বাজাজ পালসার ৬,০০০কিমি রাইডিং অভিজ্ঞতা - মোহেন চন্দ্র রায়

সরাসরি বলতে গেলে আমাকে আমার চাকরীর প্রয়োজনে প্রতিদিন গড়ে ৮০ – ৯০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করা লাগে তাই এই প্রতিদিনের পথ যাতায়াত করার ক্ষেত্রে একটি মোটরসাইকেলের থেকে ভাল সার্ভিস আমি অন্য কোন ভনে পাবো না যা সবার পরামর্শ থেকেই আমি জেনেছি। আমার বাড়ি হলো ঠাকুরগাও জেলায় কিন্তু আমার কর্মস্থল পঞ্চগড় তাই কামি এই দুরুত্ব অতিক্রমের জন্যে বেছে নিয়েছি বাজাজ পালসার ১৫০সিসি যার ডিজাইন আমার কাছে খুব ভাল লেগেছে এবং সরাসরি বলতে গেলে আমাকে বলতে হবে যে আমি যেই বয়সেরই হয় না কেন আমার ক্রয়কৃত পালসার চালানোর পুর্বে আমাকে আমার বয়স নিয়ে কখনই ভাবতে হবে না আবার পালসারের স্থায়িত্ব নিয়েও আমি চিন্তিত নই কারন পালসার এমন একটা বাইক যা বাংলাদেশে একই ডিজাইন নিয়ে বহুদিন ধরে ব্যবসা করে আসছে। তাই আমি ভেবেচিন্তেই এই বাইকটা কেনার সিন্দধান্ত নিয়েছি যা আমার অনেকদিন পর্যন্ত ব্যবহার করার ইচ্ছা আছে। আমার বাইকটার বয়স প্রায় ৫ মাস এবং এখন পর্যন্ত আমি আমার বাইকটা চালিয়েছি প্রায় ৬০০০ কিলোমিটার এবং এই চালানোর সময়ের মধ্যে আমার বাইকের অনেক কিছুই আমার নজরে এসেছে আর আমার দেখা আমার বাইকের সবচেয়ে ভালকিছু দিন হলঃ

-আমার বাইকটা আমি দুরের পথে ব্যবহার করি যা আমার প্রতিদিনের ব্যবহার কিন্তু আমার কাছে সবচেয়ে ভাল লাগার কথা হলো আমি আমার বাইকে এখন পর্যন্ত মেজর কোন খারাপ দিক খুজে পায় নি যা আমার মত বাইক ব্যবহারকারীর পাওয়া উচিত ছিল।
-অনেক স্মুদ একটা বাইক, আমাকে বেশিরভাগ সময়ই হাইওয়েতে বাইক চালাতে হয় যেখানে ঢাকা – পঞ্চগড়ের রাস্তায় অনেক দূর পাল্লার যানবাহন চলে, বলা চলে এমন রাস্তাতে চলেও আমি আমার বাইকে কখনও কোন রকম বাজে অনুভুতি পায় নি।
-ইঞ্জিন পারফরমেন্স অনেক ভাল, পিক আপ ধরার সাথে সাথেই আমার মনে আমি কাঙ্ক্ষিত গতি উঠাতে পারি আবার কন ধরনের ওভার হিটিং আমি এখনও খেয়াল করিনি। অন্যদিকে ইঞ্জিনের সাথে যে নতুন ইঞ্জিন কভার দেয়া হয়েছে তা আমার খুব ভাল লেগেছে।
-অন্যদিকে সবার নজরে আসার মত ভাল একটা দিক হল আমার এই বাইকটা এমন একটা ডিজাইন দিয়ে তৈরি করা হয়েছে যা সবার সাআথেই খুব ভালভাবে মানিয়ে যায় এবং আমি এই ব্যাপারটা মাথায় রেখেই এই বাইকটা কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি কারন শুধু আমিই না, প্রতিটা মানুষই একই বয়সে সারা জীবন থাকে না।

অন্যদিকে বলা বাহুল্য যে আমি যেহেতু আমার বাইকের ভাল দিকগুলা উল্লেখ করছি তাই এর খারাপ দিকগুলাও একই সাথে উল্লেখ করা যুক্তিসংগত বলে আমি মনে করি। তবে আমি আগেই উল্লেখ করেছি যে আমার বাইকে মেজর কোন খারাপ দিক আমি এখনও খেয়াল করতে পারি নি তবে বেশ কিছু দিক আমার কাছে বিরক্তিকর মনে হয়েছে যেগুলা আমার মনে হয় আরও ভাল হতে পারতোঃ
-প্রথমত, আমার বাইকের হেডলাইটে আলো ছড়ানোর ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে কারন আমি হাইওয়েতে যেদিনই বাইক চালিয়েছি, আমি খেয়াল করে দেখেছি দূরে হেডলাইট সুইচ করলে তা আর সোজা না গিয়ে বাকা হয়ে যায় আবার প্রয়োজনের থেকে আলো অনেক কম বলে আমার মনে হয়।
-চেইন সেটেও সমস্যা রয়েছে, বারবার ঢিলা হয়ে যায় যা আমার জন্যে চরম বিরক্তিকর কারন আমাকে দুরের রাস্তায় বের হয় এবং যখনই চেইন ঢিলা হয়ে যায়, চেইন কভারের ভেতর থেকে বাজে শব্দ করে।
-অন্যদিকে বর্তমান পালসারে সাথে দেওয়া এর প্লাস্টিকের অংশগুলা আমার দেখা খুব দুর্বল। আমার মনে হয় এই প্লাস্টিকের গুনগত মান আগের পালসারের মত হবে না।

১৫০সিসির আরও অনেক বাইক বাজারে থাকার পরেও কেন আমি বাজাজ পালসার ১৫০সিসি কেনার সিদ্ধান্ত নিলামঃ
এককথায় আমি বলতে চায় যে এর লুকটা আমাকে সবার এর প্রতি দুর্বল করেছে এবং এই পালসার অনেকদিন থেকেই একই ডিজাইনে বাজারে আছে তাই আমি খুব বেশি বাইক নিয়ে চিন্তা না করে সরাসরি বাজাজ পালসার ১৫০সিসি বাইকটা কিনে ফেলি।
মাইলেজ নিয়ে বিস্তারিত বলতে গেলে আমি প্রথমেই বলতে চায় যে আমার বাইকটা ১৫০সিসির এবং সেই তুলনায় আমি অনেক ভালই মাইলেজ পাচ্ছি যা সচরাচর সবাই পায় না। আমি বর্তমানে মাইলেজ পাচ্ছি ৫০ কিলোমিটার প্রতি লিটার শহরে বাইকটা চালানোর সময় এবং প্রায় ৫৫ কিলোমিটার যখন হাইওয়েতে এই বাইকটা চালাচ্ছি। আমার মনে হয় এই রেঞ্জটা কোনভাবে কেউই খারাপ বলতে পারবে না।

এখন পর্যন্ত আমি আমার বাইকটা সর্বোচ্চ ৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতি উঠিয়েছি এবং একটানা রাইড করেছি প্রায় ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। আমি আরাম নিয়ে আমার বাইকে কোন সমস্যা এখনও টেন পায় নি তাই আশা করছি যে সামনের দিনগুলাতেও আমি একই সার্ভিস পাবো আমার বাজাজ পালসার ১৫০সিসি থেকে।

All BAJAJ bike price in bd

Bajaj Pulsar 150 SD