বাজাজ প্লাটিনা ১০০ইএস মোটরসাইকেল রিভিউ - শামীম আক্তার রনি

পেশাগত দিক দিইয়ে আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডে চাকুরী করি এবং আমার বাড়ি থেকে আমার অফিস দূরে হউয়ায় বহুদিন আগে থেকেই একটা মোটরসাইকেলের প্রয়োজন বোধ করছিলাম। একদিন বাসায় টেলিভিশন ছেড়ে দিয়ে আরাম করছিলাম এমন সময় টিভিতে বাজাজ প্লাটিনা ১০০ইএস এর বিজ্ঞাপন আমার নজরে আসে এবং যেভাবেই হউক বাইকটা আমার পছন্দ হয়ে যায়। একজন চাকুরীজীবী হিসেবে এবং বাড়ির সবার ব্যবহার করার স্বার্থে আমি এর থেকে ভাল অন্যকোন বাইক আছে কি না তা জানার চেষ্টা করিনি। বাজাজ প্লাটিনা ১১০ইএস এমন একটা বাইক যা আমার বাড়ির সকল সদস্যের পছন্দের সাথে এবং মানানের ক্ষেত্রেও অনেক ভাল বলে মনে হয়েছে আমার কাছে। বাইকটা কেনা প্রায় ১ মাস হয়ে আসলো এবং এই সময়ের মধ্যে আমি এবং আমার বাড়ির অন্যান্য সদস্য মিলে প্রায় ১১৫০ কিলোমিটার চালিয়েছি। বলা বাহুল্য যে কে কি বললো আমি জানি না তবে এই বাইকটা আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে। আরও পরিষ্কার করে বলতে গেলে এই বাইকটা ঠিক তেমনই বাইক যেমনটা আমি খুজছিলাম। যদি প্রশ্ন করা হয় যে গেল সময়ের মধ্যে আমার দেখা আমার ভাল কি কি দিক আমি লক্ক্য করলাম তবে আমাকে নিন্মের এই বিষয়গুলা বলতে হবে সবার আগেঃ

-সবার আগে এর মাইলেজটা আকর্ষন করার মত যা যে কাউকেই এর প্রতি দুর্বল করতে সক্ষম বলে আমি মনে করি।
-১০০সিসির বাইক হিসেবে যথেস্টই আরামদায়ক বলে আমার কাছে মনে হয়েছে।
-ডিজাইন নিয়ে যেমনটা আমি পুর্বেসি বলেছি যে এই বাইকটা এমন একটা ডিজাইন দিয়ে তৈরি যার কারনে রাইডারকে কখনই তার বয়স নিয়ে ভাবতে হবে এটাকে চালানোর পুর্বে।
-সাসপেন্সশনের পার্ফরমান্স উল্লেখ করার মত কারন যেকোন রাস্তায় চালানোর সময় আমি রাস্তার অবস্থা খুব সামান্যই টের পায়।

অন্যদিকে যদি এর খারাপ দিক নিয়ে কথা বলতে হয় তবে আমি বলবো যে আমার দেখা সরাসরি খারাপ বলার মত কোন দিক আমি খুজে পায় নি তবে আমি মনে করি এর কন্ট্রোলটা আরও ভাল হতে পারতো বলা চলে সামনের চাকায় ডিস্ক ব্রেক হলে এটা পারফেক্ট হত এবং আমি মনে করি এর জন্যে যদি বাইকের দাম একটু বেশি হতো তাতেও খুব বেশি সমস্যা কোন প্লাটিনা ব্যবহারকারীর হতো না। একই সাথে এর সিটিং পজিশনটা আরেকটু আরামদায়ক হলে ভাল হতো আমি মনে করি। হয়তোবা নতুন অবস্থায় থাকার কারনে আমার কাছে সিটিং পজিশনটা একটু শক্ত বলে মনে হচ্ছে।

বাজারে ১০০সিসির আরও অনেক বাইক থাকার পরেও বাজাজ প্লাটিনা ১০০ইএস কেনার কারন হলো, বাজাজ নিয়ে নতুন করে চিন্তা করার কিছু নাই আবার এর মাইলেজ এবং টিভিতে বিজ্ঞাপন আমাকে এর প্রতি আকৃষ্ট করে তাই আমি অন্য বাইক নিয়ে আর চিন্তা করিনি।

একই সাথে আমার বাইকের মাইলেজ ভূয়সী প্রশংসার যোগ্য কারন আমি যা মাইলেজ পাচ্ছি তা ১০০সিসির বাইক হিসেবে যে কাউকে খুশি করতে সক্ষম বলে আমি মনে করি। বর্তমানে আমি আমার বাইক থেকে মাইলেজ পাচ্ছি ৬৮ কিলোমিটার প্রতি লিটার শহরে রাইড করার সময় এবং ৭৩ কিলোমিটার প্রতি লিটার আমার বাইক আমাকে মাইলেজ দিচ্ছে গাইওয়েতে রাইড করার সময়। আমি জানি না সামনে দিঙ্গুলাতে আমি কেমন মাইলেজ পাবো তবে আশা করছি বাজাজের মত ব্রান্ড অন্তত মাইলেজ নিয়ে আমাকে অতাশ করবে না।

অন্যদিকে ইঞ্জিন পারফর্মান্স এখন পর্যন্ত যথেস্ট ভাল লাগার মত, প্লাসটিকের যেসব অংশ আমার বাইকে আছে তা অনেক পর্যন্ত সাপোর্ট দিবে বলে আমার কাছে মনে হয়েছে।

All BAJAJ bike price in bd

Bajaj Platina 100 ES