2016-08-07
Bajaj Pulsar 150 motorcycle ownership review by Rubel
আমি রুবেল হাসান, রাজশাহী ইউনিভার্সিটির ছাত্র। আমার বাড়ীও রাজশাহীতে। আমি যখন কলেজের ছাত্র, দেখতাম আমার বন্ধুবান্ধব – আত্বীয় স্বজন মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন। দেখতাম আর ভাবতাম আমি যদি তাদের মতো বাইক চালাতে পারতাম, যদি নিজের একটা বাইক থাকতো! আমি কিন্তু কলেজ লাইফে বাইক চালাতে পারতাম না। তারপরে কলেজ পার করে ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হলাম। বাইকের প্রতি ভালোবাসা আর আগ্রহের কারণেই বাইক চালানো শিখে ফেলি ভার্সিটিতে ভর্তি হবার পরেই। অন্যের বাইকে চালানো শেখা সত্যই বিড়ম্বনার। শিখতে তাই একটু সময় লাগলো। প্রায় ছয় মাসের মধ্যেই আমি মোটামুটি একজন দক্ষ বাইকার হয়ে গেলাম। বাইক চালানো শিখে নেয়ার পরে প্রায় দুই বছর বন্ধু বান্ধব আত্বীয় স্বজনের বাইক চালাতাম সুযোগ পেলেই। বাইক যেনো আমার অবসেশান হয়ে গেলো। গত বছর ডিসেম্বরে একদিন আমার আব্বা নিজের একটা বাইক কেনার কথা বললেন এবং কিছু টাকা দিলেন। এক সপ্তাহের মধ্যে আমি একটা ব্যান্ড নিউ Pulsar 150 DTS-i বাইক কিনে ফেলি। কি যে ভালো লেগেছিল বলে বুঝাতে পারবো না। আমি যে মডেলটি কিনেছিলাম তা Pulsar এর নতুন মডেল। এর কালার কম্বিনেশান আগের মডেলের থেকে আলাদা । প্রায় সাত মাস হতে চলল আমি বাইকটি চালাচ্ছি । চালাচ্ছি কী? আমি আসলে উপভোগ করছি। আমি রীতিমতো এক্সাইটেড আমার এই স্বপ্নের বাইক সম্পর্কে আপনাদের জানাতে। আমার বাইক Pulsar 150 DTS-i এর গল্প।
কেন আমি বাইক কিনলাম?
যেমনটি প্রথমেই বলেছিলাম, আমি আমার বন্ধু আত্বীয় স্বজনের বাইক চালানো দেখতাম আর ভাবতাম আমি যদি চালাতে পারতাম আমার নিজের যদি থাকতো! বাইক চালানো না জানাই সম্ভবত আমার আর আমার নিজের বাইকের মধ্যে বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ ছিল। বাইক চালানো শিখে নেয়ার পরেই যেনো বাইকের প্রতি আমার ভালবাসা বেড়ে গেলো। যত দ্রুত সম্ভব নিজের একটা বাইকের জন্য মরিয়া ছিলাম। তাছাড়া একটা বাইক থাকলে আপনি যেকোনো স্থানে দ্রুত এবং স্বাধীন ভাবে যেমন চলাচল করতে পারবেন । আর তরুণদের কাছে যেনো এটা একটা স্মার্টনেসের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর পাশাপাশি আমাদের রাস্তা আর ট্রান্সপোর্টের কথা বিবেচনায় নিলে এর থেকে আর ভালো বাহন আর আছে কি?
কেন আমি বাজাজ পালসার কিনলাম?
বাইক চালানো শেখার পরে আমি ১৫০ সিসির বিভিন্ন মডেলের অনেক বাইক চালিয়েছি। কিন্তু আমার কাজিনের পালসার চালিয়ে যে মজা পেয়েছিলাম তা অন্য কোন ১৫০ সিসির বাইকে পাইনি। এক কথায় অসাম। বাইকটি স্পোর্টি বাইকও না আবার কমিউটার বাইকও না, কিন্তু আপনি যেন দুই ধরনের বাইকের স্বাদই পাবেন এই একটা বাইকে। বাইকটির মার্জিত আর স্টাইলিশ ডিজাইন, আধুনিক সুযোগ সুবিধা, মানানসই ওজন আর আমার সামর্থের মধ্যে দাম বাইকটি কিনতে আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছিলো। আমার মতে এই প্রাইজ রেঞ্জের মধ্যে সবচেয়ে ভালো বাইক হলো পালসার। আরএই কারণেই এই প্রাইস রেঞ্জের প্রায় সবাই পালসার পছন্দ করেন।
কেমন পারফরমেন্স?
