আমি মো এনামুল হক পেশায় একজন চাকুরীজীবি। আমার বাসস্থান ভিতরবাগ ,নাটোর রাজশাহী। আমার নিজের যাতায়াত সুবিধাকে আরও উন্নত করার জন্য সর্বদা নিজের একটি বাহন থাকার প্রয়োজন অনুভব করতাম এবং মোটরসাইকেলকেই সেরা যোগাযোগের বাহন হিসেবে বেছে নেই। বর্তমানে আমি ব্যবহার করছি বাজাজ প্লাটিনা ১০০ সিসি এই বাইকটি। তিন বছর যাবত আমি এই বাইকটি ব্যবহার করছি এই বাইকটি ব্যবহার করার পূর্বে আমি বাজাজ এর আরও দুটি ভিন্ন মডেলের বাইক ব্যবহার করেছি সেগুলো হল বাজাজ এক্স সিডি ১২৫সিসি এবং আরেকটি হল বাজাজ ডিস্কোভার ১২৫ সিসি। পূর্বের দুটি বাইক ব্যবহার করে আমার বেশ ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার বর্তমান ব্যবহারকৃত বাইক বাজাজ প্লাটিনা নিয়ে ভালো মন্দ কিছু দিক শেয়ার করবো।
আমি পূর্বেই বলেছি যে আমি একজন চাকুরীজীবি যার ফলে আমার খুব ভালো একটা যোগাযোগের মাধ্যম দরকার। আমি সব কিছু বিবেচনা করে দেখালাম যে বাজাজ প্লাটিনা বাইকটি দামে কম এবং অন্যান্য দিকগুলো আমি যেমন চেয়েছিলাম ঠিক তেমনই রয়েছে। যার ফলে বাইকটি আমার খুব পছন্দ হয়ে যায়। বাজাজের ডিটিএসআই প্রযুক্তির ইঞ্জিন বেশ ভালো মাইলেজ দেয়। অন্যদিকে বাজাজ এই বাইকটির আরামের দিকে বিশেষ নজর দিয়েছে। আমি বিভিন্ন মানুষের কাছে জানেছি যে এই বাইকটির মাইলেজ অনেক ভালো এবং দাম হিসেবে বেশ ভাল ডিজাইন এবং ফিচারস রয়েছে। তাই বাইকটি নির্দ্বিধায় কিনে ফেলি।
বাজাজ প্লাটিনা একটি কমিউটার বাইক। এর ডিজাইন এবং মার্জিত লুক আমার অনেক ভালো লাগে। বাইকটির হেডল্যাম্প, লুকিং গ্লাস এবং অন্যান্য ডিজাইনগুলো বেশ সুন্দর। আমি এর ডিজাইনটাকে খুব পছন্দ করি। ফুয়েল ট্যংকারের গ্রাফিক্সটাও আমার খুব ভালো লেগেছে। সব মিলিয়ে চমৎকার ডিজাইন রয়েছে ১০০ সিসির এই বাইকটিতে।
বাইকটির বিল্ড কোয়ালিটি নিয়ে কোন সন্দেহ নাই নিঃসন্দেহে অনেক ভালো বিল্ড কোয়ালিটি রয়েছে। আমি এক কথায় বলতে চায় এটি যে কোন রাস্তার জন্য বেশ মজবুত একটি গাড়ি এবং স্থায়িত্ব অনেক। আমি হাইওয়ে এবং কাদাযুক্ত উভয় রাস্তায় বাইকটি রাইড করেছি। আমার মতে এটি কম দামের মধ্যে অনেক আরামদায়ক একটি বাইক। সিটিং পজিশন এবং হ্যান্ডেলবার আমাকে যথেষ্ট ভালো আরাম ও ভালো কন্ট্রোলিং সরবরাহ করে থাকে।সিটিং পজিশনে আমি কখনই ব্যাক পেইন অনুভব করিনি।হ্যান্ডেলবারের সুইচগুলো বেশ ভালো এবং সুইচ গুলো নিয়ে আমাকে কখনই সমস্যায় পড়তে হয়নি। হেডল্যাম্পের আলো বেশ ভালো। আমি মাঝে মাঝে রাতে বাইক রাইড করে থাকি এক্ষেত্রে আমি হেডল্যাম্পের আলোর কোন স্বল্পতা পায়নি।
বাইকটির কন্ট্রোলিং নিয়ে বলতে গেলে এক কথায় চমৎকার।টপ স্পীডেও বাইকটি খুব কম ভাইব্রেট করে তবে আমি খেয়াল করেছি যে বাইকটি টপ স্পীডে রাইড করলে ভেসে যায় যার ফলে ব্যালেন্সিং করতে সমস্যা হয়। আমি টপ স্পীডে বাইক রাইড করতে সমস্যা পছন্দ করি না যার ফলে এটা খুব একটা বড় সমস্যা আমি মনে করি না। যেহুতু এটি একটি ১০০ সিসির কমিউটার বাইক ,কম ওজন এবং মার্জিত একটি বাইক তাই আমি রেসিং ধরনের বাইকারের মতো রাইড করতে অপছন্দ করি। ব্রেকিং টাও অনেক ভালো ।যেহেতু উভয়দিকেই ড্রাম ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে তবে ব্রেক গুলো বেশ কার্যকর ও অনেক সহায়ক। সাসপেনশন যথেষ্ট আরামদায়ক । আমি আমার বাইকে এই পর্যন্ত কোন স্কীড পায়নি। আমি আমার বাইকের ব্রেকিং এবং কন্ট্রোলিং নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট। আমি আমার বাইক রাইডিং করতে খুব পছন্দ করি।
আমি প্রথমেই উল্লেখ করেছি যে বাইকটির মাইলেজ অনেক ভালো এবং আমার ভালো মাইলেজ সমৃদ্ধ বাইক খুব ভালো লাগে। বর্তমানে আমি মাইলেজ পাচ্ছি ৬৬ কিমি প্রতি লিটারে। আমি আমার বাইকের মাইলেজ নিয়ে অনেক সন্তুষ্ট।
সার্ভিসিং সেন্টারের মান যথেষ্ট ভালো এবং তাদের কর্মচারী বেশ সহায়ক। আফটার সেল্স সার্ভিস নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই। আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে যে তাদের সার্ভিসিং সেন্টারের কর্মচারীরা বেশ দক্ষ এবং অভিজ্ঞ।
আমারা সকলেই জানি যে বাজাজ এর পার্টস অনেক এবং পার্টস নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই।
সব কিছু বিবেচনা করে আমি বলবো যে এর পারফরমেন্স এবং কোয়ালিটি অনেক সুন্দর এবং আমাকে খুব ভালো লেগেছে। বাইকটির ভালো গুন হল এর মাইলেজ এবং খারাপ গুন হলো টপ স্পীডে ভেসে যায়। ভালো এবং খারাপ গুন দুটো মিলিয়ে আমি অনেক সন্তুষ্ট। কেউ যদি এই বাইকটি কিনতে চায় তবে আমি ব্লবো যে নিঃসন্দেহে এই বাইকটি নিতে পারে। সবাইকে ধন্যবাদ।