বাজাজ প্লাটিনা ১০০ইএস মোটরসাইকেল রিভিউ - রকি

আমার দৈনন্দিন কাজে যাতায়াতের জন্য ১টি বাইক খুব অনুভব করি। যার মাধ্যমে আমি প্রতিনিয়ত ইচ্ছা স্বাধীন ভাবে যাতায়াত করতে পারি। আর তাই আমি বেছে নিয়েছি আমার পছন্দের বাজাজ প্লাটিনা ১০০ সিসি বাইকটি। এটি আমার জীবনের প্রথম বাহন। বাইকটি কিনেছি মূলত ভাল মাইলেজ পাবার আশায়। বাজাজ প্লাটিনা বাইকটি আমি ব্যবহার করছি মাত্র ১ মাস যাবত এবং প্রায় ৬০০ কিমি চালিয়েছি। আর এই অল্প সময়ে আমি এই বাইকটি সম্পর্কে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি তা আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। বাজাজ প্লাটিনা ১০০ সিসি বাইকটির ইঞ্জিন আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভাল লেগেছে। এর ইঞ্জিনের শক্তি খুব বেশি। আমার ধারণা বাইকটি দীর্ঘ দিন যাবত ব্যবহার করলেও অনেক ভাল পারফমেন্সই পাবো। আমার বাইকের ইঞ্জিনে বাড়তি কোন খারাপ শব্দ নেই। তাই এর ইঞ্জিন পারফমেন্স নিয়ে আমি একটু বেশিই সন্তুষ্ট। বাইকটির ডিজাইন আমার কাছে খুব ভালো লাগে এবং এর বীল্ড কোয়ালিটি বেশ মজবুত বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। আমার এই বাইকটির সিটিং পজিশন বেশ ভাল এবং লম্বা। এর সিটিং পজিশন অনুযায়ী হ্যান্ডেলটিও সঠিক স্থানেই রয়েছে, যার ফলে আমি দীর্ঘ সময় বাইকটি রাইড করার পরেও তেমন কোন ব্যাক পেইন অনুভব করি না। বাইকটির হ্যান্ডেলের সুইচগুলোও খুব ভাল কাজ করে। এখন পর্যন্ত আমি কোন সমস্যার সম্মুখিন হয়নি। এর ব্রেকিং সিস্টেম আমার মোটামুটি ভাল লেগেছে। তবে আমার মতে এত সামনের চাকায় ডিস্ক ব্রেক থাকলে একটু বেশিই ভাল হত। তবে এর ড্রাম ব্রেক গুলো মোটামুটি ভাল কাজ করে। বাইকটির হেড লাইটে ডিজাইন সম্পূর্ণ নতুন। এছাড়া এই বাইকটিতে সেল্ফ রয়েছে, যা আগের ভার্শনের প্লাটিনাতে ছিল না। সকল দিক বিবেচনায় করে আমার সাধ্যের মধ্যে এই বাইকটি খুব পছন্দের।

ভাল দিকঃ
- বীল্ড কোয়ালিটি বেশ মজবুত।
- তেল খরচ খুব কম।
- সুন্দর ডিজাইন।
- এর হেড লাইটের সিস্টেম নতুন।
- সাধ্যের মধ্যে পারফেক্ট ডিজাইন রয়েছে।
- ইঞ্জিন পারফর্মেন্স খুবই ভাল।
- সেল্ফ রয়েছে।

খারাপ দিকঃ
- ডিস্ক ব্রেক সিস্টেম নাই।

বাইকটি পছন্দের কারণ?
এই বাইকটি পছন্দের মূল কারণ হল, এর তেল খরচ খুব কম এবং এর দামটা আমার সাধ্যের মধ্যেই ছিল। তাই আমি পছন্দ করে বাজাজ প্লাটিনা ১০০ সিসি বাইকটি কিনেছি।
মাইলেজ সিটিঃ ৫৫ কিমি।
মাইলেজ হাইওয়েঃ ৬৫ কিমি।
আমার এই বাইকটির সাসপেনশন নিয়ে আমি খুব সন্তুষ্ট। কারণ এর শকাপ গুলো বেশ ভাল খেলে। যার ফলে আমি গ্রামের রাস্তায় এবং ভাঙ্গা রাস্তাতেও তেমন কোন ঝাঁকুনি অনুভব করি না। আমার এই বাইকটি আমাকে মাইলেজের দিক দিয়ে অনেক সন্তুষ্ট রেখেছে। আমি বর্তমানে সর্বোচ্চ ৬৫ কিমি মাইলেজ পাচ্ছি। এই সুবিধাটি হয়তো অন্য কোন বাইক আমাকে দিতে পারতো না বলে মনে করি। তাই এখন আমি আমার এই বাইকটিকে আরো বেশি পছন্দ করি। আমি বেশ কয়েকবার সার্ভিসিং সেন্টারে সার্ভিসিং করিয়েছি। এদের সার্ভিসিং সেন্টারের মান খুব উন্নত। তাই আমি বলব এই বাইকটি সব দিক থেকেই ভাল। অল্প বাজেটের মধ্যে ভাল মাইলেজ যুক্ত বাইক কিনলে আমি বলবো বাজাজ প্লাটিনা কিনুন। সবাইকে ধন্যবাদ।

All BAJAJ bike price in bd

Bajaj Platina 100 ES