বাজাজ প্লাটিনা ১০০ মোটরসাইকেল রিভিউ - রাসিদুল ইসলাম

যাতায়াতের জন্য মোটরসাইকেল সব সময়ই একটি ভাল মাধ্যম। আমি একটি এনজিওতে চাকুরী করি। তাই প্রতিনিয়ত আমাকে অনেক যাতায়াত করতে হয়। তখন আমি ভাবলাম ভাল মাইলেজ সমৃদ্ধ একটি মোটরসাইকেল আমার খুব প্রয়োজন। অবশেষে ১ মাস আগে আমি বাজাজ প্লাটিনা ১০০ সিসির মোটরসাইকেলটি কিনি। এই অল্প সময়ের মধ্যে আমি প্রায় ৯৫০ কিমি পথ চালিয়েছি কোন প্রকারের সমস্যা ছাড়াই। এই বাইকের সিটিং পজিশন বেশ বড় এবং এর হ্যান্ডেলবারটি মোটামুটি ভাল। আমি একটানা ৬০ কিমি পথ চালিয়েছি তবু আমার তেমন ক্লান্তি আসেনি। হাই স্পিডে চালিয়েও দেখেছি এর বডি বা মাথা কোন ভাইব্রেট করে না। আগের বাজাজ প্লাটিনা ১০০ সিসি বাইকের সাথে বর্তমানের বাজাজ প্লাটিনার অনেক পার্থক্য রয়েছে। যেমন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, হেড লাইট, ট্যায়ার ইত্যাদির বিভিন্ন অংশের পরিবর্তন রয়েছে। বাইকটিতে সামনে ও পিছনের চাকায় ড্রাম ব্রেক রয়েছে। এগুলোর সাহায্যে আমি বাইকটি মোটামুটি কন্ট্রোল করতে পারি। এছাড়া আমি মনে করি বাজাজ প্লাটিনা ১০০ সিসি মোটরসাইকেলটির দাম সঠিক ও সাধ্যের মধ্যেই রয়েছে।

ভাল দিকঃ- ১/ তেল খরচ কম। ২/ ডিজাইন ভাল। ৩/ ইঞ্জিন পারফরমেন্স চমৎকার। ৪/ সিটিং পজিশন অনেক ভাল। ৫/ এর বডির প্লাস্টিক গুলো মজবুত। ৬/ সেল্ফ ভাল কাজ করে। ৭/ দাম সবার সাধ্যের মধ্যেই রয়েছে।

মোটরসাইকেলটি পছন্দের কারণ?
এই মোটরসাইকেলটি পছন্দের মূল কারণ হলঃ এর তেল খরচ খুব কম। বাইকটি কিনার আগে আমি আমার কলিক এবং গ্রামের বন্ধুদের থেকে এই তথ্যটি পেয়েছিলাম। এখন দেখছি ভাল মাইলেজ পাবার আশায় বাইকটি কিনে আমি ভালই করেছি। অফিসের কাজে যাতায়াতের জন্য আমার অনেক টাকা খরচ হয়ে যেত। কিন্তু এই বাইকটি কিনে আমার অনেক টাকা সাশ্রয় হচ্ছে।

মাইলেজ সিটিঃ ৫৫ কিমি।
মাইলেজ হাইওয়েঃ ৬৫ কিমি।

আমার এই মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনটা খুব শক্তিশালী। এটি বেশিক্ষণ চালালেও এর ইঞ্জিন তেমন ওভার হীট হয় না। ইঞ্জিনের শব্দটা অনেক সুন্দর। বাইকটির সাসপেনশন গুলো মোটামুটি ভাল। লং রাইডেও আরাম এনে দেয়। শোরুম থেকে আমাকে পরামর্শ দেন সঠিক সময় মত মোটরসাইকেলটি সার্ভিসিং করাতে হবে। তাহলে বাইকটি থেকে সর্বদা ভাল পারফরমেন্স পাবো। পরিশেষে বলবো, তেল সাশ্রয়ী বাইক হচ্ছে আমার এই বাজাজ প্লাটিনা ১০০ সিসি।

All BAJAJ bike price in bd

Bajaj Platina 100 ES