2016-06-27
Bajaj Discover 150 Motorcycle user review by Rashel
বর্তমানে সময়ে সব শ্রেনী পেশার মানুষের কাছেই মোটরসাইকেল একটি প্রয়োজনীয় ও জনপ্রিয় বাহন। আর তরুণদের মোটরসাইকেল প্রীতি নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। দেখতে যেমন সুন্দর , চালানো যেমন সহজ , তুলনামুলক জ্বালানী খরচ কম , যেকোনো রাস্তায় চালানোর উপযোগী এই বাহনটিকে মানুষের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছে । শুধু আমাদের দেশে নয় পৃথিবীর সব দেশেই। খুব ছোট বেলা থেকেই বাবাকে বাইক চালাতে দেখেছি , তার সাথে বাইকে উঠেছি। সবসময় মনে হতো কবে নিজে বাইক চালাবো। আমার বাবা তার বয়স ও পেশার কারণে সবসময় কমিউটার বাইক চালাতেন । তিনি সরকারী চাকুতুজীবি ও মধ্যবয়সী মানুষ । বাবাকে অনেক কমিউটার বাইক চালাতে দেখেছি এবং সর্বশেষ তিনি Discover 150. বাইকটি কেনেন ২০১২ সালে। মজার ব্যাপার হোল তার কিছু আগেই আমি বাইক চালানো শিখে নেই। আমার বাবা Discover 150 বাইকটি কেনার পরে তার পাশাপাশি আমিও প্রায়শই বাইকটি চালাই। এই দীর্ঘ সময় বাইকটি চালিয়ে আমার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তা সংক্ষপে আজ বলবো
ডিজাইন
কমিউটার ক্যাটাগরির Bajaj Discover 150 সিসির স্টাইল ও সৌন্দর্জের দিকদিয়ে অত্যান্ত মার্জিত। যেকোনো বয়সের মানুষের সাথেই চমৎকার মানিয়ে যায়। সাদাসিদে অথচ অসাধারণ গ্রাফিক্যাল ডিজাইন বাইকটিকে অন্য একটি মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে। এর চমৎকার কালার কম্বিনেশান যে কাউকে মোহিত করে দিবে। কমিউটার এই বাইকটি প্রায় সব দিক থেকেই স্পোর্ট ক্যাটাগরির বাইকের সাথে তুলনীয়। তাই আমার মতে স্টাইল ও দর্শনের দিক দিয়ে নিঃসন্দেহে অসাধারণ একটা বাইক।
কনট্রোল
বাইকের কন্ট্রোল অনেক কিছু উপরে নির্ভর করে । এর ওজনের ভারসাম্য, ব্রেকিং সিস্টেম, সাস্পেনশান, সিটিং পজিশান ইত্যাদি আরো অনেক কিছুর উপরে। আমার বলতে দ্বিধা নাই বাইকটি ভালো কন্ট্রোলের জন্য যা যা প্রয়োজন বাইকটিতে তার সবই বিদ্যমান। আমি সাধারনত স্বল্প দুরত্তেই বাইকটি বেশি চালাই এবং এর সাদাসিদে সুন্দর ডিজাইন, ওজনের ভারসাম্য, সাস্পেনশান, ব্রেক আর সর্বপরি এটি অন্য যেকোনো কমিউটার বাইকের তুলনায় তুলনামুলক ভারি । শুধু আমার কাছেই না, আমি আমার বাবাকেও জিজ্ঞাসা করিছিলাম, তিনি প্রায়ই লম্বা দুরত্ত অতিক্রম করেন, সংক্ষেপে শুধু বলেছিলেন ভালো, বেশ ভালো। আমি একবার ১৭০ কিমি রাইড করেছিলাম, আমার কাছে মনে হয়েছে আমাদের দেশে পাওয়া যাওয়া অন্য যেকোনো কমিউটা র বাইকের তুলনায় এই বাইকটি সব দিক থেকেই ভালো।
কার্যক্ষমতা
আমি প্রায় চার বছর ধরে বাইকটি চালাচ্ছি । বাইকটির ইঞ্জজিন আমাকে কখনোই কোন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেনি। চার বছর আগেও ইঞ্জিন সাউন্ড যা ছিল এখনো তাই আছে। অথচ বাইকটি চালাতে কখনো কার্পন্য করিনি। বাইকের এই দিকটি আমার ভীষণ ভালো লেগেছে । বাইকটি ফোর স্ট্রোক , এয়ার কুল, ১৪৫ সিসির DTS-i টেকনোলজির ইঞ্জিন বিশিষ্ট। বাইকটি 13.0 PS @ 7500 rpm max power এবং 12.75 Nm @ 5500 rpm max torque দিতে সক্ষম। এই শক্তিশালী ইঞ্জিন পার্ফরমেনশের জন্য আপনি সব সময়ই বাইকটি চালিয়ে রোমাঞ্চ অনুভব করবেন। দীর্ঘ চার বছরে মাত্র দুইবার ইঞ্জিন রিপিয়ারের প্রয়োজন হয়েছে।