আমি সাত মাস ধরে বাইকটি চালাচ্ছি এবং এমন কোন সমস্যায় গত সাত মাসে পড়িনি যা আমাকে বিব্রত করে। বাজাজ বাইকের ইঞ্জিন সব সময়ই শক্তিশালী আর মজবুত হয়। আর পালসারের ১৫০ সিসির ইঞ্জিন আপনাকে শক্তি দিয়ে মুগ্ধ করবে। বাইকটি নিয়ে আমার অনেক মধুর স্মৃতি আছে। আসলে বাইক জগতে একটি চমক ছিল পালসার। গত প্রায় একযুগ ধরে এই বাইকটি অনেকেরই স্বপ্নের বাইক হয়ে আছে। বাজাজ কোম্পানিকে ধন্যবাদ দিতেই হয় এতো চমৎকার একটা বাইক উপহার দেয়ার জন্য।
হ্যান্ডেলিং এক কোথায় চমৎকার। পালসার তার প্রতিটি মডেলেই হ্যান্ডেলিং কে একটু একটু করে উন্নতি করে এক অন্যমাত্র্য নিয়ে এসেছে। বাইকটির মাধুর্য্য এমনই যে আপনি দীর্ঘ ভ্রমণেও ক্লান্ত হবেন না বা আপনার পিঠে ব্যাথা অনুভব করবেন না। আমি অনেক দূর পথ পাড়ি দিয়েছি এই বাইক নিয়ে কিন্তু কখনোই কোন সমস্যায় পড়িনি। আসলে বাইকের সিটিং পজিসান লং রাইডের জন্যই উপুযূক্ত করে ডিজাইন করা। ১৫ লিটারের বড় পেট্রোল ট্যাঙ্ক সাথে ৩.২ লিটার রিজার্ভ আপনি অনেক ১৫০ সিসি বাইকেই খুঁজে পাবেন না। এর ডিজিটাল মিটার RPM speed, 2 trip details, petrol consumption readings, reserve indication, battery empty notifications সহ আরো অনেক ইউজফুল ফিচার দিয়ে সাজানো।
মাইলেজ ও স্পীড
আমি সাত মাস ধরে বাইক চালাচ্ছি এবং এখন পর্যন্ত বাইকটি টিউন করিনি। আশা করি টিউন করে নিলে এর মাইলেজ আর স্পীড আরো ভালো পাবো। আমি বর্তমানে ৪০ কিমি/ লিটার শহরের মধ্যে এবং লং ড্রাইভে হাইওয়েতে ৪২-৪৫ কিমি/ লিটার মাইলেজ পাচ্ছি। তবে আমার এক বন্ধু ৫০ কিমি/ লিটার মাইলেজ এর কথা বলে ৪০০০ RPM স্পীডে। টপ স্পীডের কথা যদি বলেন তবে বলবো আমি দুইবার ১১০ কিমি / ঘন্টা গতিবেগ তুলেছিলাম এবং ধারণা করেছিলাম এর থকেও জোরে যাওয়ার ক্ষমতা বাইকটির আছে।
বাইকটির যে জিনিসগুলো ভালো লাগে
দেখতে বাইকটি খুবই সুন্দর । মার্জিত এবং অভিজাত। কালার কম্বিনেশান অসাধারণ। কার্বন ব্যাক কালারের সাথে ফক্সহেড ল্যাম্প, ফূয়েল ট্যাঙ্কের এয়ার রেজিস্টেন্স গার্ড সাথে স্লোপি ব্যাক লাইট , বাকানো সিট বাইকটির চেহারায় যেনো অভিজাত্যের ছাপ এটে দিয়েছে। বাইকটির ইঞ্জিন সাউন্ড অসাধারণ । মাইলেজ আর স্পীডেও কোন অংশে কম না।
মন্দ লাগা বিষয়গুলো
আমি সাত মাস ধরে বাইকটি চালাচ্ছি কিন্তু এখন পর্যন্ত বাইকটিকে খারাপ বলার মতো বড় কোন সমস্যা চোখে পড়েনি। তবে কিছু ছোটখাটো সমস্যায় পড়েছি। আসলে প্রতিটি আলোর নিজের ছায়া থাকে । কোন কিছুই যেনো নিখুঁত না।
• গিয়ার বক্সে কিছু সমস্যা আছে বলে মনে হয়েছে
• গিয়ার পরিবর্তনের সময় শব্দ হয়
• উঁচা থেকে নীচে নামার সময় কিছু ডিস্কম্ফোর্ট ফিল হয়।
• ইঞ্জিন চালু অবস্থায় নিউট্রাল হতে কিছু সমস্যা হয়।
সাত মাস একেবারে কম সময় না একটা বাইককে জাজ করে নেয়ার জন্য। খারাপ তেল ব্যবহারের কারণে একটা স্পার্ক প্লাগ বদলেছি এছাড়া আর কোন স্পার্সেই হাত দেইনি, বদলানো তো দূরের কথা। । এই সাত মাসে আমি আমার বাইক নিয়ে খুবই খুশি । বাকি উত্তর সময় দিবে । দেখা যাক আল্লাহ ভরসা সামনে কি হয়?
