আমার ডিস্কোভার ১২৫ সিসি বাইকটি মোটরসাইকেলভ্যালীর মাধ্যমে সবার সামনে প্রকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দ বোধ করছি। আমার নাম উৎপল সরকার পেশায় আমি একজন শিক্ষক এবং আমার বর্তমান ঠিকানা বাগাতিপাড়া, নাটোর। বাজাজ ডিস্কোভার ১২৫ সিসি আমার প্রথম বাইক। এই বাইকটি কেনার মুল কারণ ছিলো আমার স্কুল যাতায়াত এবং পারিবারিক কাজগুলো দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য এবং আমি প্রায় ১ বছর যাবত এই বাইকটি ব্যবহার করে আসছি।
ইঞ্জিনের পারফরমেন্সটা দারুণ এবং এখনো কোন সমস্যা হয়নি। একইভাবে এর ডিজাইন এবং গঠনটা বেশ মজবুত যেটা বাইকের উপর বসলে বোঝা যায়। ডিজাইন অনেক মার্জিত লুক রয়েছে এবং বিল্ড কোয়ালিটিটাও যথেষ্ট মজবুত যেটা আমার কাছে পারফেক্ট মনে হয়েছে।
কম্ফোরটের ব্যাপারে বলতে গেলে বাইকটার সিটিং পজিশন যথেষ্ট আরামদায়ক এবং সেই সাথে হ্যান্ডেলবারটা ধরেও আমি বেশ আরাম অনুভব করি। সিটিং পজিশন এবং হ্যান্ডেলবারের কম্বিনেশন খুব সুন্দর লেগেছে । সুইচগুলোর কোয়ালিটি অনেক ভালো যার ফলে আমি সেগুলো ব্যবহারে কোনো ঝামেলা পাই নি। অন্যদিকে হেডল্যাম্পের ভালো আলো থাকার ফলে রাতের রাইডে আমি কোনো ঝামেলা অনুভব করি না।
রাস্তায় চলাচলের সময় আমি এর কন্ট্রোলিং টা অনেক ভালো পাই। বাইকটির ভালো একটি দিক হল হাই স্পীডে কোনো ভাইব্রেট করে না । ব্রেক গুলো যথেষ্ট ভালো এবং খুব ভালোভাবে পারফরমেন্স দেয়। সেই সাথে সাসপেনশন গুলো অনেক ভালো এবং যে কোনো রাস্তায় অনেক কম ঝাঁকুনি এনে দেয়। টায়ারের অনেক ভালো গ্রিপ রয়েছে এবং আজও কোনো স্কীড অনুভব করিনি।
বাইকটির আরেকটি চমকপ্রদ বিষয় হল এর মাইলেজটা দুর্দান্ত, আমি এখন মাইলেজ পাচ্ছি লিটারে প্রায় ৬৫ কিমি এর মতো । মাইলেজটা আসলেই উল্লেখযোগ্য । আমি এর মাইলেজ নিয়ে অনেক সন্তুষ্ট।
সার্ভিস সেন্টার নিয়ে বলতে গেলে তাদের ব্যবহার এবং অন্যান্য দিক বেশ ভালোই এবং তারা অনেক আন্তরিক। তাদের প্রত্যেকটা বিষয়ে গ্রাহকদের অনেক সহযোগিতা করে থাকে।
ভালো দিক
-দুর্দান্ত মাইলেজ
-সুন্দর এবং মার্জিত লুক
-ডিজাইনটা যে কোনো রাইডার কে আকৃষ্ট করবে
মন্দ দিক
-চেইন কভার থেকে বিরক্তিকর একটি শব্দ আসে
বাইকটার কোয়ালিটি,পারফরমেন্স এওং ফিচারস বিবেচনায় আমার কাছে দামটা একদম ঠিক মনে হয়েছে। যদি কেউ এই বাইকটি কিনতে চান তাহলে আমার পরামর্শ থাকবে যে, আমি ব্যবহার করে অনেক মজা পাচ্ছি এবং আশা করি আপনারাও বাইকটি কিনলে হতাশ হবেন না। সবাইকে ধন্যবাদ।