বাজাজ পালসার ১৫০ মোটরসাইকেল রিভিউ - দুলাল হোসেন

আমি মোঃ দুলাল হোসেন, পেশায় একজন ছাত্র। আমি প্রায় ১ বছর যাবত Bajaj Pulsar 150cc বাইকটি ব্যবহার করছি। তবে এর পূর্বে আমি Hero Splendor বাইক ব্যবহার করতাম। পরে বন্ধুরে মতামতের ভিত্তিতে এই বাইকটি কিনি। আমি বাইক ব্যবহার করি মূলত আমার কলেজে যাতায়াত এবং নিজস্ব ফাঁকা সময়ে একটু ঘোরাঘুরি করার জন্য। আর বিশেষ করে তাই সঠিক সময়ে কলেজে পৌঁছানোর জন্য আমার বাইক ব্যবহার করা অতি প্রয়োজন। আমি বলবো যে বাজাজ পালসার ১৫০সিসি বাইকটি মার্জিত ও স্টাইলিশ একটি বাইক। আমি যেহেতু ১ বছর যাবত এই বাইকটি ব্যবহার করছি তাই এর আলোকে এই বাইকটি সম্পর্কে আমি বেশ কিছু ভালো মন্দ দিক সম্পর্কে অভিজ্ঞতা পেয়েছি যা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

বাজাজ পালসার ১৫০সিসি বাইকটির ডিজাইন অতি সুন্দর ও মার্জিত এবং এর বীল্ড কোয়ালিটি অতি মজবুত বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। তাই বাইকটির ডিজাইন ও বীল্ড কোয়ালিটির দিকে লক্ষ্য করেই এই বাইকটি কেনার প্রতি আমার আগ্রহ হয়। এছাড়াও বন্ধুদের পরামর্শ তো আছেই। বাইকটির সিটিং পজিশন বেশ ভালো, সিটিং পজিশনের সাথে মিল রেখে হ্যান্ডেলবারটা ধরে বেশ আরাম। অন্যদিকে হ্যান্ডেলবারের সাথে সংযুক্ত সুইচগুলোর মানও আমার কাছে অনেক ভালো মনে হয়েছে। বাইকটির হেডল্যাম্পের আলো রাতে অন্ধকার রাস্তায় এবং অন্যান্য রাস্তায় আমি অনেক ভালো পাচ্ছি। সার্বিক দিক বিবেচনায় বাইকটি অনেক আরামদায়ক একটি বাইক। তাছাড়াও বাইকটি আমার প্রথম থেকেই খুব ভালো লাগে।

ইঞ্জিন পারফরমেন্স ভালো লেগেছে, বিশেষ করে ইঞ্জিনের হালকা শব্দটা আমার অনেক ভালো লাগে। তবে মাঝে মধ্যে শব্দটা ভেঙ্গে যায়। যা আমার কাছে বিরক্তকর মনে হয়। আমি পূর্বে বাইকটি টপ স্পীডে তুলেছি তবে এই বাইকের মত পায়নি। পিক আপ দিলেই বেশ স্পীডে উঠে যায়। বাইকটির কন্ট্রোলিং আমার কাছে খুবই ভালো মনে হয়েছে। ব্রেকিং এবং সাসপেনশন আমি বেশ সন্তুষ্ট। বাইকটির চাকা গুলো বেশ মজবুত বলে মনে হয়েছে আমার কাছে। এই বাইকটি টপ স্পীডে উঠালেও ভাইব্রেশন দেয় না। এর শকাপ গুলো বেশ ভালো খেলে। যার ফলে আমি কোন ঝাঁকুনি অনুভব করি না। আমি প্রায় অনেক স্থানে এই বাইক নিয়ে ভ্রমন করেছি, এমনকি আমি প্রায় বাসা থেকে রাজশাহী যাতায়াত করি এই বাইকটি নিয়ে। এতো রাইড করার পরেও আমি তেমন কোন ব্যাক পেইন অনুভব করিনি।বাইকটির ইলেকট্রিক্যাল সুইচ বেশ ভালো কাজ করে। যা আমার কাছে খুব সহজ এবং ভালো মনে হয়েছে।

তবে বাইকটির মাইলেজ আমার কাছে ভালো বলে মনে হয়নি। আমি বর্তমানে মাইলেজ পাচ্ছি ৪৫কিমি প্রতি লিটারে। যা বাজারের অন্যান্য বাইকের তুলনাই এই বাইকটির মাইলেজ মোটামুটি কম। আর আমি যেহেতু ছাত্র, আর তাই মাইলেজের বিষয়টি আমার কাছে বড় সমস্যা বলে মনে হয়। তবে মাইলেজ বাদ দিয়ে আর সব দিক বিবেচনা করলে বাইকটির দাম বাজার হিসেবে একদম ঠিক আছে। আমি দাম নিয়ে মোটামুটি সন্তুষ্ট।

বাইকটির ভালো দিক-
- ডিজাইন অনেক সুন্দর ও স্টাইলিশ
- বীল্ড কোয়ালিটি বেশ মজবুত
- বাইকটি চাকা গুলো বেশ মজবুত

বাইকটির মন্দ দিক-
- মাইলেজটা একটু কম
- মাঝে মধ্যে ইঞ্জিনের শব্দ ভেঙ্গে যায়

এদের সার্ভিসিং সেন্টার তাহেরপুরে। আমার কাছে মোটামুটি ভালো মনে হয়েছে। তাদের দক্ষতা, বিচক্ষণতা এবং তাদের ব্যবহার প্রায় সব কিছুই বেশ ভালো লেগেছে। সর্বপরি বাইকটির ডিজাইন, পারফরমেন্স এবং অন্যান্য দিক বিবেচনা করে আমি মনে করি বাইকটি বেশ চমৎকার। যে কোন বয়সের রাইডাররা এই বাইক ব্যবহার করতে পারেন। আর তাই সকল দিক বিবেচনায় এই বাইকটির দাম একদম পারফেক্ট বলে মনে হয়। যদি কেউ এই বাইকটি কিনতে চান তবে আমি অবশ্যই কিনতে বলবো। কারণ আমি এই বাইকটি ব্যবহার করে বেশ আরাম অনুভব করি, আশা করি আপনারাও সন্তুষ্ট থাকবেন।

All BAJAJ bike price in bd

Bajaj Pulsar 150 DTSi