কেন আমি বাইক কিনলাম?
যেমনটি প্রথমেই বলেছিলাম, আমি আমার বন্ধু আত্বীয় স্বজনের বাইক চালানো দেখতাম আর ভাবতাম আমি যদি চালাতে পারতাম আমার নিজের যদি থাকতো! বাইক চালানো না জানাই সম্ভবত আমার আর আমার নিজের বাইকের মধ্যে বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ ছিল। বাইক চালানো শিখে নেয়ার পরেই যেনো বাইকের প্রতি আমার ভালবাসা বেড়ে গেলো। যত দ্রুত সম্ভব নিজের একটা বাইকের জন্য মরিয়া ছিলাম। তাছাড়া একটা বাইক থাকলে আপনি যেকোনো স্থানে দ্রুত এবং স্বাধীন ভাবে যেমন চলাচল করতে পারবেন । আর তরুণদের কাছে যেনো এটা একটা স্মার্টনেসের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর পাশাপাশি আমাদের রাস্তা আর ট্রান্সপোর্টের কথা বিবেচনায় নিলে এর থেকে আর ভালো বাহন আর আছে কি?
কেন আমি বাজাজ পালসার কিনলাম?
বাইক চালানো শেখার পরে আমি ১৫০ সিসির বিভিন্ন মডেলের অনেক বাইক চালিয়েছি। কিন্তু আমার কাজিনের পালসার চালিয়ে যে মজা পেয়েছিলাম তা অন্য কোন ১৫০ সিসির বাইকে পাইনি। এক কথায় অসাম। বাইকটি স্পোর্টি বাইকও না আবার কমিউটার বাইকও না, কিন্তু আপনি যেন দুই ধরনের বাইকের স্বাদই পাবেন এই একটা বাইকে। বাইকটির মার্জিত আর স্টাইলিশ ডিজাইন, আধুনিক সুযোগ সুবিধা, মানানসই ওজন আর আমার সামর্থের মধ্যে দাম বাইকটি কিনতে আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছিলো। আমার মতে এই প্রাইজ রেঞ্জের মধ্যে সবচেয়ে ভালো বাইক হলো পালসার। আরএই কারণেই এই প্রাইস রেঞ্জের প্রায় সবাই পালসার পছন্দ করেন।
কেমন পারফরমেন্স?
