বাইক চালাতে আমার খুব ভাল লাগে একটু সময় পেলে এদিক ওদিক বাইক নিয়ে দাপিয়ে বেড়ায়। এছাড়াও বিভিন্ন কাজে বিশেষ করে হাটে বাজারে যাতায়াত করতে মোটরসাইকেল ব্যবহার করে থাকি। আমি মোঃ শাহরিয়ার হোসেন অংকুর। পেশায় একজন ছাত্র। বর্তমানে আমি ব্যবহার করছি বাজাজ পালসার ২০১৬ ।এর আগে আমি ব্যবহার করতাম ভেসপা,হোন্ডা এইচ এস ও জাপানী সিজি ১২৫ সিসি। এই বাইকগুলো ভালই লাগত কিন্তু আমি গতি পেতাম না তাই বাজাজ পালসার কেই বেশি পছন্দ করে ফেলি। বাইক চালানোর পাশাপাশি আমার আরেকটা শখ রয়েছে সেটা হল কবুতর পোষা। আমি প্রায় ১ বছর যাবত বাজাজ পালাসার ব্যবহার করে আসছি। এই এক বছরে আমার এই বাইক সম্পর্কে কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে। মোটরসাইকেল ভ্যালীর অনুরোধে আজ আমি এই বাইক সম্পর্কে কিছু ভালো মন্দ অভিজ্ঞতা শেয়ার করব।আশা করি আপনারা আমার সাথেই থাকবেন।

বাইকটার ডিজাইন বলতে গেলে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। মুলত পালসারের ডিজাইনটা আমাকে বেশী আকর্ষণ করেছে। আমি অনেক আগে থেকেই বাজাজ পালসারের বড় ফ্যান। আমার কাছে বাইকটির ডিজাইন নিয়ে কোন অভিযোগ নেই। ১৫০ সিসির কমিউটার বাইক হিসেবে যথেষ্ট ভালো ডিজাইন রয়েছে বলে আমি মনে করি। অন্যদিকে বাইকটির বিল্ড কোয়ালিটিও বেশ ভালো। আমি ডিজাইন ও বীল্ড কোয়ালিটি নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট। আমার বাইকের সবচেয়ে ভালো লাগে এর কালো নীল রং এর সুন্দর কম্বিনেশন।




অন্যদিকে বাইকটি তে বেশ ভালো সিটিং পজিশন র‍য়েছে।শহরে চলাচলের জন্য ভালো সিটিং পজিশন রয়েছে বলে আমি মনে করি। কিন্তু লং ট্যুর এর ক্ষেত্রে আমি ব্যাক পেইন অনুভব করেছি। আমার কাছে ব্যাক পেইন মনে হলেও অন্যদের কাছে সেটা নাও হতে পারে তবে আমি মনে করি যে সিটিং পজিশনটা আরও ভালো হতে পারত। সিটিং পজিশনের সাথে মিল রেখে বেশ ভালো হ্যান্ডেলবার রয়েছে। হ্যান্ডেলবারের সুইচগুলো বেশ ভালো ।অন্যদিকে হ্যান্ডেলবারের সুইচগুলো রাতে জ্বলে বিধায় সুইচগুলো অনায়াসেই বোঝা যায় যেটা পালাসারের একটা স্পেশাল ফিচার। আমি হেডল্যাম্পের আলোর কোন স্বল্পতা পাইনি। সব মিলিয়ে বাইকটি আমাকে বেশ আরাম এনে দেয়।



কন্ট্রোলের কথা বলতে গেলে আমি অনেক ভালো কন্ট্রোলিং পাই এবং পালসারের কন্ট্রোলিং নিয়ে আমার কোন সমস্যা হয় না। আমি আমার বাইকের সর্বচ্চো গতি তুলেছি ১২৯ কিমি প্রতি ঘন্টায় এটা ছিল রাজশাহীর সিটি বাইপাস রোডে। কিন্তু বাইকটির টপ স্পীড ভালো হলেও ব্রেকিংটা তেমন একটা ভালো না।আমি মনে করি যে একটি শক্তিশালী বাইক হিসেবে এর ব্রেকিং সিস্টেমটা আরও উন্নত করা দরকার। আমি মাঝে মাঝেই টায়ারে স্কীড পায় বিশেষ করে টারনিং নিতে যেতে আমি এই স্কীড গুলো পায় যার ফলে রাইড করতে একটু সমস্যা হয়। আমি বিভিন্ন রোড কন্ডিশনে বাইকটি চালিয়েছি এবং এর সাসপেনশনের ভালো পারফরমেন্স পেয়েছি।



বাইকটির তেল খরচের দিক দিয়ে আমি বেশ সন্তুষ্ট। আমি বর্তমানে ৫৫ কিমি প্রতি লিটারে মাইলেজ পাচ্ছি। আমার কাছে যেটা মনে হয় যে ১৫০ সিসি ইঞ্জিনে ৫৫ কিমি মাইলেজ পাওয়া অনেক বড় একটা বিষয়। আমি বলব যে অন্যান্য ১৫০ সিসির বাইক এতো ভালো পারফরমেন্সের সাথে এত মাইলেজ দিতে পারে না ।

বাজাজ এর আফটার সেলস সার্ভিসিং আমার কাছে খুব খারাপ লেগেছে। আমি বাইক নিয়ে গেলে তারা বেশ সময় নেয় এবং আমার কাছে মনে হয়েছে যে তারা খুব কম দক্ষ। আমি বাজাজ এর আফটার সেলস সার্ভিসিং নিয়ে খুব অসন্তুষ্ট।

সমস্ত কিছু বিবেচনা করে আমি বলবো যে বাইটির কোয়ালিটি অনুযায়ী দামটা ঠিক মনে হয়েছে। আমি বলবো যে যদি কেউ শহরের মধ্যে বাইক নিয়ে দাপিয়ে বেড়াতে চান তাহলে এই বাইকটি নিতে পারেন।

তবে কোম্পনীর এর কাছে আমার একটা পরামর্শ যে বাইকটার পা-দানি টা এবং টায়ার এর রিমটা আরেকটু প্রশস্ত করলে ভালো হতো। সবাইকে ধন্যবাদ।

All BAJAJ bike price in bd

Bajaj Pulsar 150 DTSi