিশ্বে অনেক জনপ্রিয় একটি ব্র্যান্ড । এদিকে Aprilia FX 150 বাইকের ইউজার ফিডব্যাক বা অভিজ্ঞতা আমি দেখলাম যে বেশ ভালো। তাই আর অন্য কোন বাইকের দিকে না তাকিয়ে রাজশাহীর পুঠিয়ায় অবস্থিত পলাশী ট্রেডার্স থেকে Aprilia FX 150 বাইকটি ক্রয় করি এবং ক্রয় করার পর ১২০০ কিমি রাইড করেছি। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই বাইকের ব্যবহারের অভিজ্ঞতা স্বল্প আকারে শেয়ার করবো।
প্রথমেই উল্লেখ করি Aprilia FX 150 বাইকের ভালো দিকগুলো
• এই বাইকটি রাইড করে আমি খুব আরাম অনুভব করি কারণ এর সিটিং পজিশন ও হ্যান্ডেলবারের কম্বিনেশনটা দারুন লেগেছে আমার কাছে। একদিনে আমি একটানা ১১৫ কিমি রাইড করেছি কোন সমস্যা ছাড়াই।
• ইঞ্জিনটা আমার কাছে ১,২০০ কিমি রাইড করে মনে হয়েছে যে এটা অনেক রিফাইন্ড করা এবং এর থেকে আমি স্মুথ অনুভুতি পাচ্ছি।
• এই বাইকের সাথে যে টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলোর ফিডব্যাক , গ্রিপিং , ব্রেকিং সব কিছু আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
• ১৫০ সিসির একটি কমিউটার বাইক হিসেবে আমার কাছে এর থ্রটল রেসপন্স অনেক ভাল লেগেছে। আমি চাইলেই নিমিষের মধ্যে স্পীড আপ করতে পারি।
• এদিকে ১৫০ সিসির একটি বাইক হিসেবে আমার কাছে মনে হয়েছে যে এর মাইলেজ অনেক ভালো । শহরের মধ্যে আমি মাইলেজ পাচ্ছি ৪০-৪২ কিমি প্রতি লিটার এবং হাইওয়েতে
মাইলেজ পাচ্ছি ৪৫-৪৮ এর একটু বেশি। আমার মতে বাইকের মাইলেজ ঠিক আছে।
• বিল্ড কোয়ালিটি আমার কাছে অনেক প্রিমিয়াম মনে হয়েছে এবং বডি পার্টস গুলো যথেষ্ট ভাল ও মজবুত আছে।
এবারে বলি Aprilia FX 150 বাইকের মন্দ দিক
• আমার কাছে মনে হয়েছে যে এই বাইকের সাথে ডিস্ক ব্রেকিং সিস্টেম থাকলে ব্রেকিং আরও চমৎকার হত।
• মিটার এর ডিসপ্লে অনেক ছোট যার ফলে রাইডের সময় দেখতে আমার একটু সমস্যা হয় ।
• সিসি হিসেবে আমার কাছ মাস্কুলার মনে হয়নি। বাইকটা আরও মাস্কুলার হওয়া দরকার ছিলো।
• পেছনের টায়ার সাইজে ছোট মনে হয়েছে এবং সেটা একটু স্কীড করে।
Aprilia FX 150 বাইকটা ১২০০ কিমি ব্যবহার করে আমি এই সকল অভিজ্ঞতাগুলো পেয়েছি। আশা করি আপনারা বাইকের ভালো মন্দ দিক সহজেই বুঝতে পেরেছেন এবং যারা কিনবেন তাদের জন্য বিষয়গুলো উপকারে আসবে।