আমি সাত মাস ধরে বাইকটি চালাচ্ছি এবং এমন কোন সমস্যায় গত সাত মাসে পড়িনি যা আমাকে বিব্রত করে। বাজাজ বাইকের ইঞ্জিন সব সময়ই শক্তিশালী আর মজবুত হয়। আর পালসারের ১৫০ সিসির ইঞ্জিন আপনাকে শক্তি দিয়ে মুগ্ধ করবে। বাইকটি নিয়ে আমার অনেক মধুর স্মৃতি আছে। আসলে বাইক জগতে একটি চমক ছিল পালসার। গত প্রায় একযুগ ধরে এই বাইকটি অনেকেরই স্বপ্নের বাইক হয়ে আছে। বাজাজ কোম্পানিকে ধন্যবাদ দিতেই হয় এতো চমৎকার একটা বাইক উপহার দেয়ার জন্য।
হ্যান্ডেলিং এক কোথায় চমৎকার। পালসার তার প্রতিটি মডেলেই হ্যান্ডেলিং কে একটু একটু করে উন্নতি করে এক অন্যমাত্র্য নিয়ে এসেছে। বাইকটির মাধুর্য্য এমনই যে আপনি দীর্ঘ ভ্রমণেও ক্লান্ত হবেন না বা আপনার পিঠে ব্যাথা অনুভব করবেন না। আমি অনেক দূর পথ পাড়ি দিয়েছি এই বাইক নিয়ে কিন্তু কখনোই কোন সমস্যায় পড়িনি। আসলে বাইকের সিটিং পজিসান লং রাইডের জন্যই উপুযূক্ত করে ডিজাইন করা। ১৫ লিটারের বড় পেট্রোল ট্যাঙ্ক সাথে ৩.২ লিটার রিজার্ভ আপনি অনেক ১৫০ সিসি বাইকেই খুঁজে পাবেন না। এর ডিজিটাল মিটার RPM speed, 2 trip details, petrol consumption readings, reserve indication, battery empty notifications সহ আরো অনেক ইউজফুল ফিচার দিয়ে সাজানো।
মাইলেজ ও স্পীড
আমি সাত মাস ধরে বাইক চালাচ্ছি এবং এখন পর্যন্ত বাইকটি টিউন করিনি। আশা করি টিউন করে নিলে এর মাইলেজ আর স্পীড আরো ভালো পাবো। আমি বর্তমানে ৪০ কিমি/ লিটার শহরের মধ্যে এবং লং ড্রাইভে হাইওয়েতে ৪২-৪৫ কিমি/ লিটার মাইলেজ পাচ্ছি। তবে আমার এক বন্ধু ৫০ কিমি/ লিটার মাইলেজ এর কথা বলে ৪০০০ RPM স্পীডে। টপ স্পীডের কথা যদি বলেন তবে বলবো আমি দুইবার ১১০ কিমি / ঘন্টা গতিবেগ তুলেছিলাম এবং ধারণা করেছিলাম এর থকেও জোরে যাওয়ার ক্ষমতা বাইকটির আছে।
বাইকটির যে জিনিসগুলো ভালো লাগে
দেখতে বাইকটি খুবই সুন্দর । মার্জিত এবং অভিজাত। কালার কম্বিনেশান অসাধারণ। কার্বন ব্যাক কালারের সাথে ফক্সহেড ল্যাম্প, ফূয়েল ট্যাঙ্কের এয়ার রেজিস্টেন্স গার্ড সাথে স্লোপি ব্যাক লাইট , বাকানো সিট বাইকটির চেহারায় যেনো অভিজাত্যের ছাপ এটে দিয়েছে। বাইকটির ইঞ্জিন সাউন্ড অসাধারণ । মাইলেজ আর স্পীডেও কোন অংশে কম না।
মন্দ লাগা বিষয়গুলো
আমি সাত মাস ধরে বাইকটি চালাচ্ছি কিন্তু এখন পর্যন্ত বাইকটিকে খারাপ বলার মতো বড় কোন সমস্যা চোখে পড়েনি। তবে কিছু ছোটখাটো সমস্যায় পড়েছি। আসলে প্রতিটি আলোর নিজের ছায়া থাকে । কোন কিছুই যেনো নিখুঁত না।
• গিয়ার বক্সে কিছু সমস্যা আছে বলে মনে হয়েছে
• গিয়ার পরিবর্তনের সময় শব্দ হয়
• উঁচা থেকে নীচে নামার সময় কিছু ডিস্কম্ফোর্ট ফিল হয়।
• ইঞ্জিন চালু অবস্থায় নিউট্রাল হতে কিছু সমস্যা হয়।
সাত মাস একেবারে কম সময় না একটা বাইককে জাজ করে নেয়ার জন্য। খারাপ তেল ব্যবহারের কারণে একটা স্পার্ক প্লাগ বদলেছি এছাড়া আর কোন স্পার্সেই হাত দেইনি, বদলানো তো দূরের কথা। । এই সাত মাসে আমি আমার বাইক নিয়ে খুবই খুশি । বাকি উত্তর সময় দিবে । দেখা যাক আল্লাহ ভরসা সামনে কি হয়?