বাজাজ পালসার ১৫০ মোটরসাইকেল রিভিউ - সুমন মোল্লা

জনপ্রিয় ইন্ডিয়ান বাইকগুলোর মধ্যে একটি হল বাজাজ পালসার। বাজাজ পালসার সকলের মন জয় করা একটি বাইক বলে আমি মনে করি। আমদের পার্শ্ববর্তী দেশেও এই বাইকটি বেশ জনপ্রিয়। বাইকটির ডিজাইন,পারফরমেন্স সব কিছু গ্রাহকদের অনেক আকৃষ্ট করে এবং আমার পছন্দের শীর্ষে রয়েছে এই বাইকটি তাই আমি এটিই কিনে ফেলি ।

আমি মোঃ সুমন মোল্লা পেশায় একজন ব্যবসায়ী। প্রায় ৬ বছর যাবত আমি ব্যবহার করছি বাজাজ পালসার ১৫০ সিসি। এই বাইকটি কেনার মুল কারণ হল আমার সব ধরনের ব্যবসায়ীক কাজের জন্য। আমি এর পূর্বে ব্যবহার করেছি টিভিএস মেট্রো সহ অনেক বাইক। আমি বাজাজ পালসার নিয়ে প্রায় অনেকগুলো পথ পাড়ি দিয়ে ফেলেছি এবং আমি মনে করি যে আজ সময় হয়েছে বাইকটির একটি রিভিউ দেওয়ার।

আমার কাছে বাইকটির ডিজাইন অনেক ভালো লেগেছে। কালো রঙ থাকার ফলে দূর থেকে একটা দানবীয় চলে আসে এবং ডিজাইনের পাশাপাশি অনেক সুন্দর গ্রাফিক্স লক্ষ্য করেছি। বাইকটির বিল্ড কোয়ালিটি অনেক মজবুত এবং আমি দেখেছি বাজাজের প্রায় প্রত্যেকটি বাইকের বিল্ড কোয়ালিটি অনেক মজবুত হয়। ডিজাইন এবং বিল্ড কোয়ালিটি নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই।
বাইকের ইঞ্জিন পারফরমেন্স মুগ্ধ করার মতো। ইঞ্জিনটা গরম হয়ে গেলে অন্যরকম এক পারফরমেন্স দেয় যা কল্পনা করা যায় না। ইঞ্জিনের শব্দ এবং পারফরমেন্স দুটোই আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ।

বাইকটি চালিয়ে আমি বলবো যে মোটামুটি আরাম রয়েছে। সিটিং পজিশনটা বেশ ভালোই অন্যদিকে সিটিং পজিশনের সাথে মিল রেখে হ্যান্ডেলবারটা ধরে বেশ ভালো আরাম পাই। হ্যান্ডেলবারের সাথে যে সুইচগুলো রয়েছে সেগুলো খুব ভালো কাজ করে তবে আমার সেলফ স্টার্টের সুইচটা খুব একটা কাজ করে না যার ফলে মাঝে মাঝে আমার কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। আমি প্রায় বেশির ভাগ সময়ই রাতে রাইড করি এক্ষেত্রে হেডল্যাম্পের আলোটা আমার কাছে একদম কম মনে হয়েছে এবং গ্রামের অন্ধকার রাস্তায় এবং হাইওয়েতে খুব কম আলো পাই। যাই হোক আমি বলবো যে আরামের দিক দিয়ে পালসার বাইকটি বেশ ভালোই।

আমি প্রায় বেশ কয়েকবার টপ স্পীডে তুলেছি কিন্তু লক্ষ্য করি নাই সেটা কত ছিলো তবে আমার মনে হয় সেটা ১০৫ কিংবা ১১০ এর মত। টপ স্পীড আরও উঠানো সম্ভব হতো কিন্তু রাস্তার অবস্থা ভালো না তাই সাহস করিনি। অন্যদিকে বাইকটি ১০৫ টপ স্পীডেও আমাকে কোনো রকম ভাইব্রেশন দেয় নি। ব্রেকিং ভালো পেছনের ব্রেকটা এবং সামনের ব্রেকটা ভালো পারফরমেন্স দেয় কিন্তু সামনের ব্রেকের হাইড্রলিক জ্যাম হয়ে যায় এটা আমার কাছে একটু সমস্যা মনে হয়েছে,।

সাসপেনশন খুব ভালো পারফরমেন্স দেয় আমি বিভিন্ন রাস্তায় চালিয়ে অনেক ভালো পারফরমেন্স পেয়েছি। টায়ারের ভালো গ্রিপ থাকার ফলে খুব কম স্লীপ করে।

মাইলেজ নিয়ে আমি অসন্তুষ্ট কারণ আমি এখন মাইলেজ পাচ্ছি ২৪ কিমি প্রতি লিটারে আমার বাইকটা পুরাতন হলেও এত কম মাইলেজ আশা করিনি।

সার্ভিসিং সেন্টারের মান বলতে গেলে আমি খুব কম তাদের সার্ভিসিং সেন্টারে যায় এবং তাদের ঠিক করার মান এবং অন্যান্য দিক আমার কাছে ভালোই মনে হয়েছে।

ভালো দিক
- শক্তিশালী বাইক
- ওজন ভালো যার ফলে কন্ট্রোল ভালো পাই
- টপ স্পীডে কাপে না

খারাপ দিক
- মাইলেজ কম
- হেডল্যাম্পের আলো কম

পারফরমেন্স, কোয়ালিটি হিসেবে বর্তমান দাম আমার কাছে ঠিক বলে মনে হয়েছে কারণ আমি যখন বাইকটা কিনি তখন দামটা একটু বেশী মনে হয়েছে। যদি কেউ এই বাইকটি কিনতে চান তবে আমি বলবো যে বাইকটি সব দিক দিয়ে অনেক ভালো শুধু আমার কাছে মাইলেজটা খারাপ লেগেছে। মাইলেজ এর সমস্যা দূর না হলে এটা না কেনার পরামর্শ থাকবে আমার।

All BAJAJ bike price in bd

Bajaj Pulsar 150 DTSi