টপস্পীড ও মাইলেজ
আমরা সবাই জানি কমিউটার বাইক মাইলেজের দিক থেকে সবসমই সেরা । আমার বাইকটিও তার ব্যাতিক্রম না। শুরু থেকেই বাইকটির মাইলেজ ঈর্ষা করার মতো। আমি নিজে হিসাব করে দেখেছি ৫০কিমি/ লিটার যায়। ১৫০ সিসির কমিউটার বাইক হিসাবে এর মাইলেজ এতো ভালো , তাই বলে ভাববেন না এর টপ স্পীড কম। আমি সর্বচ্চ ১২৭ কিমি/ঘন্টা গতিতে বাইকটি হাইওয়েতে চালিয়েছি।
সাসপেনশন ও ব্রেকিং
যেমনটি আগেই বলেছি যেকোনো বাইকের কন্ট্রোল , হেন্ডেলিং আর আরামদায়ক রাইডিং্যের জন্য এর ব্রেকিং সিস্টেম এবং সাস্পেনশানের গুরুত্ত অপরিসীম। বাইকটির ব্রেকিং সিস্টেম ‘ডিস্ক ও ড্রাম ব্রেক’ এর সমন্বয়ে যা আমাদের দেশের রাস্তার খুবই জন্য খুবই উপযোগী সাথে ঝুঁকিমুক্ত। বিভিন্ন ক্রিটিক্যাল পরিস্থিতিতে বাইকটির ব্রেকিং সিস্টেম এর কার্যকরিতা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি । আর সাস্পেনশান এর কথা যদি বলে তবে বলব, বাজাজ বাইকের সাস্পেনশান সব সময়ই ভালো । আমাদের দেশের গ্রামীন রাস্তা ও শহরের উভয় ক্ষেত্রেই এর সাস্পেনশান অতুলনীয়। এক কথায় ব্রেকিং সিস্টেম এবং সাস্পেনশান নিয়ে আমার তো কোন অভিযোগই নেই বরং আমি খুবই সন্তুষ্ট।
বাইকের যত্ন
যেহেতু বাইকটি আমার বাবার তাই এর যত্ন-আত্তি আমার বাবাই করে থাকেন। তবে সময় সুযোগ পেলে আমি নিজেও পানি দিয়ে ধুয়ে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে থাকি। এর পাশাপাশি এয়ার ফিলটার , চেন ইত্যাদিতে যদি কোন সমস্যা দেখা দেয় তা ঠিক করে নেই। আর ১০০০ কিমি চলা হলেই বাবাকে বলি ইঞ্জিন ওয়েল বদলে নিতে।
আমার চার বছরের অভিজ্ঞতাও এই কথাই বলবো বাইকটি যেমন মজবুত তেমনি টেকসই । আমার মতে কেউ যদি অনেক দিন চালানোর জন্য বাইক নিতে চান তবে এর থেকে ভালো বাইক আর নাই
ডিজাইন
কমিউটার ক্যাটাগরির Bajaj Discover 150 সিসির স্টাইল ও সৌন্দর্জের দিকদিয়ে অত্যান্ত মার্জিত। যেকোনো বয়সের মানুষের সাথেই চমৎকার মানিয়ে যায়। সাদাসিদে অথচ অসাধারণ গ্রাফিক্যাল ডিজাইন বাইকটিকে অন্য একটি মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে। এর চমৎকার কালার কম্বিনেশান যে কাউকে মোহিত করে দিবে। কমিউটার এই বাইকটি প্রায় সব দিক থেকেই স্পোর্ট ক্যাটাগরির বাইকের সাথে তুলনীয়। তাই আমার মতে স্টাইল ও দর্শনের দিক দিয়ে নিঃসন্দেহে অসাধারণ একটা বাইক।
কনট্রোল
