বাংলাদেশের মোটরসাইকেল মার্কেটে বাজাজ শব্দটি নির্ভরতার প্রতিক। বাজাজের প্রতিটি মোটরসাইকেল জনপ্রিয় এবং টেকসই। আর তাই আমার ব্যক্তিগত বাহন হিসেবে বাজাজ প্লাটিনা ১০০সিসি বাইকটি কিনতে আমি দ্বিধাবোধ করিনি। বিশেষ করে এর সহজ ডিজাইন এবং কম তেল খরচ বাইকটি কেনাতে আমার আগ্রহ তৈরী করেছে।
আমি মো: রাসেল আহমেদ। পেশায় ব্যবসায়ী। ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহারের জন্য আমার একটি মোটরসাইকেলের প্রয়োজন ছিলো তাই আমি এই মোটরসাইকেলটি কিনি। যদিও এর পূর্বে আমি বাজাজ সিটি ১০০ এবং ফ্রিডম ১০০সিসি মোটরসাইকেল ব্যবহার করেছি। মোটরসাইকেলটি আমি বিগত ২ বছর ধরে ব্যবহার করছি। আজ আমি আমার মোটরসাইকেলটি ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আপনাদের শেয়ার করবো। আশা করি সাথেই থাকবেন।
বাইকটির ডিজাইন সাধারন মানের। এক কথায় মন্দ নয়। বিল্ড কোয়ালিটিও বেশ ভালো। বাইকটি চালিয়ে আরামদায়ক। সিটে বসতে আরামদায়ক কিন্তু বসাটা একদম সোজা হয়ে থাকতে হয়। সামান্য নীচু হলে ভালো। হ্যান্ডেলবার ধরতে আরামদায়ক। ব্যবহৃত সুইচগুলো আরামদায়ত এবং মজবুত। হেড লাইটের আলো ভালো কিন্তু আলোটা সামনে না যেয়ে ছড়িয়ে যায়। বাইকটি বেশি স্পীডে একটু কাপে। বাইকের ব্রেক এবং শকআপ ভালো। ব্রেকের কারনে কখনও টায়ারে স্লিপ খায় নাই।বাজাজের মোটরসাইকেল কম জ্বালানি খরচের জন্য সুপরিচিত। আমার মোটরসাইকেল লিটারে প্রায় ৬০+কিমি যায়।
গাড়ীর সমস্যায় সার্ভিস সেন্টারে কমই যাওয়া হয়। সাধারন প্রয়োজনে স্থানীয় টেকনিশিয়ানকে দিয়েই বেশি মেরামত করা হয়। তবে বাজাজের সার্ভিস সেন্টারের মান মোটামুটি।
মোটরসাইকেলটির ভালো দিক হলো দীর্ঘ সময় চালালেও ক্লান্তি হয় না। খারাপ দিক হলো বেশিক্ষন চালালে ইনজিন গরম হয়ে যায়।
বাইকটির সামনের দিকটা হালকা মনে হয়। একটু ভারী হলে চালিয়ে আরাম হতো। যারা তেল খরচের কথা চিন্তা করেন এবং কম দামে একটি ভালো মানের বাইক খুজছেন তারা নিশ্চিন্তে এই মোটরসাইকেলটি কিনতে পারেন।