বাজাজ পালসার ১৫০ মোটরসাইকেল রিভিউ - এনামুল হাসান

পালসার নামটি অনেক বাইকারের মনে জায়গা করে নিয়েছে এর কারণ হল বাইকটির লুক, ডিজাইন এবং পারফরমেন্স সব কিছু মিলিয়ে অনেক ভালো মানের একটি বাইক। আমি বলবো যে এই বাইকটি বাজাজের অনবদ্য একটি সৃষ্টি। আমি এনামুল হাসান পেশায় একজন ছাত্র। বাজাজ পালসার আমি প্রায় ৫ বছর ধরে ব্যবহার করছি। আমার অনেক ভালো লাগার একটি বাইক এটি যার কারণে আমি বাইকটির অনেক যত্ন নিয়ে থাকি। সময় মতো সার্ভিসিং করা, ইঞ্জিন ওয়েল পরিবর্তন করা ইত্যাদি বিভিন্ন কাজ করিয়ে থাকি যার ফলে বাইকটি আমি যেভাবে চালাই ঠিক সেভাবেই আমাকে পারফরমেন্স দেয়। এটা আমার প্রথম ব্যবহৃত বাইক না আমি এর পূর্বে ব্যবহার করেছি বাজাজ সিটি ১০০, এপ্যাচি আরটিআর। এই বাইকটি কেনার মূল কারণ হল অবসর সময়ে একটু ঘুরাঘুরি এবং পারিবারিক বিভিন্ন কাজ। আজ সময় হয়েছে এই বাইকটি নিয়ে একটা রিভিউ দেওয়ার।



ইঞ্জিন পারফরমেন্স আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। অনেকেই পালসারের ইঞ্জিনের শব্দ নিয়ে দ্বিমত পোষণ করে থাকেন তবে আমি বাইকটি অনেক যত্নে রাখি যার ফলে ইঞ্জিন পারফরমেন্স দারুন পাই। আশা করি আপনারাও ইঞ্জিনটা ভালো ব্যবহার করলে এর ভালো পারফরমেন্স পাবেন।

ডিজাইন আমার কাছে ঠিক মনে হয়েছে। বাইকটিতে খুব বেশী ডিজাইন না থাকলেও আমি মনে করি বেশ ভালো ডিজাইন রয়েছে যা সকল বয়সের রাইডারদের জন্য একদম মানানসই। অন্যদিক বাইকটি অনেক মজবুত একটি বাইক বলে আমার কাছে মনে হয়েছে কারণ বিভিন্ন রাস্তায় চালিয়ে এবং ৫ বছর ব্যবহার করে আমার কাছে কোনো ঝামেলা মনে হয় নি।



বাইকটির সিটিং পজিশনে বসে আমি বেশ ভালো আরাম অনুভব করি। সিটিং পজিশনের সাথে সমন্বয় করে আমি হ্যান্ডেলবারটা বেশ ভালো লক্ষ্য করেছি। বাইকটির হ্যান্ডেলবারের সাথে সংযুক্ত সুইচগুলো বেশ দারুন আজ পর্যন্ত আমি কোনো ঝামেলা পায়নি। আমার কাছে একটা বিষয় খারাপ লেগেছে সেটা হল এর হেডল্যাম্পের আলোটা আমার কাছে যথেষ্ট বলে মনে হয় নি। হাইওয়ে রাতের বেলায় হেডল্যাম্পের আলোটা তেমন সহায়ক না।

বাইকটিতে দুর্দান্ত গতি রয়েছে। নিমিষেই অনেক গতি উঠানো সম্ভব হয়। আমি টপ স্পীড অনেকবার তুলেছি কিন্তু মিটারের দিকে লক্ষ্য করিনি। আমার কাছে ১০০ এর বেশী মনে হয়েছে। ব্রেকিংটা বেশ ভালো । শহরে এবং হাইওয়েতে অনেক সুন্দর ব্রেকিং পেয়েছি এবং আমি ব্রেকিং করে যে কোনো পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারি। ব্রেকিং এর পাশাপাশি এর সাসপেনশনের পারফরমেন্স বেশ দারুন মনে হয়েছে। আমি ভালো খারাপ এবং টপ স্পীডে সাসপেনশনের খুব ভালো পারফরমেন্স পেয়েছি। টায়ার কষে ব্রেক করলে কম বেশী সব মোটরসাইকেলে স্লিপ খায় তবে আমার কাছে বাইকটির টায়ারের গ্রিপটা অনেক ভাল মনে হয়েছে।

মাইলেজ আমি তেমন ভাবি মাপি না তবে আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে যে এর মাইলেজটা কম বেশী ৪৫ কিমি এর মতো। আমি মনে করি ১৫০ সিসির বাইক হিসেবে মাইলেজটা যথেষ্ট।

সার্ভিসিং সেন্টারের মানা আমার কাছে খুব একটা বেশী ভালো লাগে নি । তাদের আচরণ, ঠিক করার মান আমার কাছে বেশ খারাপ লেগেছে। আমি তাদের সার্ভিসিং সেন্টারে একবার গিয়েছি এবং এরকম ব্যবহার দেখে আর যেতে ইচ্ছা করেনি।

ভালো দিক
-ডিজাইন এবং কালার খুব সুন্দর
-চালিয়ে অনেক আরাম
-সকল বয়সের সাথে মানানসই

খারাপ দিক
-হেডল্যাম্পের আলোটা অনেক কম

বাইকটির কোয়ালিটি, পারফরমেন্স এবং অন্যান্য সকল দিক মিলিয়ে আমার কাছে এর দামটা ঠিক বলে মনে হয়েছে। বর্তমানে এর দামটা আরও কম। তাই কেউ যদি এই বাইকটি কিনতে চান তাহলে আমি বলবো যে এটি অনেক ভালো মানের একটি বাইক এবং দ্বিধাহীন ভাবে কিনতে পারেন।

All BAJAJ bike price in bd

Bajaj Pulsar 150 DTSi