বাইকের কন্ট্রোল অনেক কিছু উপরে নির্ভর করে । এর ওজনের ভারসাম্য, ব্রেকিং সিস্টেম, সাস্পেনশান, সিটিং পজিশান ইত্যাদি আরো অনেক কিছুর উপরে। আমার বলতে দ্বিধা নাই বাইকটি ভালো কন্ট্রোলের জন্য যা যা প্রয়োজন বাইকটিতে তার সবই বিদ্যমান। আমি সাধারনত স্বল্প দুরত্তেই বাইকটি বেশি চালাই এবং এর সাদাসিদে সুন্দর ডিজাইন, ওজনের ভারসাম্য, সাস্পেনশান, ব্রেক আর সর্বপরি এটি অন্য যেকোনো কমিউটার বাইকের তুলনায় তুলনামুলক ভারি । শুধু আমার কাছেই না, আমি আমার বাবাকেও জিজ্ঞাসা করিছিলাম, তিনি প্রায়ই লম্বা দুরত্ত অতিক্রম করেন, সংক্ষেপে শুধু বলেছিলেন ভালো, বেশ ভালো। আমি একবার ১৭০ কিমি রাইড করেছিলাম, আমার কাছে মনে হয়েছে আমাদের দেশে পাওয়া যাওয়া অন্য যেকোনো কমিউটা র বাইকের তুলনায় এই বাইকটি সব দিক থেকেই ভালো।
কার্যক্ষমতা
আমি প্রায় চার বছর ধরে বাইকটি চালাচ্ছি । বাইকটির ইঞ্জজিন আমাকে কখনোই কোন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেনি। চার বছর আগেও ইঞ্জিন সাউন্ড যা ছিল এখনো তাই আছে। অথচ বাইকটি চালাতে কখনো কার্পন্য করিনি। বাইকের এই দিকটি আমার ভীষণ ভালো লেগেছে । বাইকটি ফোর স্ট্রোক , এয়ার কুল, ১৪৫ সিসির DTS-i টেকনোলজির ইঞ্জিন বিশিষ্ট। বাইকটি 13.0 PS @ 7500 rpm max power এবং 12.75 Nm @ 5500 rpm max torque দিতে সক্ষম। এই শক্তিশালী ইঞ্জিন পার্ফরমেনশের জন্য আপনি সব সময়ই বাইকটি চালিয়ে রোমাঞ্চ অনুভব করবেন। দীর্ঘ চার বছরে মাত্র দুইবার ইঞ্জিন রিপিয়ারের প্রয়োজন হয়েছে।
টপস্পীড ও মাইলেজ
আমরা সবাই জানি কমিউটার বাইক মাইলেজের দিক থেকে সবসমই সেরা । আমার বাইকটিও তার ব্যাতিক্রম না। শুরু থেকেই বাইকটির মাইলেজ ঈর্ষা করার মতো। আমি নিজে হিসাব করে দেখেছি ৫০কিমি/ লিটার যায়। ১৫০ সিসির কমিউটার বাইক হিসাবে এর মাইলেজ এতো ভালো , তাই বলে ভাববেন না এর টপ স্পীড কম। আমি সর্বচ্চ ১২৭ কিমি/ঘন্টা গতিতে বাইকটি হাইওয়েতে চালিয়েছি।
সাসপেনশন ও ব্রেকিং
যেমনটি আগেই বলেছি যেকোনো বাইকের কন্ট্রোল , হেন্ডেলিং আর আরামদায়ক রাইডিং্যের জন্য এর ব্রেকিং সিস্টেম এবং সাস্পেনশানের গুরুত্ত অপরিসীম। বাইকটির ব্রেকিং সিস্টেম ‘ডিস্ক ও ড্রাম ব্রেক’ এর সমন্বয়ে যা আমাদের দেশের রাস্তার খুবই জন্য খুবই উপযোগী সাথে ঝুঁকিমুক্ত। বিভিন্ন ক্রিটিক্যাল পরিস্থিতিতে বাইকটির ব্রেকিং সিস্টেম এর কার্যকরিতা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি । আর সাস্পেনশান এর কথা যদি বলে তবে বলব, বাজাজ বাইকের সাস্পেনশান সব সময়ই ভালো । আমাদের দেশের গ্রামীন রাস্তা ও শহরের উভয় ক্ষেত্রেই এর সাস্পেনশান অতুলনীয়। এক কথায় ব্রেকিং সিস্টেম এবং সাস্পেনশান নিয়ে আমার তো কোন অভিযোগই নেই বরং আমি খুবই সন্তুষ্ট।
বাইকের যত্ন
যেহেতু বাইকটি আমার বাবার তাই এর যত্ন-আত্তি আমার বাবাই করে থাকেন। তবে সময় সুযোগ পেলে আমি নিজেও পানি দিয়ে ধুয়ে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে থাকি। এর পাশাপাশি এয়ার ফিলটার , চেন ইত্যাদিতে যদি কোন সমস্যা দেখা দেয় তা ঠিক করে নেই। আর ১০০০ কিমি চলা হলেই বাবাকে বলি ইঞ্জিন ওয়েল বদলে নিতে।
আমার চার বছরের অভিজ্ঞতাও এই কথাই বলবো বাইকটি যেমন মজবুত তেমনি টেকসই । আমার মতে কেউ যদি অনেক দিন চালানোর জন্য বাইক নিতে চান তবে এর থেকে ভালো বাইক আর নাই